ওপেনার লিটন দাসের হাফ-সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ২ উইকেটে ১৫৮ রান করেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। ৫৭ বলে ৭৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন লিটন। ৩৬ বলে অনবদ্য ৪৭ রান করেন ইনফর্ম নাজমুল হোসেন শান্ত।
তিন ওয়ানডে ও দুই টি-টোয়েন্টির পর অবশেষে এই সিরিজে প্রথমবারের মত টসে জয় পান ইংল্যান্ড অধিনায়ক জশ বাটলার। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ত্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস জিতে প্রথমে বোলিং বেছে নেন বাটলার।
ব্যাট হাতে নেমে বাংলাদেশকে দারুন সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও রনি তালুকদার। পাওয়ার প্লে-তে ৪৬ রান তুলেন তারা। অবশ্য ষষ্ঠ ওভারে পেসার জোফরা আর্চারের বলে রেহান আহমেদকে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যান ব্যক্তিগত ১৭ রানে থাকা রনি।
সপ্তম ওভারে বাংলাদেশের রান ৫০ পার করে। অষ্টম ওভারে দলীয় ৫৫ রানে রনিকে ফিরিয়ে ইংল্যান্ডকে প্রথম সাফল্য এনে দেন স্পিনার আদিল রশিদ। ৩টি চারে ২২ বলে ২৪ রান করেন রনি।
এরপর ক্রিজে লিটনের সঙ্গী হন শান্ত। মারমুখী মেজাজেই দলের রানের চাকা সচল রাখেন লিটন। ১৩তম ওভারে ৪১ বল খেলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের নবম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন লিটন। একই ওভারে বাংলাদেশের রান ১শতে পৌঁছায়।
হাফ-সেঞ্চুরির পরই থামতে পারতেন লিটন। ১৪তম ওভারের প্রথম বলে আর্চারের বলে বেন ডাকেটের হাতে জীবন পান ৫১ রানে থাকা লিটন। ওভারের শেষ দুই বলে চার-ছয় মারেন লিটন।
১৭তম ওভারের শেষ বলে দলীয় ১৩৯ রানে লিটনকে বিদায় করেন ক্রিস জর্ডান। স্লোয়ার ডেলিভারিতে ডিপ মিড উইকেটে ফিল সল্টকে ক্যাচ দেন ১০টি চার ও ১টি ছক্কায় ৫৭ বলে ৭৩ রান করা লিটন। টি-টোয়েন্টিতে এটিই ক্যারিয়ার সেরা স্কোর লিটনের। শান্তর সাথে দ্বিতীয় উইকেটে ৫৮ বলে ৮৪ রান যোগ করেন লিটন।
লিটন ফেরার পর শেষ ১৮ বলে ১টি চারে মাত্র ১৯ রান যোগ করতে পারেন শান্ত ও অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এতে ২০ ওভারে ২ উইকেটে ১৫৮ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। ১টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৬ বলে অপরাজিত ৪৭ রান করেন শান্ত। ৬ বলে ৪ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন সাকিব। ইংল্যান্ডের রশিদ ও জর্ডান ১টি করে উইকেট নেন।
বাসস