নায়ক রাজ রাজ্জাকের জন্মদিন আজ মঙ্গলবার। বেঁচে থাকলে আজ তিনি ৮২-তে পা দিতেন। ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট বাংলাদেশের গর্ব, আমাদের সবারই প্রিয় নায়ক রাজ রাজ্জাক ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তার তিন ছেলের মধ্যে দুই ছেলে বাপ্পারাজ ও সম্রাট অভিনয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। আরেক ছেলে বাপ্পী দেশের বাইরেই স্থায়ী হয়েছেন। বিভিন্ন টিভি চ্যানেল নায়ক রাজের জন্মদিন উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করেছে, যা সব সময়ই করে আসে গণমাধ্যমগুলো।
বাবার জন্মদিন প্রসঙ্গে নায়ক রাজ রাজ্জাকের ছোট ছেলে সম্রাট বলেন, সত্যি বলতে কী দিন যত যাচ্ছে যে কারও জন্মদিন নিয়ে উচ্ছ্বাসটা কমে যাচ্ছে। একটা সময় আব্বুর জন্মদিনে বড় পার্টি হতো। সেই সময়টা খুব উপভোগ করতাম। কিন্তু এখন তো আসলে বিশেষ দিন বলেই যে এমন তা নয়, আব্বুর জন্য সব সময়ই দোয়া করি। আব্বুর কবরের কাছে যাই, আজকেও যাব। আল্লাহর কাছে দোয়া করে শুধু এতটুকুই বলব আল্লাহ যেন আমার আব্বুকে বেহেস্ত নসিব করেন। আব্বু কোনোদিন কাউকে কোনো কষ্ট দিয়ে থাকলে যেন ক্ষমা করে দেন। শুধু দোয়া চাই সকলের কাছে।
জন্মদিনে কেউ বিশেষ আয়োজন করলেন কি করলেন না- এসব নিয়ে আমাদের সত্যিই কোনো ভাবনা নেই। বাংলাদেশের সিনেমায় আজ থেকে ৫৮ বছর আগে অর্থাৎ ১৯৬৬ সালে ‘১৩নং ফেকু ওস্তাগার লেন’ সিনেমায় ছোট্ট একটি চরিত্রে অভিনয় করে চলচ্চিত্রে অভিনয়ে তার যাত্রা শুরু হয়। তবে জহির রায়হানের ‘বেহুলা’ সিনেমায় অন্যতম প্রধান চরিত্রে অভিনয় করে চলচ্চিত্রে নিজের অবস্থান গড়ে নেন। এরপর থেকে টানা কয়েক দশক প্রধান নায়ক হিসেবেই তিনি অভিনয় করে গেছেন। তার অভিনীত অনেক উল্লেখযোগ্য সিনেমা রয়েছে।
যার মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- ‘কাগজের নৌকা’, ‘রংবাজ’, ‘আমার জন্মভূমি’, ‘স্বপ্ন দিয়ে ঘেরা’, ‘স্লোগান’, ‘ঝড়ের পাখি’, ‘স্বরলিপি’, ‘আলোর মিছিল’, ‘বেঈমান’, ‘আবির্ভাব’, ‘মনের মতো বউ’,‘ জীবন থেকে নেওয়া’,‘ দর্পচূর্ণ’, ‘যে আগুনে পুড়ি’, ‘টাকা আনা পাই’, ‘নাচের পুতুল’, ‘ওরা ১১ জন’, ‘অবুঝ মন’, ‘অনন্ত প্রেম’, ‘ছুটির ঘণ্টা’, ‘আনার কলি’, ‘রজনীগন্ধা’, ‘বড় ভালো লোক ছিল’, ‘তওবা’, ‘চাপা ডাঙ্গার বউ’, ‘সন্ধি’।
বহুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এবং স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নায়ক রাজ রাজ্জাক বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। নায়ক রাজের ৭৫তম জন্মদিনে ওমর ফারুকের লেখা ও বাপ্পা মজুমদারের সুর সংগীতে ‘নায়ক রাজ’ শিরোনামের একটি গান করা হয়েছিল। গানটি প্রযোজনা করেছিলেন আরশাদ আদনান। গানটি গেয়েছিলেন কুমার বিশ^জিৎ, ফাহমিদা নবী, বাপ্পা মজুমদার ও আঁখি আলমগীর।