জোহের, ফাতিমার সাথে আজ এসেছি গ্ল্যাডস্টোন

অস্ট্রেলিয়া বিশ্ব হেরিটেজ গ্রেট বারিয়ার রীফ অঞ্চলের অন্যতম দর্শনীয় এলাকা গ্ল্যাডস্টোন। সড়কপথে আমার লোগান সিটি থেকে ৭০০ কিলোমিটার দুরত্বে। এবারের নিউ ইয়ার্স ইভ এবং নিউ ইয়ার অবকাশ কাটানোর জন্য পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে গ্ল্যাডস্টোন এবং সন্নিহিত এলাকায়। ৫ দিন থাকবো। গ্ল্যাডস্টোন সেন্ট্রাল প্লাজা এপার্টমেন্টে তিন রুমের একটি লাউঞ্জে থাকার ব্যবস্থা।

কয়েকদিন থেকেই রোজী, সিম্পি নানা উপাদেয় খাবার প্রস্তুত করে রেখেছিল। শুভ্র তাগাদা দিয়েছে খুব সকালে ফজর নামাজ পরেই রওয়ানা করবে ৭-৮ ঘন্টার দীর্ঘ সড়ক যাত্রা। শুরু করলাম সকাল ৬টায়। সান সাইন কোস্ট, গিমপি, বান্ডার পেরিয়ে এসেছি। গিমপি পেরিয়ে সড়কের পাশে আম গাছের সারি। খোকায় খোকায় ঝুলছে লোভনীয় আম। শুভ্র, আমি, রোজি মিলে স্বল্প সময়ে প্রায় ১৫ কিলো আম পাড়লাম। শৈশবের গাছ থেকে আম পাড়ার স্মৃতি মনে হলো।  গাড়িতে আম রাখার জায়গা ছিল না। তাই ইচ্ছা থাকলেও আর বেশি আম তোলা হলো না।

টায়রা মেমোরিয়াল পার্ক একটি ঐতিহাসিক স্থান। ১৯১০ এখানে আগ্নেওশিলা আবিষ্কৃত হয়েছিল। সেখানে সুন্দর একটি পার্কে বসে আমরা ব্রেকফাস্ট করলাম খেজুর রসে ভেজানো চিতই পিঠা, নানা রকমের ফল, সালাদ দিয়ে। সেখান থেকে আঁকা-বাঁকা পাহাড়ি পথ, সবুজ বনানী চিরে দুপুরে পৌঁছলাম গ্ল্যাডস্টোন। সাগর উপকূলে মনোরম শহর।সুরম্য অট্টালিকা গ্ল্যাডস্টোন সেন্ট্রাল প্লাজায় তিন রুমের লাউঞ্জ এপার্টমেন্ট।

খিচুড়ি, ডিম্ ভুনা, বেগুন ভাজি, গরুর মাংস ভুনা দিয়ে সুস্বাদু দুপুরের খাবার।সন্ধ্যায় আলোকিত সাগর উপকূলে উপভোগ্য সময় কাটানো। গ্লাডিস্টোনে আছে দুটি বিশ্বমানের কোল পোর্ট, তিনটি এলএনজি টার্মিনাল, একটি ১৬০০ মেগাওয়াট কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র।

আমাদের মাতারবাড়ী মহেশখালীকে গ্লাডস্টোনের মতো করে গড়ে তোলার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের অন্তত ১০০ জন গ্যাস বিদ্যুৎ সেক্টরের কর্মকর্তাদের গ্ল্যাডস্টোন পরিদর্শনে সঙ্গী হওয়ার সুযোগ হয়েছে।

৫ দিনের অবস্থানে প্রতিদিনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো বন্ধু সাথীদের সঙ্গে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

1 × five =