ভারতীয় সিনেমা আমদানির অনুমতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। সে অনুযায়ী বছরে ১০টি ভারতীয় সিনেমা মুক্তি পাবে বাংলাদেশে। মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে জানা গেছে এ তথ্য। সেখানে বলা হয়েছে, উপমহাদেশীয় ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্র আমদানি সংক্রান্ত সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ইতিবাচক মতামতের ভিত্তিতে বিদ্যমান আমদানি নীতি আদেশ ২০২১-২০২৪-এর ২৫ (৩৬) (গ) উপ-অনুচ্ছেদের শর্ত প্রতিপালনপূর্বক বাংলাদেশী চলচ্চিত্র রপ্তানির বিপরীতে সাফটা ভুক্ত দেশ হতে উপমহাদেশীয় ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্র আমদানি করার জন্য নিম্নোক্ত শর্ত সাপেক্ষে পরীক্ষামূলকভাবে নির্দেশক্রমে অনুমতি প্রদান করা হয়।
দেশের প্রেক্ষাগৃহে উপমহাদেশের ছবি মুক্তিতে ৫টি শর্ত আরোপ করা হয়। তা হলো: (ক) বাংলাদেশের বৈধ চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিবেশকগণ উপমহাদেশীয় ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্র আমদানি করার সুযোগ পাবেন। (খ) উপমহাদেশীয় ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্র বাংলা সাবটাইটেলসহ পরীক্ষামূলকভাবে শুধু ০২ (দুই) বছরের জন্য রপ্তানির বিপরীতে আমদানি করার সুযোগ থাকবে। (গ) প্রথম বছর ১০(দশ)টি বাংলাদেশী চলচ্চিত্র রপ্তানির বিপরীতে সমান সংখ্যক চলচ্চিত্র আমদানি করতে পারবে। (ঘ) আমদানিকৃত উপমহাদেশীয় ভাষার চলচ্চিত্র প্রদর্শনের পূর্বে অবশ্যই বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের সনদ গ্রহণ করতে হবে। (ঙ) বাংলাদেশে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর, ঈদ-উল আযহা ও দুর্গা পূজার সপ্তাহে এই আদেশ বলে আমদানীকৃত চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা যাবে না।
হিন্দি সিনেমা মুক্তি নিয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সেক্রেটারি আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল বলেন, ‘হিন্দি সিনেমা মুক্তির অনুমতি পেয়েছি তবে ঈদ উৎসবে সেটি চালানো যাবে না। ‘পাঠান’ মুক্তি নিয়ে প্রসেস অনেকদূরই এগিয়েছে বলে জেনেছি। এটি হয় ঈদের আগে মুক্তি দিতে হবে নয়তো ঈদের পর। ঈদের আগে মুক্তি দিলে এক সপ্তাহ চালাতে পারবে এরপর আবার ঈদের পরে চালাতে হবে।’
এর আগে শর্ত সাপেক্ষে ভারতীয় সিনেমা আমদানির পক্ষে সম্মত হয় ঢাকাই চলচ্চিত্রের প্রযোজক, প্রেক্ষাগৃহ মালিক, পরিচালক, অভিনয় শিল্পী ও কলাকুশলীদের ১৯ সংগঠন। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি এসব সংগঠনের জোট সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদ এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা তুলে দেয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে।