সালেক সুফী
ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেন্ট কীটসে নিজেদের প্রিয় ফরমেট ওডিআই সিরিজে পর পর দুটি ম্যাচ হেরে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এখন আরো একটি সিরিজ ধবল ধোলাইয়ের মুখে। আজ সেন্ট কিটসের ব্যাটিং স্বর্গে বাংলাদেশ ব্যাটিং মড়ক লাগায় ২২৭ রানে শেষ হবার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনায়েসে ৩৬.৫ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৩৬ রান করে ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় , সবার জানা প্রথম ম্যাচে ২৯৪ রান করেও বোলিং ব্যার্থতায় জয় পায় নি বাংলাদেশ। হেরেছিল ৫ উইকেটে। তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এখন ২-০ এগিয়ে। দুটি দল এযাবৎ ৪৬ বার ওডিআই ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে। ২১ জয়ের বিপরীতে বাংলাদেশের পরাজয় ২৩ ম্যাচে। দেশের ক্রিকেট আমাদের যখন অনুর্ধ ১৯ দলের এশিয়া কাপ জয় উৎযাপন করছে ঠিক তখন জাতীয় দলের ব্যার্থতা মেনে নেয়া কঠিন।
সেন্ট কিট্স্ উইকেট ব্যাটিং সহায়ক। কিন্তু সেখানেও কাল প্রথমে ব্যাটিং করে টপ অর্ডার মুড়ি মুড়কির মত মুড়মুড়িয়ে ভেঙে পরে। সৌম্য ,লিটন ,মিরাজ জেইডন সিলসের সামনে দাঁড়াতেই পারে নি. তানজিদ তামিম ( ৪৬) আর আফিফ (২৪) কিছুটা প্রতিরোধ করলেও ১১৫ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ ইনিংস মহামারী গ্রস্ত ছিল. সেখান থেকে নীরব ঘাতক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (৬২) তানজিম তামিমকে ( ৪৫) সাথী করে ৮ম উইকেট জুটিতে ৯২ রান যোগ করে দলকে কিছুটা ভদ্র গোছের পুঁজি এনে দেয়। তবুও বলতে হবে এই উইকেটে ২২৭ রান সামান্য পুঁজি যেখানে একই উইকেটে আগের ম্যাচে ২৯৪ করার পরেও বাংলাদেশের আফসোস ছিল আরো ২০-২৫ রানের। জেইডেন সিলস ( ৪/২২) আর গুডাকেশ মোতি (২/৩৬) ধস নামায় বাংলাদেশ ইনিংসে। বাংলাদেশের সহকারী কোচ এবং ব্যাটিং মেন্টর সালাউদ্দিন নিঃসন্দেহে কষ্ট পেয়েছেন শিষ্যদের ব্যাটিং ব্যার্থতায়।
সহজ টার্গেট আরো সহজ হয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ দুই ওপেনার ব্রেডন কিং (৮২) আর এলভিন লুইসের ( ৪৯) উদ্বোধনী জুটির ১০৯ রানের কল্যানে। ৩ নম্বরে ব্যাটিং করে কেসি কার্থি ব্রেন্ডনের সঙ্গে যোগ করে ৬৬ রান. একচেটিয়া খেলে অনায়েসে ম্যাচ জয় করে স্বাগতিক দল। সহজ উইকেটে বোলারদের বিশেষ কিছু করার ছিল না.
বলতেই হবে ব্যাটিং বোলিং কিছুই মন মত হয় নি বাংলাদেশের।কোন অজুহাত নেই বাংলাদেশের। আগামী বছর ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সামনে রেখে টিম ম্যানেজমেন্টকে এখন থেকে দল সাজানোর জন্য কিছু অজনপ্রিয় কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে. টেস্ট সিরিজ ১-১ শেষ করে যে উদ্দীপনা জেগেছিলো পর পর দুটি ওডিআই ম্যাচে পরাজয় তার অনেকটাই ম্লান করে দিলো। বিশেষ করে কাল টপ এবং মিডল অর্ডার ব্যাটিং ব্যার্থতা ছিল কষ্টদায়ক। এখন দেখা যাক শেষ ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়ে মুখ রক্ষা হয় কিনা?
আমরা কোন দলকে ধবল ধোলাই করলে বলি বাংলা ওয়াশ। তাহলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ধবল ধোলাইকে কি বলবো :”কৃষ্ণওয়াশ” ; পরের খেলাটি জিতে আমাদের অবশ্যই ক্যারিবিয়ান সাগরে কৃষ্ণ স্নাণ এড়াতেই হবে।