প্রথম ম্যাচে জিতলেও কাতার বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ড্র করলো নেদারল্যান্ডস ও ইকুয়েডর। শনিবার গ্রুপ-এ’র ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর ১-১ গোলে ড্র করে নেদারল্যান্ডস ও ইকুয়েডর। এই ড্র’তে ২ ম্যাচে সমান ৪ করে পয়েন্ট দু’দলের। এ ম্যাচ জিতে শেষ ষোলোর পথে এগিয়ে যাবার সুযোগ ছিলো দুই দলেরই।
বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই জয় পেয়েছিলো নেদারল্যান্ডস ও ইকুয়েডর। ২-০ গোলের ব্যবধানেই নেদারল্যান্ডস হারায় সেনেগালকে এবং ইকুয়েডর হারিয়েছিলো স্বাগতিক কাতারকে।
শেষ ষোলোতে এক পা দিয়ে রাখতে দোহার খালিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয় নেদারল্যান্ডস ও ইকুয়েডর। শুরুতেই আক্রমনাত্মক ফুটবল খেলে নেদারল্যান্ডস। তৎযার ফলশ্রুতিতে দ্রুতই গোলের দেখা পেয়ে যায় তারা।
ষষ্ঠ মিনিটে মিডফিল্ডার ডেভি ক্লাসেনের কাছ থেকে বল পেয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে বাঁ-পায়ের জোড়ালো শটে গোল করেন স্ট্রাইকার কোডি গাকপো। এবারের আসরে এখন পর্যন্ত এটি দ্রুততম গোল। আগের ম্যাচে সেনেগালের বিপক্ষেও গোল করেছিলেন গাকপো।
শুরুতে পিছিয়ে পড়ায় গোলের জন্য গোছালো ফুটবল খেলতে শুরু করে ইকুয়েডর। কিন্তু নেদারল্যান্ডসের রক্ষণ দুর্গে ফাটল ধরাতে পারছিলো না তারা। ৩২ মিনিটে গোলের ভালো সুযোগ পেয়েছিলেন আগের ম্যাচে কাতারের বিপক্ষে জোড়া গোল করা এনার ভ্যালেন্সিয়া।
স্ট্রাইকার মাইকেল এসট্রাডার ক্রস থেকে বল নিয়ে ভ্যালেন্সিয়ার ডান-পায়ের করা শট বাঁ-দিকে ঝাপিয়ে পড়ে প্রতিহত করেন ইকুয়েডরের গোলরক্ষক হারনান গালিনডেজ। গোল বঞ্চিত হয় ইকুয়েডর।
লিড নিয়ে এগিয়ে প্রথমার্ধ শেষ হবার পথেই ছিলো নেদারল্যান্ডস। অতিরিক্ত সময়ের তৃতীয় মিনিটে গোল পায় ইকুয়েডর। ডিফেন্ডার পারভিস এস্তুপিনানের গোল ভিএআরের সহায়তায় নিয়ে অফসাইডে বাতিল করেন রেফারি। এই গোল বাতিলে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় নেদারল্যান্ডস।
প্রথমার্ধের শেষে গোল করেও বাতিল হবার হতাশা দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে মুছে ফেলে ইকুয়েডর। মধ্যমাঠ থেকে বল নিয়ে নেদাল্যান্ডসের গোল মুখে শট নেন এস্তুপিনানে। তার শট বাঁ-দিকে ঝাপিয়ে পড়ে দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন নেদারল্যান্ডসের গোলরক্ষক আন্দ্রিয়েস নোপার্ট। তবে পরক্ষনেই ম্যাচের ৪৯ মিনিটে ফিরে আসা বলে বাঁ-পায়ের শটে গোল করেন ভ্যালেন্সিয়া গোল করলে ম্যাচে ১-১ সমতা আনে ইকুয়েডর।
৬৬ মিনিটে গোলের সুযোগ মিস করেন নেদারল্যান্ডসের মিডফিল্ডার টিয়ান কুপমেইনার্স। ৮১ মিনিটে গোলের সুযোগ হাতছাড়া করে ইকুয়েডরও। কর্ণার থেকে বল পেয়ে প্রতিপক্ষের গোলবারের বাইরে শট নেন ইকুয়েডরের ডিফেন্ডার এ্যাঞ্জেলো পেরেসিয়াডো।
ম্যাচের বাকি সময় আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ করেও বলকে জালে পাঠাতে পারেনি কোন দলই শেষ পর্যন্ত ড্র নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের।
আগামী ২৯ নভেম্বর গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলবে নেদারল্যান্ডস ও ইকুয়েডর। দোহার খালিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে সেনেগালের বিপক্ষে খেলবে ইকুয়েডর। আল-খোরের আল-বায়াত স্টেডিয়ামে কাতারের বিপক্ষে লড়বে ডাচরা। শেষ রাউন্ডের ম্যাচেই নির্ধারন হবে এই গ্রুপ থেকে শেষ ষোলোর টিকিট পাবে কোন দু’টি দল। শেষ ষোলোর সুযোগ আছে নেদারল্যান্ডস-ইকুয়েডর ও সেনেগাল তিন দলেরই । প্রথম দুই ম্যাচ হেরে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে কাতারের।
বাসস