পর্যাপ্ত বিকল্প থাকায় খুব বেশি বল করার প্রয়োজন পড়েনি: সাকিব

ঢাকা, ৭ এপ্রিল ২০২৩ (বাসস): আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৭ উইকেটে জয় পাওয়া একমাত্র টেস্টে তিনি পর্যাপ্ত বোলিং করেননি- এমন গুঞ্জনের বিষয়ে মুখ খুলেছেন সাকিব।

সাকিব স্পষ্টভাবে জানান, তার হাতে অনেক বিকল্প থাকার কারনে নিজের খুব বেশি বোলিং করা প্রয়োজন পড়েনি।

পর্যাপ্ত বোলিং না করার বিষয়ে জানতে চাইলে   সাকিব বলেন, ‘আমার কাছে কোন ব্যাখ্যা নেই। যখন আপনার কাছে পাঁচ বা ছয়টি বিকল্প থাকে, তখন বেশি ওভার বোলিং করার কি দরকার? আমি মনে করি না এটির প্রয়োজন ছিলো।’

প্রথম ইনিংসে ৬৫তম ওভারে বল করতে এসে মাত্র তিন ওভার হাত ঘুড়ান সাকিব। প্রথম ইনিংসে তাইজুলের ঘুর্ণিতে ২১৪ রানে অলআউট হয় আয়ারল্যান্ড। ৫৮ রানে ৫ উইকেট নেন তাইজুল।

দ্বিতীয় ইনিংসে বল হাতে শুরুতেই আক্রমনে এসে প্রথম ওভারেই উইকেট শিকার করেন সাকিব। ৬ ওভার বোলিং করে দুই উইকেট নেন তিনি। ২৭ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে আয়ারল্যান্ড।

তৃতীয় দিন যখন ধারনা করা হচ্ছিলো একটি সেশনেই আয়ারল্যান্ডকে গুটিয়ে দিবে বাংলাদেশ। তখন শুরুতে টানা তিন ওভার বল করার পর দীর্ঘক্ষণ বোলিং করেননি সাকিব।

আয়ারল্যান্ডের হয়ে অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি করেন লরকান টাকার। তৃতীয় দিন শতক করা টাকার বলেছিলেন, চাপের মধ্যে তৃতীয় দিন সাকিবকে খুব বেশি খেলতে হয়নি বলে খুশি তারা। সাকিব কেন যথেষ্ট বোলিং করেননি সে বিষয়ে কোন ধারণা দিতে পারেননি বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ অ্যাল্যান্ড ডোনাল্ডও।

দ্বিতীয় ইনিংসে লড়াইয়ে ফিরে ম্যাচে লিড নেয় আয়ারল্যান্ড। ঐ সময় তার ব্যক্তিগতভাবে বড় ভূমিকা নেয়া উচিত ছিল কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেন, ‘এর মানে কি আমাকে ছাড়া বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ অকার্যকর?’

শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩ ওভার বল করেন এবং চতুর্থ দিন বল করার সুযোগ পাননি সাকিব। শেষ দুই উইকেট নিয়ে আয়ারল্যান্ডের ইনিংস গুটিয়ে দেন পেসার এবাদত হোসেন। ম্যাচ জিততে ১৩৮ রানের টার্গেট পায় বাংলাদেশ। সাকিব জানান, টেস্টে ২০ উইকেট শিকারে দলের বোলারদের উপর তার আস্থা  আছে।

তিনি বলেন, ‘ ২০ উইকেট নেয়ার মত যথেষ্ট বোলার আমাদের আছে এবং তাদের উপর আমার পূর্ণ আস্থা আছে।’

সাকিব আরও জানান, এ ম্যাচে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরিকল্পনা ছিলো। তার মতে, কিছু পরিকল্পনা কাজ করেছে এবং কিছু করেনি। তবে  সব কিছু মিলিয়ে এ ফলে  তিনি খুশি।

প্রথম ইনিংসে ১২৬ রান করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ৫১ রান করে ম্যাচ সেরা হন মুশফিকুর রহিম। তিনি বলেন, মরা পিচে ভালো বোলিং করেছে বাংলাদেশের বোলাররা।

মুশফিক বলেন, ‘সারা টেস্ট ম্যাচ জুড়ে পারফরমেন্স প্রদর্শন গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বোলারদের জন্য উইকেটে কিছুই ছিল না। তাই তাদের সত্যিই লড়াই করতে হয়েছিলো। আপনি যখন এমন উইকেটে খেলছেন, তখন আপনাকে সত্যিই ভাল শুরু করতে হবে। ইতিবাচক থাকাটা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ।’

তিনি আরও বলেন, ‘দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো ব্যাটিং করেছে তামিম ও লিটন। আয়ারল্যান্ড যদি শুরুর দিকে দুই-তিনটি উইকেট নিত, তাহলে আমাদের উপর চাপ তৈরি হতো। আমরা বড় ফরম্যাটে ধারাবাহিক থাকতে চাই। যেভাবে এই উইকেটে বোলাররা ২০ উইকেট নিয়েছে, তা অবিশ্বাস্য ছিল।’

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

thirteen − 1 =