সৃজিত মুখার্জির পদাতিক সিনেমার শুটিংয়ের কিছুদিন আগে বাবা হারান চঞ্চল চৌধুরী। বাবা হারানোর শোক চাপা দিয়েই পর্দায় মৃণাল সেন হয়েছিলেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গে চঞ্চলের প্রথম সিনেমা পদাতিক। তিনি জানিয়েছিলেন, পশ্চিমবঙ্গের দর্শকদের সঙ্গে বসেই সিনেমাটি উপভোগ করতে চান তিনি। গত বছরের ১৫ আগস্ট পশ্চিমবঙ্গে পদাতিক মুক্তি পায়, কিন্তু দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় তখন ভারতে যেতে পারেননি চঞ্চল। দর্শকের সঙ্গে সিনেমাটি উপভোগ করা হয়নি তাঁর।
অবশেষে সেই পদাতিকের জন্যই ভারতে গেলেন চঞ্চল। সিনেমাটিতে অভিনয়ের জন্য ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস বাংলার সেরা অভিনেতা (সমালোচক) ক্যাটাগরিতে মনোনয়নে নাম ছিল চঞ্চলের। যথাসময়েই অনুষ্ঠানে হাজির হন তিনি। রেড কার্পেটে তাঁর সঙ্গে ছিলেন সংগীতশিল্পী লগ্নজিতা চক্রবর্তী। এ সময় সাংবাদিকেরা তাঁর কাছে জানতে চান, কতটা এক্সাইটেড তিনি। জবাবে চঞ্চল বলেন, ‘মনোনয়ন থাকলে তো এক্সাইটিং ভাব থাকবেই। তবে চেহারায় বোঝা যাচ্ছে না।’
শেষ পর্যন্ত প্রথম মনোনয়নে পুরস্কার জেতা হয়নি চঞ্চলের। খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে। এই বিভাগে যৌথভাবে সেরা হয়েছেন অঞ্জন দত্ত (চালচিত্র এখন) ও চন্দন সেন (মানিকবাবুর মেঘ)। একই বিভাগে ‘হুব্বা’ সিনেমার জন্য মনোনয়ন তালিকায় নাম ছিল মোশাররফ করিমের। পুরস্কার না জিতলেও সমালোচক বিভাগে সেরা অভিনেত্রীকে পুরস্কার দেওয়ার সময় ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর সঙ্গে মঞ্চে ওঠেন চঞ্চল। চঞ্চল সেরা না হলেও সেরা পার্শ্ব চরিত্র (নারী), চিত্রনাট্য, মেকআপসহ মোট পাঁচটি বিভাগে সেরা নির্বাচিত হয় পদাতিক।
গত কয়েক বছরের মতো এবারও ফিল্মফেয়ারে উপস্থিত ছিলেন জয়া আহসান। তিনি ছিলেন সেরা অভিনেত্রীর মনোনয়ন তালিকায়। তবে এদিন পঞ্চম ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জেতা হয়নি তাঁর। এই বিভাগে সেরা হয়েছেন শুভশ্রী গাঙ্গুলি (বাবলী), তবে একেবারে খালি হাতে ফিরতে হয়নি জয়াকে। এবার ফিল্মফেয়ারে ‘ট্রাডিশনাল কুইন অব দ্য ইয়ার’ নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।