জেনিফার লোপেজ ও বেন অ্যাফ্লেক: দুজনার দুটি পথ দুটি দিকে গেছে বেঁকে

বিয়ের মাত্র দুই বছরের মাথায় বিচ্ছেদ! হলিউড তারকা জেনিফার লোপেজ ও বেন অ্যাফ্লেকের বিচ্ছেদের গুঞ্জন চলছিল কিছুদিন ধরে। অবশেষে সেটাই সত্যি হলো। ভ্যারাইটি জানিয়েছে, ২০ আগস্ট তাঁদের বিবাহবার্ষিকীর দিনে লস অ্যাঞ্জেলেসের উচ্চ আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেছেন জেনিফার লোপেজ। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২৬ এপ্রিল থেকে আলাদা থাকছেন তাঁরা।

অনেকটা রূপকথার মতোই ছিল জেনিফার লোপেজ ও বেন অ্যাফ্লেকের সম্পর্ক। তাঁরা প্রথম কাছাকাছি আসেন ২০০২ সালের মাঝামাঝি সময়ে। নভেম্বরে বাগদানও হয়েছিল তাঁদের। ওই সময় তাঁদের প্রেম নিয়ে সংবাদপত্রে মুখরোচক খবর প্রকাশ হতো। এক ম্যাগাজিন তাঁদেরকে ‘বেনিফার’ সম্বোধনের পর এ নামেই পরিচিতি পান বেন ও জেনিফার। দুটি সিনেমায় জুটি হয়ে অভিনয় করেন তাঁরা। ২০০৩ সালে মুক্তি পায় ‘গিগলি’, পরের বছর আসে ‘জার্সি গার্ল’। এরপর আচমকা ছন্দপতন। বাগদান বাতিল করেন বেন ও জেনিফার। আলাদা হয়ে যায় দুজনের দুটি পথ।

বেনের সঙ্গে ব্রেকআপের পর মার্ক অ্যান্থনিকে বিয়ে করেন জেনিফার। তাঁদের দুই সন্তানও রয়েছে। অন্যদিকে, বেন বিয়ে করেন জেনিফার গার্নারকে। তাঁদের তিন সন্তান। কারও সম্পর্কই টেকেনি। জেনিফার আবার অ্যালেক্স রডরিগেজের প্রেমে পড়েন। গার্নারের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর আনা দে আরমাসের সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করছিলেন বেন। কিন্তু ভাগ্য লেখা ছিল অন্য কিছু। প্রায় দুই দশক পর সম্পর্ক জোড়া লাগে জেনিফার লোপেজ ও বেন অ্যাফ্লেকের।

২০২২ সালে বাগদান সারেন দুজন। তারপর লাস ভেগাসে বিয়ে। জর্জিয়ায় বড় আয়োজনে বিয়ের অনুষ্ঠান করেছিলেন। এরপর দুই বছরও একত্রে শান্তিতে কাটল না। অল্প সময়েই দুজনের মধ্যে দূরত্ব বাড়ে। একটা সময়ের পর ক্যামেরার সামনে আর একসঙ্গে পোজ দিতেন না। টিএমজেডের খবরে বলা হয়, বেনের সঙ্গে আর্থিক বিরোধের জেরেই বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেছেন জেনিফার।

এক বছর আগে বেভারলি হিলসে ৬ কোটি ৮০ লাখ ডলারের বাড়িটি কিনেছিলেন তাঁরা একসঙ্গে থাকবেন বলে। সেটিও বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। বেন অ্যাফ্লেক কিছুদিন আগে সাবেক স্ত্রী জেনিফার গার্নার ও বাচ্চাদের সঙ্গে নিজের ৫২তম জন্মদিন উদ্‌যাপন করেছেন, কিন্তু যাননি জেনিফার লোপেজের জন্মদিনের পার্টিতে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

6 − one =