নারী এশিয়া কাপ: এক ওভারে লন্ডভন্ড বাংলাদেশ

নারী টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপে শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচ জিততে বৃষ্টি আইনে ৭ ওভারে ৪১ রানের টার্গেট পেয়েছিলো বাংলাদেশ। জবাবে ৫ ওভারে ২ উইকেটে ২৭ রান তুলেছিলো টাইগ্রেসরা। তাই শেষ ২ ওভারে ৮ উইকেট হাতে নিয়ে ১৫ রান দরকার ছিলো তাদের।

কিন্তু ষষ্ঠ ওভারে শ্রীলংকার বাঁ-হাতি স্পিনার ইনোকা রানাবিরার ঘুর্ণি সামলাতে না পেরে ৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের সুযোগ হাতছাড়া করে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ৭ ওভারে ৭ উইকেটে ৩৭ রান করতে পারে স্বাগতিকরা। ফলে শ্রীলংকার কাছে বৃষ্টি আইনে ৩ রানে ম্যাচ হার হজম করতে হয় বাংলাদেশকে। প্রথমে ব্যাট করে বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হবার আগে পর্যন্ত ১৮ দশমিক ১ ওভারে ৫ উইকেটে ৮৩ রান করে শ্রীলংকা।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস জিতে প্রথমে বোলিং করতে নামে বাংলাদেশ। শুরু থেকেই শ্রীলংকাকে চাপে রেখেছিলো বাংলাদেশের বোলাররা। ৮ ওভারে ৩১ রানে লংকানদের ৩ উইকেট তুলে নেন সানজিদা-রুমানা ও জাহানারা।

শুরুর ধাক্কা আর সামলে উঠতে পারেনি শ্রীলংকা। ৭৭ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় তারা। ১৮ দশমিক ১ ওভার শেষে শ্রীলংকার রান ছিলো ৫ উইকেটে ৮৩। এরপর বৃষ্টি নামলে বন্ধ হয় খেলা। টানা বৃষ্টিতে প্রায় দেড় ঘন্টা খেলা বন্ধ ছিলো। পরবর্তীতে আর মাঠে গড়ায়নি শ্রীলংকার বাকী ইনিংসটুকু। এতে বৃষ্টি আইনে ৭ ওভারে ৪১ রানের টার্গেট পায় বাংলাদেশ। বল হাতে বাংলাদেশের রুমানা ১৪ রানে ২টি, জাহানারা-সানজিদা-ফাহিমা ১টি করে উইকেট নেন। শ্রীলংকার পক্ষে সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন নিলাকশি ডি সিলভা।

৭ ওভারে ৪১ রানের টার্গেটে শুরুতে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওভারে মুরশিদা খাতুন ১ ও তৃতীয় ওভারে ফারজানা হক ১ রান করে ফিরেন। ১২ রানের মধ্যে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর তৃতীয় উইকেটে ১৫ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে লড়াইয়ে ফেরান অধিনায়ক নিগার সুলতানা ও রুমানা।

কিন্তু ষষ্ঠ ওভারে রানাবিরার ঘুর্ণিতে দিশেহারা হয়ে পড়ে বাংলাদেশের মিডল-অর্ডার ব্যাটাররা। ৩ রানের ব্যবধানে চার ব্যাটারের বিদায়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে বাংলাদেশ। ২ উইকেটে ২৭ রান থেকে ৬ উইকেটে ৩০ রানে পরিণত হয় বাংলাদেশ। রুমানা ৮, নিগার ১২, সোবহানা ১ রান করে রানাবিরার শিকার হন। ফাতিমা খাতুন ১ রানে রান আউট হন।

চরম বিপর্যয়ের ষষ্ঠ ওভার শেষে, শেষ ওভারে জিততে ১২ রানের সমীকরন পায় বাংলাদেশ। প্রথম চার বলে ১ করে চার রান নেন রিতু মনি ও সালমা খাতুন। পঞ্চম বলে রান আউট হন সালমা। ২ রান করেন তিনি। শেষ বলটি ওয়াইড হয়। পরের ডেলিভারিতে মাত্র ১ রান পান রিতু। ৭ ওভারে ৭ উইকেটে ৩৭ রান করে হতাশার হার বরণ করে নেয় বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের পক্ষে নিগারের ১২ রানই ছিলো সর্বোচ্চ। শ্রীলংকার রানাবিরা ৭ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা। এই হারে ৫ ম্যাচে ২ জয় ও ৩ হারে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পঞ্চমস্থানে বাংলাদেশ। সমানসংখ্যক ম্যাচে ৪ জয় ও ১ হারে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয়স্থানে শ্রীলংকা। বাংলাদেশের সেমিফাইনাল খেলার আশা ঝুলে আছে থাইল্যান্ডের উপর। শেষ ম্যাচে থাইল্যান্ডকে হারতে হবে। আর রান রেট ভালো রেখে নিজেদের শেষ ম্যাচে জিততে হবে বাংলাদেশকে।

আগামীকাল লিগ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ নারী দল। আর আজ ভারতের মুখোমুখি হবে থাইল্যান্ড।

বাসস

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

nine − nine =