দীপ্ত স্টার হান্টের বিজয়ী শফিউল রাজ

গ্র্যান্ড ফিনালের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে বেসরকারি টেলিভিশন দীপ্ত টিভির প্রতিভা অন্বেষণের রিয়েলিটি শো ‘স্টার হান্ট’। তিন মাসের প্রতিযোগিতা শেষে গতকাল শুক্রবার রাতে ঘোষণা করা হয় সেরাদের নাম। এতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন কিশোরগঞ্জের মিষ্টি ঘোষ ও বরিশালের সাকিব হোসাইন। মজার বিষয় হলো ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন, ফার্স্ট ও সেকেন্ড রানার্স আপ- তিনজনই বরিশাল বিভাগের!

প্রথম রানার্স আপ হয়েছেন বরিশালের শফিউল রাজ ও দ্বিতীয় রানার্স আপ হয়েছেন বরিশালের হাফিজ রহমান। মেয়েদের মধ্যে রানার্স আপ হয়েছেন যশোরের ফারিহা রহমান ও দ্বিতীয় রানার্স আপ হয়েছেন সিলেটের সানজিদা চৌধুরী।

বিজয়ীদের হাতে এদিন তুলে দেওয়া হয় ক্রেস্ট। এ ছাড়া দুই বছরের চুক্তিতে তারা অভিনয়ের সুযোগ পাবেন বড় পর্দার সিনেমা, ওয়েব ফিল্ম, ওয়েব সিরিজ ও টেলিভিশন ধারাবাহিকে।

মিষ্টি ঘোষের মঞ্চনাটক দিয়ে অভিনয়ে হাতেখড়ি হয় ২০১৬ সালে। ঢাকায় এসে অভিনয়ের সঙ্গে নাচের তালিমও নিয়েছেন। স্নাতকোত্তর শেষ করে চাকরি করছেন ঢাকার একটি ফ্যাশন হাউসের ডিজিটাল বিপণন বিভাগে। ১০টা-৫টার চাকরি করলেও ভেতরে ভেতরে সব সময় অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন লালন করে গেছেন। এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া এক বন্ধুর পরামর্শে নিবন্ধন করেন, এরপর সেরা ৪০, ২০ ও ১৬ পেরিয়ে পৌঁছে যান সেরা ১০-এ। সেরা দশের একটি রাউন্ডে খারাপ পারফরম্যান্সে বাদ পড়েন। তবে বিচারকদের বিশেষ বিবেচনায় তাকে একটা সুযোগ দেওয়া হয়। সুযোগটা দারুণভাবে কাজে লাগান মিষ্টি। বাদ পড়তে যাওয়ার অবস্থা থেকে চ্যাম্পিয়নের মুকুট এখন তার মাথায়!

বরিশালের সাকিব হোসাইন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগে চতুর্থ বর্ষে পড়ছেন। ক্যামেরার পেছনেও কাজ করছেন। তার নির্দেশিত কিছু স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রও জায়গা পেয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে। ক্যামেরার সামনে কাজ করার আগ্রহ তেমন না জন্মালেও প্রতিযোগিতার ফেসবুক পোস্ট দেখে নিবন্ধন করে ফেলেন তিনি। প্রতিটি ধাপ পেরিয়ে হেয়ে যান চ্যাম্পিয়ন। তার কথায়, ‘শুধু চ্যাম্পিয়ন হয়েছি বলেই দিনটি আমার জন্য বিশেষ নয়। এদিন বাবা উপস্থিত ছিলেন। স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো বিশেষ দিনে বাবাকে সামনে পাইনি। নাম ঘোষণার আগে যখন তার দিকে তাকাচ্ছিলাম, তখন খুব আবেগপ্রবণ হয়ে যাচ্ছিলাম।’

প্রথম রানার্স আপ হয়েছেন বরিশালের শফিউল রাজও থিয়েটারের একনিষ্ঠ কর্মী। সুদর্শন এই তরুণ ভবিষ্যতে নিজের কাজ দিয়ে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে চান। তিনি বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের সঙ্গেও কাজ করেন। সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ জানা ছেলেটি সহজে বোঝেন তাদের কথা, আর অন্যদের কথা বুঝিয়ে দেন তাদের।

এই রিয়েলিটি শোতে প্রধান তিন বিচারক ছিলেন তারিক আনাম খান, শিহাব শাহীন ও রাফিয়াত রশিদ মিথিলা।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

five − 4 =