মুজিব বর্ষ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদ্যাপনের অংশ হিসেবে নিউইয়র্কের কুইন্স পাবলিক লাইব্রেরিতে ‘বাংলা কর্নার’ স্থাপন করা হয়েছে।বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল নিউইয়র্কের উদ্যোগে ও কুইন্স পাবলিক লাইব্রেরির সহযোগিতায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন মঙ্গলবার এ কর্নার উদ্বোধন করেন।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি কমিউনিটির সর্ববৃহৎ আবাসস্থল নিউ ইয়র্কের কুইন্স বোরো যেখানে ইংরেজি, স্প্যানিশ ও চাইনিজের পরই বাংলা চতুর্থ বৃহৎ ভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কুইন্স পাবলিক লাইব্রেরির ‘বাংলা কর্নার’-এ ৩০৯টি বই দিয়েছে বাংলাদেশ কনস্যুলেট। বইগুলো বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বিষয়ে দেশের প্রথিতযশা লেখক ও সাহিত্যিকদের লেখা। এ ছাড়া উপন্যাস, গল্পসমগ্রসহ শিশু-কিশোর উপজীব্য বই স্থান পেয়েছে।
‘বাংলা কর্নার’ উদ্বোধনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সাল বিভিন্ন দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এ বছর আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং আজ জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন।তিনি বলেন, এ বছর বাংলাদেশের আরেকটি উল্লেখযোগ্য প্রাপ্তি হলো স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা হতে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার সকল সূচকে সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে।
এ সময় তিনি কুইন্স লাইব্রেরিকে ঘিরে স্মৃতিচারণ করেন। আরও বলেন, আমরাই একমাত্র জাতি যারা ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছি। তিনি আশা প্রকাশ করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মদের নিয়ে এই ’বাংলা কর্নার’-এ আসবেন এবং বই পড়বেন।
এই বিশেষ দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ৩২টি ভাষণের সংকলন ও বিশ্লেষণ এবং প্রধানমন্ত্রীর ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে ৭৫ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির লেখনী সংবলিত বিশেষ সংকলন কুইন্স পাবলিক লাইব্রেরিকে উপহার দেন মন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিজের লেখা বেশ কয়েকটি বই লাইব্রেরির প্রেসিডেন্ট ডেনিস ওয়ালকটের হাতে তুলে দেন। এ সময় কমিউনিটিতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে একটি সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন ওয়ালকট। বইগুলো কুইন্স পাবলিক লাইব্রেরির প্রধান শাখায় ৬ মাস প্রদর্শিত হবে এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন শাখায় সংগৃহীত থাকবে।
দেশ রূপান্তর