নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়

দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে সুযোগ ছিল প্রথমবারের মত নারী টি-টোয়েন্টি  বিশ্বকাপের শিরোপা জিতে ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নেওয়া। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকাকে হতাশ করে টানা তৃতীয়বার ও সব মিলিয়ে ষষ্ঠবারের মত নারী টি-টোয়েন্টি  বিশ্বকাপের শিরোপা জয় করেছে ফেবারিট অস্ট্রেলিয়া। রোববার নিউল্যান্ডসে ১৯রানে জয়ী হয়ে শিরোপা ধরে রেখেছে অসিরা। এর আগে অস্ট্রেলিয়া ২০১০, ২০১২, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২০ সালে নারী টি-টোয়েন্টি  বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলেছে।

উদ্বোধনী ব্যাটার বেথ মুনি অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের মূল কান্ডারি ছিলেন। তার করা অপরাজিত ৭৪ রানে টস জয়ী অস্ট্রেলিয়া প্রথমে ব্যাটিং থেকে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৬ রান সংগ্রহ করে। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা কখনই প্রয়োজনীয় রান রেট স্পর্শ করতে পারেনি। ওপেনার লরা উলভার্টের ৪৮ বলে ৬১ রানের ঝকঝকে ইনিংস সত্বেও প্রোটিয়াদের ইনিংস ৬ উইকেটে ১৩৭ রানে গুটিয়ে যায়।

সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়ের দুই সফল ব্যাটার উলভার্ট ও তার ওপেনিং পার্টনার তাজমিন ব্রিটস কাল শুরুটা ভাল করতে পারেননি। দলীয় ১৭ রানে ব্রিটস (১০) ডারসি ব্রাউনের করা পঞ্চম ওভারের শেষ বলে মিড অনে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজ ঘরের পথ দেখেন। ওয়ান ডাউনে খেলতে নেমে মারিজানে কাপ দুটি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন। কিন্তু তার ইনিংসও ১১ রানে শেষ হয়। দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক সুনে লুস মাত্র দুই রানে রান আউট হয়ে ফিরে যান। এ সময় স্বাগতিকদের জয়ের জন্য ৫৬ বলে ১০৩ রানের প্রয়োজন ছিল।

উলভার্ট ও হার্ড হিটিং কোলে ট্রায়ন চতুর্থ উইকেটে আগ্রাসী ব্যাটিং উপহার দিয়ে ১৫ হাজার স্বাগতিক দর্শককে কিছুটা হলেও আনন্দ দিয়েছেন। এই জুটি ৩৭ বলে ৫৫ রানের পার্টনারশীপ গড়ে তুলেন। কিন্তু ১৭তম ওভারে মেগান শুটের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে উলভার্ট ফিরে গেলে দক্ষিণ আফ্রিকার সব আশা কার্যত শেষ হয়ে যায়। উলভার্ট ৪৮ বলে ৩টি ওভার বাউন্ডারি ও ৫টি বাউন্ডারির সহায়তায় সর্বোচ্চ ৬১ রান সংগ্রহ করেছেন।

অস্ট্রেলিয়ান বাঁহাতি ওপেনিং ব্যাটার মুনি খেলেছেন অসাধারণ ইনিংস। ৫৩ বলে ১টি ওভার বাউন্ডারি ও ৯টি বাউন্ডারির সহায়তায় ৭৪ রানে অপরাজিত ছিলেন ম্যাচ সেরা এই ব্যাটার। অধিনায়ক মেগ ল্যানিংয়ের পরিবর্তে আগে ব্যাটিংয়ে নেমেছেন এ্যাশ গার্ডনার ও গ্রেস হ্যারিস। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা কিছুটা ধীর গতিতে পারফর্ম করেছেন, তবে তাদেরকে সবদিক থেকে সহায়তা করেছে উজ্জীবিত ফিল্ডাররা। পুরো টুর্নামেন্টে দারুন বোলিং করা শাবনিম ইসমাইল ও কাপ উভয় দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।

কিন্তু অস্ট্রেলিয়ান বোলাররা দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটারদের উপর চাপ প্রয়োগ করে খেলতে থাকে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য অস্ট্রেলিয়ান শক্তিশালী বোলিংয়ের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা আর পেরে উঠেনি। ম্যাচ শেষে বিথ মুনি বলেছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলতে আসা সবসময়ই উপভোগ করি। এখানকার দর্শকদের সামনে খেলতে পারাটা বিশেষ কিছু।’

বাসস

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

16 + seventeen =