বাংলাদেশ সফরে আসছে দীর্ঘদিনের স্পেয়ারিং পার্টনার জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর থেকেই দলটি বাংলাদেশের নিয়মিত সাথী। কালের পরিক্রমায় একসময়ের পরাক্রমশালী জিম্বাবুয়ে এখন নিজেদের হারিয়ে খুঁজছে। সেই সূত্রে প্রজন্ম পরিবর্তনের ধারায় থাকা বাংলাদেশ সাম্প্রতিক সময়ে কোন ফরম্যাটেই ভালো ক্রিকেট খেলছে না। তাই টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশ নিশ্চিত ফেভারিট এটি বলার সুযোগ আছে বলে মনে করি না। পঞ্চ পাণ্ডবের অবশিষ্ট আছে শুধু মুশফিক। নতুনদের মধ্যেও স্কোয়াডে নেই তাসকিন, লিটন। অপরদিকে ভালো করার প্রতিজ্ঞা নিয়ে সফরে আশা অতিথি দল সম্ভাব্য শক্তিশালী স্কোয়াড নিয়ে আসছে। বাংলাদেশকে চমকে দেয়ার সক্ষমতাও দলটির আছে বলে অনেক বিশ্লেষকের ধারণা।
জিম্বাবুয়ে স্কোয়াড: ক্রেগ আরভিন, ব্রায়ান বেনেট, জোনাথন ক্যাম্পবেল, বেন কুরান, ওয়েসলি মাধবীয়ার, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, ভিন্সেন্ট মাশেকস, নায়েশা মায়াভূ, ব্লেসিং মাজারবানী, রিচার্ড ইয়েংরাভা, ভিক্টর নায়ুচি,তাফাদজা তসিগা, নিকোলাস ওয়েলস এবং সিন উইলিয়ামস।
বাংলাদেশ স্কোয়াড: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), মাহমুদুল হাসান জয়, সাদমান ইসলাম, জাকির হাসান, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, জাকের আলী অনিক, মেহেদী হাসান মিরাজ (সহ-অধিনায়ক), তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান, নাহিদ রানা, হাসান মাহমুদ, সৈয়দ খালেদ আহমেদ ও তানজিম হাসান সাকিব।
বাংলাদেশকে সিরিজ জয় করতে হলে অবশ্যই অনেক উন্নত ব্যাটিং করে টেস্ট ইনিংসে অন্তত ৩৫০-৪০০ রান করতে হবে। অতিথি দলের বোলিং শক্তি আহামরি কিছু না হলেও বাংলাদেশ টপ অর্ডার এবং মিডল অর্ডার ব্যাটিং সাম্প্রতিক সময়ে ভালো কিছু করেছে নজির নেই। দলে তিন জন ওপেনার আছে জয়, সাদমান এবং জাকির। এদের মাঝে টেস্ট মেজাজে খেলার সীমাবদ্ধতা আছে। উইকেটে স্থিতু না হয়ে উইকেট ছুড়ে দেয়ার প্রবণতা আছে। দলের ব্যাটিং মেরুদন্ড হবে শান্ত, মোমিনুল, মুশফিক। এরা ভিত্তি গড়ে দিলে মেহেদী মিরাজ, জাকের আলী অনিক অথবা মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন হয়তো ম্যাচ জাতি স্কোর গড়তে পারবে। ঘরোয়া ক্রিকেট দেখে কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বিষয়ে মন্তব্য করা সমীচীন হবে না।
বাংলাদেশ পেস বোলিং আক্রমনের নেতা তাসকিন নেই। মুস্তাফিজ টেস্ট খেলে না। এবাদত খেলার মত অবস্থায় নেই। তবুও উইকেটে পেস বোলারদের কিছু করার থাকলে হাসান মাহমুদ, নাহিদ রানা, তানজিম শাকিব, খালেদ আহমেদ থেকে দুইজন নতুন বলে ব্রেক থ্রু আনবে বলে আস্থা রাখতে পারি। কিন্তু মূল চাবিকাঠি হবে তাইজুল ,মিরাজ এবং নাঈম হাসান। আমি তিন স্পিনার দুই পেসার নিয়ে খেলার সুপারিশ করবো। মনে রাখতে হবে অতিথি দলে কিন্তু তরুণ উদীয়মান প্রতিভার সঙ্গে অভিজ্ঞতায় পোড় খাওয়া ক্রেগ আরভিন, সিন্ উইলিয়ামস আছে। সিরিজে ভালো করার তাগিদ কিন্তু ওদের আছে। সহজে সিরিজ জয় হবে বলে মনে হয় না। সতর্কতার সঙ্গেই বাংলাদেশকে রণপরিকল্পনা সাজাতে হবে।