নাজরিয়া নাজিমের চমকে

ভারতের মালয়ালম ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় তারকা নাজরিয়া নাজিম। ‘বিরতি, ফিরে আসা’—এ দুই শব্দ বারবার ঘুরেফিরে এসেছে তাঁর ক্যারিয়ারে। শিশুশিল্পী হিসেবে ২০০৬ সালে অভিনয় শুরু করেছিলেন। চার বছরের বিরতির পর আবার দুটি সিনেমায় দেখা যায় তাঁকে। এরপর টেলিভিশনে উপস্থাপনা করেছেন। নায়িকা হিসেবে অভিষেক হয় ২০১৩ সালে ‘মাড ড্যাড’ সিনেমা দিয়ে। প্রথম সিনেমাতেই বাজিমাত করেন নাজরিয়া।

এরপর দুই বছর অসাধারণ সব কাজ করেছেন তিনি। ‘নিরাম’, ‘রাজা রানি’, ‘নেইয়ান্দি’, ‘সালাহ মোবাইল’, ‘ওম শান্তি অশানা’, ‘বেঙ্গালুরু ডেজ’—সব সিনেমায় পুরো লাইমলাইট নিজেই কেড়ে নিয়েছেন। পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার। তবে ২০১৪ সালে মালয়ালম অভিনেতা ফাহাদ ফাসিলকে বিয়ে করে আবারও চলে যান বিরতিতে। ফেরেন চার বছর পর ‘কোডি’ দিয়ে। এতেও ব্যাপক প্রশংসিত হন। তবে প্রশংসা, স্বীকৃতি কিংবা বক্স অফিস সাফল্য যতই আসুক, নাজরিয়া আর নিয়মিত হননি অভিনয়ে; বরং ক্যামেরার পেছনে থেকে ‘ভেরাথান’, ‘কুম্বালাঙ্গি নাইটস’, ‘সি ইউ সুন’, ‘আভেশাম’-এর মতো সিনেমা প্রযোজনা করেছেন। ২০২০ সালে দুটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন নাজরিয়া। চার বছরের বিরতি দিয়ে আবার ফিরেছেন গত বছর নভেম্বরে। ‘সূক্ষ্মদর্শিনী’ দিয়ে এবারও নিজের প্রত্যাবর্তন উজ্জ্বল করে রেখেছেন অভিনেত্রী।

১০ কোটি রুপি বাজেটের সিনেমাটি হল থেকে বিশ্বজুড়ে আয় করেছে ৬০ কোটির বেশি। ২০২৪ সালের অন্যতম সফল মালয়ালম সিনেমা এটি। সিনেমা হলে সাফল্যের পর সূক্ষ্মদর্শিনী ওটিটিতে এসেছে সম্প্রতি। ডিজনি প্লাস হটস্টারে ১১ জানুয়ারি মুক্তির পর সাফল্য পাচ্ছে সেখানেও।

সূক্ষ্মদর্শিনী সিনেমায় প্রিয়া অ্যান্থনি চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাজরিয়া। এ চরিত্রকে কেন্দ্র করেই সিনেমার গল্প। একদিন নতুন বাসিন্দা আসে গ্রামে। তাদের নিয়ে সবার কৌতূহল। প্রিয়া আবিষ্কার করে, ম্যানুয়েল নামের ওই নতুন প্রতিবেশীর আচরণ স্বাভাবিক নয়। ম্যানুয়েলকে অনুসরণ করতে থাকে প্রিয়া। শেষ পর্যন্ত এমন এক সত্যের সন্ধান পায় সে, তা চমকে দেয় সবাইকে।

কমেডি, থ্রিলার ও পারিবারিক উপাদানের মিশেলে তৈরি সূক্ষ্মদর্শিনী সবার মন কেড়েছে। অনেক বছর পর পর্দায় এসে নাজরিয়া নাজিমও মুগ্ধ করেছেন সবাইকে। তাই ভক্তদের অপেক্ষা, নতুন সিনেমায় আবার কবে দেখা যাবে নাজরিয়াকে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

ten − 10 =