জলবায়ু সম্মেলনে ‘নোনা জলের কাব্য’

স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো শহরে অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলনে নোনা জলের কাব্য প্রদর্শিত হবে ২৯ অক্টোবর ও ৮ নভেম্বর। এই সম্মেলনে পৃথিবীর প্রায় সকল দেশের রাষ্ট্র প্রধানরা অংশগ্রহণ করবেন। যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত পরিচালিত ছবিটি দেশে মুক্তি পাচ্ছে ২৬ নভেম্বর। শনিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন সিনেমা সংশ্লিষ্টরা। এর আগে লন্ডন, বুসান, গুটেনবার্গ, সাও পাওলো, তুরিন, সিয়াটল, সিঙ্গাপুরসহ বেশ কিছু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দর্শক ও সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে ‘নোনাজলের কাব্য’।

বাংলাদেশে এ ছবির পরিবেশক স্টার সিনেপ্লেক্স। ছবিটিতে মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, শতাব্দী ওয়াদুদ, তিতাস জিয়া, তাসনোভা তামান্না প্রমুখ। আবহ সংগীত পরিচালনা করেছেন অর্ণব। দেশের সমুদ্র উপকূলবর্তী প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রান্তিক জেলেদের দৈনন্দিন জীবনযাপন, আবহাওয়ার প্রতিকূলতার মুখে টিকে থাকার লড়াই এবং তাদের সামাজিক রীতিনীতি ও সংস্কার এই চলচ্চিত্রের মূল বিষয়।

ছবির প্রধান অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু বলেন, ‘‘একটি চমৎকার আবহে, আমরা ‘নোনা জলের কাব্য’তে কাজ করেছি। আমি বিশ্বাস করি, সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করলে, একটা সিনেমা মানসম্মত হয়।”

‘নোনা জলের কাব্য’ প্রযোজনা করেছেন রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত ও ফরাসি প্রযোজক ঈলান জিরার্দ। জিরার্দ, ‘মার্চ অব দ্য পেঙ্গুইন‘, ‘গুডবাই বাফানা‘, ‘ফাইনাল পোর্ট্রেট’-এর মতো বিখ্যাত কিছু চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেছেন। সিনেমাটোগ্রাফি করেছেন লস অ্যাঞ্জেলসে বসবাসরত থাই শিল্পী চানানুন চতরুংগ্রোজ, তিনি ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের স্পিরিট অ্যাওয়ার্ড-এর মনোনয়ন পেয়েছিলেন। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে ছবিটির নির্মাণ সহযোগী প্রতিষ্ঠান অমিতাভ রেজার হাফ স্টপ ডাউন। সম্পাদনা করেছেন আমেরিকার ক্রিস্টেন স্প্রাগ, রোমানিয়ার লুইজা পারভ্যু ও ভারতের শঙ্খ। শব্দ ও রঙ সম্পাদনার কাজটি হয়েছিল প্যারিসের দুটি বিখ্যাত স্টুডিওতে।

২০১৬ সালে চিত্রনাট্যের জন্য ‘নোনা জলের কাব্য’ পেয়েছিল ‘স্পাইক লি রাইটিং গ্রান্ট’।  একই বছর ভারতের ফিল্ম বাজারের কে-প্রোডাকশন মার্কেটে নির্বাচিত হয়েছিল সিনেমাটির চিত্রনাট্য। ২০১৭ সালে ছবিটি বাংলাদেশের জাতীয় চলচ্চিত্র অনুদান পেয়েছিল ৫০ লাখ টাকা। ২০১৮ সালে ৮০ লাখ টাকা অনুদান পেয়েছিল ফরাসি সরকারের সিএনসির ‘সিনেমা দ্যু মন্ড’ ফান্ড থেকে। ২০২০ সালে ছবিটি টরিনো ফিল্ম ল্যাব অডিয়েন্স (টিএফএল) ডিজাইন ফান্ড জিতেছে। এর ফান্ডের আওতায় পেয়েছে ৪৫ হাজার ইউরো, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৪৫ লাখ টাকার সমান।

বাংলা ট্রিবিউন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

four × five =