আপিল বিভাগ তার রায়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার পরীজাদা শহীদুল হারুণকে পক্ষপাতদুষ্ট অভিহিত করে, ভোট কেনার দুর্নীতির দায়ে জায়েদ খানের প্রার্থীতা বাতিলের রায় দিয়েছেন। এর প্রতিক্রিয়ায় পীরজাদা-জায়েদ দুজনই বলছেন একই সুরে। তাদের বক্তব্য এই আপিল বিভাগ নিজেই অবৈধ।
জায়েদ খান তার বক্তব্যে বলেন,‘এখানে আপিল বোর্ডের কোনো মূল্য নেই। তারা এরকম কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারে না৷ এটা আইন বহির্ভূত, পৃথিবীতে এমন নজিরবিহীন ঘটনা নেই। প্রজ্ঞাপনের পর আপিল বোর্ড কীভাবে এ রায় ঘোষণা করে? আমি আইনি ব্যবস্থা নেব।’
অন্যদিকে আপিল বোর্ডকেই অবৈধ উল্লেখ করে জানিয়েছেন পীরজাদা বলেন, “নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী আপিল বোর্ড এখন মৃত। তার কোনো রায় দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন না।”
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে পীরজাদা হারুন বলেন, ‘মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে গঠনতন্ত্র এবং নির্বাচনের তফসিল দেখার জন্য। তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনের পর দিন ২৯ জানুয়ারি বিকেল ৫টার পর আপিল বোর্ডের হাতে আর কোনো ক্ষমতা নাই। ৩০ জানুয়ারি থেকে নির্বাচন কমিশনের হাতেও কোনো ক্ষমতা নাই। এখন হাইকোর্টের দরজা খোলা আছে, ক্ষুব্ধ হয়ে হাইকোর্টে যেতে পারেন। কিন্তু আপিল বোর্ড বা নির্বাচন কমিশন আর কাউকে বিজয়ী ঘোষণা করতে পারেন না।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ‘ভোট কেনার’ অভিযোগ তুলে নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের আবেদন করেন পরাজিত প্রার্থী নিপুণ আক্তার। আবেদনের প্রেক্ষিতে শনিবার সন্ধ্যায় আপিল বোর্ড জানায়, জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নিপুণকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।
এ দিন আপিল বোর্ড এর মিটিংয়ে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছিল অভিযোগকারী নিপুণ, অভিযুক্ত জায়েদ খান, চুন্নু, সমিতির নতুন সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন ও দুই নির্বাচন কমিশনারকে। তবে অভিযোগকারী নিপুণকে আপিল বোর্ডের সভায় দেখা গেলেও পাওয়া যায়নি জায়েদ খান ও চুন্নুকে।
বার্তা২৪