তাহলে কি বাকু কপ২৯ ব্যর্থ হতে চলেছে?

সালেক সুফী

আজারবাইজানের বাকুতে অনুষ্ঠানরত কনফারেন্স অফ পার্টি (কপ২৯) প্রথম সপ্তাহ শেষে আশার আলো জ্বালাতে পারে নাই। রাষ্ট্র প্রধানদের লিডার্স সামিট, কারিগরি কমিটির নেগোশিয়েশন থেকে জলবায়ু তহবিল, লস এন্ড ড্যামেজ ফান্ডে অর্থ প্রদান বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত বা দিকনির্দেশনা আসে নি।

তিন প্রেসিডেন্সির প্রতিবেদনে উল্লিখিত গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অর্জন বিষয়েও অগ্রগতি হয়নি। এমনকি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৈশ্বিক উষ্ণতা সীমিত রাখার জন্য শীর্ষ দূষণকারী দেশগুলোসহ অন্যান্য দেশের উচ্চাবিলাসী এনডিসি প্রদান বিষয়েও কোনো অঙ্গীকার পাওয়ার সম্ভাবনা দৃশ্যমান হয়নি।

বাকুতে যোগদানকারী কয়েকজন ইতিমধ্যেই কপ২৯ এর সাফল্য বিষয়ে সন্দিহান হয়ে পড়েছে। অনেকেই এর অন্যতম প্রধান কারণ হিসাবে কপ২৯ প্রেসিডেন্সির গতানুগতিক নেতৃত্বকে দোষারোপ করছে।

অথচ কপ২৯ কে সঙ্গত কারণেই অর্থায়ন কপ বলে চিহ্নিত করা হয়েছিল।আশা ছিল, লিডার্স সামিট এবং প্রথম সপ্তাহের কারিগরি কমিটিগুলোর নেগোশিয়েশন থেকে লস এন্ড ড্যামেজ ফান্ড, ক্লাইমেট তহবিলে অর্থ প্রদানের প্রতিশ্রুতি আসবে। অর্থ ছাড়করণ পদ্ধতির সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা পাওয়া যাবে।এটি ১ ট্রিলিয়ন নাকি ১.৩ ট্রিলিয়ন সেই বিষয়ে সুস্পষ্ট কিছু প্রতিভাত হবে। প্রকৃত প্রস্তাবে হয়নি কিছুই।

সব কিছু নির্ভর করছে এখন দ্বিতীয় সপ্তাহে মন্ত্রীবর্গ এবং বিভিন্ন দেশের টিমগুলোর মধ্যে নেগোশিয়েশনে জট কতদূর খোলে। কিন্তু ভুরাজনীতি  এবং বিভিন্ন মেরুকরণ বিবেচনায় নিলে কপ২৯ নিয়ে হতাশ বা নিরাশ হওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

বিশ্বকে বর্তমান পরিবেশ দুর্যোগ এবং ধাবমান মহাদুর্যোগ থেকে রক্ষা করতে হলে লস এন্ড ড্যামেজ ফান্ড,  ক্লাইমেট তহবিলে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ নিশ্চিত করে সেই ফান্ড থেকে ক্লাইমেট ভালনারেবল দেশ এবং উন্নয়নশীল দেশ গুলোকে নির্দিষ্ট মাত্রায় আর্থিক অনুদান এবং কারিগরি সহায়তা প্রদান অপরিহার্য।

সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষ বিষয়টি অনুধাবন করলেও উন্নত দেশগুলোর নেতৃত্ব এবং ফসিল ফুয়েল লবির বাণিজ্যিক স্বার্থ বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আশা রাখছি যদি কপ২৯ শেষ নাগাদ তবু যদি কিছু অর্জিত হয়।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

6 − two =