জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পরিদর্শনে জয়া আহসান

জলবায়ু সম্মেলন কপ-৩০কে সামনে রেখে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)-এর শুভেচ্ছা দূত জয়া আহসান এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার খুলনার দাকোপ পরিদর্শন করেন।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) তারা এই পরিদর্শন করেন। সফরের উদ্দেশ্য ছিল জলবায়ু পরিবর্তনের বাস্তব প্রভাব প্রত্যক্ষ করা এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠী কিভাবে কঠিন পরিস্থিতিতে নিজেদের জীবনযাত্রা গড়ে তুলছে তা পর্যবেক্ষণ করা।

সফর শেষে বুধবার (৫ নভেম্বর) জয়া আহসান তার ভেরিফাইড ফেসবুকে উপকূলের মানুষের সংগ্রাম ও উদারতা নিয়ে একটি পোস্ট করেন।

পোস্টটিতে তিনি লেখেন, সংগ্রাম কি বুঝতে, জানতে উপকূলের মানুষগুলোর চোখের দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায়। গত দুই দিন উপকূলের সংগ্রামী মানুষের সাথে দেখা করা, তাদের জীবনের গল্পগুলো শোনা – আমার জন্য সত্যিই এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা । এক অন্য জগৎ কে খুব কাছ থেকে দেখলাম।

উপকূলের মানুষের দৈনন্দিন জীবনে পানির দুষ্প্রাপ্যর কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘পানি বেঁচে থাকার জন্য সর্বোচ্চ প্রয়োজনীয় জিনিস। যা তারা কত কষ্ট করে বয়ে আনে, যে পানি আমরা পাই বিনা বাক্যে। এক কলসি পানি আনতে হাঁটতে হয় মাইলের পর মাইল। তাদের যে সংগ্রাম, তা ভাষায় প্রকাশের বাইরে।

জয়া আহসান তাদের অদম্য সাহস নিয়ে বলেন, এতো সংগ্রামের পর ও তবুও তারা মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়, পুরুষের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেন, নিজের কথা নিজেই বলেন। হয়তো তাদের কাছে পৃথিবীর বেশির ভাগ সুযোগ সুবিধা পৌঁছায় না। কিন্তু সাহস? সেদিকে কারো থেকে কম যান না এই নারীরা।

উপকূলের নারীদের শক্তি ও অনুপ্রেরণা নিয়ে বলেন, ধর্ম-বর্ণ সব কিছুর নির্বিশেষে তারা একে অন্যকে কি সুন্দর আগলে রেখেছে। প্রতিবছর ঝড়, সাইক্লোনে সব হারিয়ে আবার ঘুরে দাঁড়ানোর শক্তি কজনের থাকে? উপকূলের নারীরা সেই শক্তি বহন করেন। আমি প্রচন্ড সাহস, ইন্সপিরেশন পেলাম এই মানুষ গুলো থেকে। তাদের প্রতি আমার অফুরন্ত শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।

তিনি এই সফরের প্রতি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে লেখেন, ‘শুভেচ্ছাদূত হিসেবে এই সফর আমার জীবনের অন্যতম স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’

অভিনয়ের বাহিরেও জয়া আহসানের গভীর জীবনদর্শন, মনুষ্যত্ববোধ, পশুপাখিদের প্রতি ভালোবাসা, প্রতিটি সর্ম্পকের প্রতি অসীম মমত্ববোধ বরাবরই মুগ্ধ করেছে দর্শকদের। এবার ইউএনডিপি এর শুভেচ্ছা দূত হিসেবে জয়া আহসানের উপকূলে সফর একটি মাইলফলক সৃষ্টি করবে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

one × one =