বেশ কদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় উত্তাপ ছড়াচ্ছে মডেল ও অভিনেত্রী জেসিয়া ইসলামের বিভিন্ন ক্যাটওয়াকের ভিডিও। তারমধ্যে একটিতে দেখা যাচ্ছে এই তারকা সুইমস্যুট (বিকিনি) পরে দারুণ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে র্যাম্পে হাটছেন। না, আমাদের দেশে এখনো বিকিনি পরে ফ্যাশন শো চালু হয়নি। জেসিয়ার যে ক্যাটওয়াকগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে তা একটি আন্তর্জাতিক বিউটি পেজেন্টের।
জেসিয়া থাইল্যান্ডের পাতায়ায়। সেখান তিনি ‘মিস গ্র্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল’ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন। গত ১৪ অক্টোবর এই প্রতিযোগিতার সুইমস্যুট রাউন্ডে অংশ নেন জেসিয়া ইসলাম। সেই ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়েছে নেট দুনিয়ায়। অনেক তারকা তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আগামী ২৫ অক্টোবর হবে এই প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে।
এবারই প্রথম নয়, জেসিয়া এর আগেও দুটি আন্তর্জাতিক বিউটি পেজেন্টে অংশ নিয়েছেন। ২০১৭ সালে প্রথম ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ প্রতিযোগীতা জিতে তিনি অংশ নেন চীনে অনুষ্ঠিত ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতায়। এরপর তিনি আরও একটি প্রতিযোগীতায় অংশ নেন।
এসব প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে জেসিয়া গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘বিভিন্ন দেশের সুন্দরীদের সঙ্গে সাংস্কৃতিক আদান প্রদান চলে, ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতির মানুষ ও তাদের জীবন আচরণ সম্পর্কে জানা যায়। তবে এই বিশ্বায়নের যুগে বিশ্বের মানুষ যে চিন্তা চেতনা ও মানসিকতায় চলছে, তা থেকে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষই পিছিয়ে। ভ্রান্ত ও পুরনো ধ্যান ধারণা নিয়েই আছে। আমাদের চলাফেরা, পোশাক, জীবনযাপন এসব নিয়ে চিন্তা চেতনার উন্নয়ন ঘটানো দরকার। মানবিকতা নিয়ে, মানুষের প্রতি সহমর্মিতা, মানুষ মানুষের জন্য এই চিন্তা ভাবনার উন্নয়ন ঘটানো দরকার।’
কিভাবে চিন্তা চেতনার উন্নয়ন ঘটবে তার উত্তরও জেসিয়ার রয়েছে, ‘আমার মতো অন্তত ২০ জন মেয়ে দরকার। যারা বিশ্বের এসব আয়োজনে অংশ নেবে এবং বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে। এরাই পরে বাংলাদেশের ওই সব মানুষের চিন্তা চেতনা পরিবর্তনের জন্য কাজ করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আসলে মানুষের অধিকার আদায়ে কাজ করছি। মানুষ যেন মানুষের মতো বাঁচতে পারে। নারীরা যেন নির্যাতিত না হয়, নারীদের আত্মনির্ভরশীল হওয়ার পথ তৈরি করা এসবের জন্যই তো আমরা কাজ করছি। এই সংখ্যাটা যখন আমি একজনের জায়গায় ২০ জন হবে তখন আমার মনে হয় একটা বড় পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে।’