ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সদস্য হলেন রামেন্দু মজুমদার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য মনোনীত হয়েছেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার। বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সিনেট অধিবেশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী দুই বছর তিনি সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

রামেন্দু মজুমদার বলেন, “এর আগে কয়েক মেয়াদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ছিলাম। এবার সিন্ডিকেট সদস্য করা হয়েছে। আমি আমার মেধা-শ্রম দিয়ে যথাযথ দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করব।”

বুধ ও বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সিনেট অধিবেশন হয়। সেখানে ‘বিশিষ্ট নাগরিক ক্যাটাগরি’ থেকে রামেন্দু মজুমদারকে সিন্ডিকেট সদস্য করা হয়। এছাড়া গত কয়েক বছর ধরে তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়েরও সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন।

লক্ষ্মীপুরের সন্তান রামেন্দু মজুমদার ছাত্রাবস্থায় থিয়েটারের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। পরবর্তীতে বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলনকে বেগবান করতে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। নাট্যসংগঠন ‘থিয়েটার’ এর সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন শুরু থেকেই। পাঁচ দশক ধরে নাট্যবিষয়ক পত্রিকা ‘থিয়েটার’ সম্পাদনা করছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে পড়ালেখা শেষ করে পেশা হিসেবে তিনি শিক্ষকতাকে বেছে নিয়েছিলেন। নোয়াখালীর চৌমুহনী কলেজে বছর তিনেক শিক্ষকতার পর পেশা পরিবর্তন করে ১৯৬৭ সালে পাকিস্তানের করাচিতে বিজ্ঞাপনশিল্পে যোগ দেন।

স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের কয়েকটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন রামেন্দু মজুমদার। বঙ্গবন্ধুর বক্তৃতা ও বিবৃতির একটি ইংরেজি সংকলন সম্পাদনা করে তিনি দিল্লি থেকে প্রকাশ করেছেন।

রামেন্দু মজুমদার বেতার ও টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করছেন ১৯৬২ ও ১৯৬৫ সাল থেকে। মঞ্চে অভিনয় করছেন ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে। বাংলাদেশের নব নাট্যচর্চা ও আন্দোলনে তিনি ভূমিকা পালন করে চলেছেন।

‘থিয়েটার’ নাট্যদলের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক, ‘থিয়েটার’ পত্রিকার সম্পাদক, ‘আবদুল্লাহ আল-মামুন থিয়েটার স্কুল’ এর অধ্যক্ষ, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন।

জাতিসংঘের সংস্থা ইউনেস্কোর অধীনে পরিচালিত নাট্য সংগঠন ‘ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইনস্টিটিউট’ এর সভাপতি হিসেবে পরপর দুবার দায়িত্ব পালন করেছেন রামেন্দু মজুমদার। ১৯৮২ সালে এ সংগঠনের বাংলাদেশ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।

২০০৯ সালে একুশে পদক পাওয়া রামেন্দু মজুমদারের মৌলিক ও সম্পাদিত গ্রন্থ সংখ্যা ৩০টি। বাংলা একাডেমি তাকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ দিয়েছে।অভিনয়শিল্পী ফেরদৌসী মজুমদার তার স্ত্রী। অভিনয়শিল্পী ও নির্দেশক ত্রপা মজুমদার তাদের একমাত্র সন্তান।

বিডি নিউজ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

twenty + 9 =