দক্ষিণ আফ্রিকার ইংল্যান্ড জয়

সালেক সুফী

কাল বলিউড নগরী মুম্বাইতে শিরোপাধারী ইংল্যান্ডকে হেসে খেলে ২২৯ রানের বিশাল ব্যাবধানে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। চার ম্যাচ খেলে তিনটি জয় নিয়ে প্রোটিয়ানরা এখন সেমী ফাইনাল দৌড়ে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করেছে। অপরদিকে চার ম্যাচের তিনটি হেরে শিরোপাধারী ইংল্যান্ডের ঝরে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। অনেকের ধারণা ছিল কাল খেলাটিতে হাড্ডা হাড্ডি লড়াই হবে. দুই দোল আগের ম্যাচে যথাক্রমে নেদারল্যান্ডস এবং আফগানিস্তানের কাছে অপ্রত্যাশিত ভাবে হেরে গিয়েছিলো। কাল টস জয়ী হয়ে ইংল্যান্ড বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা বেধড়ক পিটিয়েছে ইংলিশ বোলারদের।  ৩৯৯/৭ উইকেটে নিঃসন্দেহে ছিল বিশাল স্কোর।  জানিনা জবাব দিতে এসে কি পরিকল্পনা করেছিল ইংল্যান্ড।  মাত্র ২২ ওভারেই ওদের ইনিংস সাঙ্গ হলো মাত্র ১৭০ রানে।  পরিণতি ২২৯ রানের বিশাল ব্যাবধানে পরাজয়। জানিনা বর্তমান অবস্থান থেকে ইংল্যান্ড আর ঘুরে দাঁড়াতে পারবে কিনা। স্বভাবনা ওদের আগে ভাগেই দেশের পথে বিমান ধরার।

কাল সাফল্য ছিল সূচনায় ফর্মে থাকা কুইন্টন ডি ককের উইকেট তুলে নেয়া। কিন্তু তার পর নির্দয় প্রহার করেছে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা ইংলিশ বোলারদের।  হেনরিক ক্লাসেন ( ৬৭ বলে ১০৭), মার্কো জানসেন ( ৪২ বলে অপরাজিত ৭৫) , রাসি ভান দার ডুসেন ( ৬১ বলে ৬০) , এইডেন মারক্রাম (৪২) দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর নিয়ে গাছে আকাশ চূড়ায় ৩৯৯/৭।

জয় পেতে ইংল্যান্ডকে করতে হত ৪০০।  প্রয়োজন ছিল ভালো সূচনা এবং টপ অর্ডারের দুই একজনের গতিশীল লম্বা ইনিংস। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার তুখোড় বোলিং ফিল্ডিং মোকাবিলায় বিনা যুদ্ধে আত্মসমর্পণ করলো ইংরেজ বাহিনী। মাত্র ২২ ওভারে ১৭০ রানে সাঙ্গ হলো ইনিংস। ই পরাজয় বিশাল ২২৯ রানে। ইংলিশ ইনিংসে  রান করেছে দুই বলার  মার্ক উড (৪৩*) এবং গাস আটকিন্সন (৩৫) . দক্ষিণ আফ্রিকার সফল বোলার ছিল জেরাল্ড কুটজে ( ৩/৩৫) , লুইগি এ নজিডি ( ২/২৬) এবং মার্কো জেনসেন ( ২/৩৫).

ইংল্যান্ডের শিরোপা প্রতিরক্ষা এখন গভীর খাদে নিমজ্জিত।  অন্যদিকে সেমী ফাইনাল খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হলো দক্ষিণ আফ্রিকার।  আশা করি চোকার খাত দক্ষিণ আফ্রিকা এবার নতুন কিছু অর্জন করবে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

6 − 2 =