পর পর তিনবার ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড পেলেন জয়া

ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস বাংলায় ‘বিনিসুতোয়’ চলচ্চিত্রের জন্য সেরা অভিনেত্রী হলেন জয়া আহসান। জনপ্রিয়তার হিসাবে এই সম্মান উঠলো তার হাতে। কলকাতার রাজারহাটে দি ওয়েস্টিন হোটেলে গত বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) জমকালো আয়োজনে ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস বাংলার পঞ্চম আসরের বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়।সমালোচকদের দৃষ্টিতে সেরা চলচ্চিত্র হয়েছে জয়া অভিনীত ‘বিনিসুতোয়’। এটি পরিচালনা করেছেন অতনু ঘোষ। এছাড়া সেরা সম্পাদনা শাখায় পুরস্কৃত হয়েছে ছবিটি।

এ নিয়ে তিনবার ফিল্মফেয়ারের ব্ল্যাক লেডি হাতে পেলেন জয়া। ‘বিসর্জন’ ছবিতে অনবদ্য অভিনয়ের জন্য ২০১৮ সালে সেরা অভিনেত্রী এবং ‘বিজয়া’ ও ‘রবিবার’ ছবিতে নৈপুণ্য দেখিয়ে ২০১৯ সালে সমালোচকদের বিচারে সেরা অভিনেত্রীর স্বীকৃতি ঘরে তুলেছেন তিনি। এছাড়া ‘আবর্ত’ (২০১৪) ও ‘ঈগলের চোখ’ (২০১৬) ছবিতে অভিনয়ের জন্য ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস বাংলায় মনোনয়ন পেয়েছিলেন দুই বাংলার জনপ্রিয় এই তারকা।

জনপ্রিয় সেরা অভিনেত্রী শাখায় জয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন অপরাজিতা আঢ্য (একান্নবর্তী), কোয়েল মল্লিক (রক্ত রহস্য), ঋতাভরি চক্রবর্তী (ব্রহ্মা জানেন গোপন কম্মটি) এবং রুক্মিনি মৈত্র (সুইজারল্যান্ড)। সবাইকে টপকে পুরস্কার জয়ের হাসি দেখা গেছে তার মুখেই।

পঞ্চম ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস বাংলায় সমালোচকদের দৃষ্টিতে সেরা অভিনেত্রী শাখায়ও মনোনয়ন পান জয়া। কিন্তু এই পুরস্কারটি বাগিয়ে নিয়েছেন অর্পিতা চ্যাটার্জি (অব্যক্ত)। একই শাখায় মনোনীত অন্য দুই অভিনেত্রী হলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (দ্য পার্সেল), স্বস্তিকা মুখার্জি (গুলদস্ত) এবং দামিনী বেনি বসু (দুধ পিঠের গাছ)।

কলকাতায় ২০২১ সালে মুক্তি পাওয়া বাংলা ভাষার চলচ্চিত্রকে উৎসাহ দিতে আয়োজন করা হয় ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস বাংলা। এবারের আসরে বাংলাদেশ থেকে সেরা অভিনেতা (সমালোচক) শাখায় মোশাররফ করিম (ডিকশনারি), সেরা গায়ক শাখায় মাহতিম শাকিব (তাকে অল্প কাছে ডাকছি, ছবি: প্রেম টেম) এবং সেরা গীতিকার শাখায় আসিফ ইকবাল (মায়ার কাঙাল, ছবি: অল্প হলেও সত্যি) মনোনয়ন পেলেও কেউই পুরস্কার জিততে পারেননি।

তবে ‘মায়ার কাঙাল’ গানের সুবাদে সেরা গায়ক হয়েছেন ঈশান মিত্র। ‘একান্নবর্তী’ ছবির ‘বেহায়া’ গানের জন্য সেরা গীতিকারের স্বীকৃতি অর্জন করেছেন নীলাঞ্জন চক্রবর্তী। ‘বেহায়া’ গানটি গেয়ে সেরা গায়িকার পুরস্কার পেয়েছেন লগ্নজিতা চক্রবর্তী।

সেরা চলচ্চিত্র হয়েছে যৌথভাবে ‘বরুণবাবুর বন্ধু’ ও ‘টনিক’। এর মধ্যে ‘বরুণবাবুর বন্ধু’র জন্য সেরা পরিচালকের পুরস্কার পেয়েছেন অনিক দত্ত। ‘টনিক’ নির্মাণ করে সেরা নবাগত পরিচালক হয়েছেন অভিজিৎ সেন। যদিও এটি তিনি ভাগাভাগি করেছেন ‘ট্যাংরা ব্লুজ’ ছবির পরিচালক সুপ্রিয় সেনের সঙ্গে। ‘ট্যাংরা ব্লুজ’ ছবিতে মনকাড়া অভিনয়ের জন্য সামিউল আলম সেরা পার্শ্ব অভিনেতা এবং  ‘চিনি’ ছবির সুবাদে সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী হয়েছেন অপরাজিতা আঢ্য।

‘টনিক’ ছবিতে হৃদয়ছোঁয়া অভিনয় করে সেরা অভিনেতা হয়েছেন বর্ষীয়ান পরান বন্দ্যোপাধ্যায়। সমালোচকদের বিচারে সেরা অভিনেতা হয়েছেন যৌথভাবে অনির্বাণ ভট্টাচার্য (দ্বিতীয় পুরুষ) ও অর্জুন চক্রবর্তী (অভিযাত্রিক)।

সেরা চিত্রনাট্যকার শাখায় সৃজিত মুখার্জি (দ্বিতীয় পুরুষ) পুরস্কার ভাগাভাগি করেছেন ধ্রুব ব্যানার্জির (গোলন্দাজ) সঙ্গে। ‘হীরালাল’ ছবিটি সেরা শিল্পী নির্দেশনা, সেরা পোশাক পরিকল্পনা ও সেরা নবাগত অভিনেতা (কিঞ্জল নন্দ) শাখায় পুরস্কার পেয়েছে। সেরা নবাগতা অভিনেত্রী হয়েছেন ঐন্দ্রিলা সেন (ম্যাজিক)। তার ছবির ‘মন আনমনে’ গানের জন্য বাবা যাদব সেরা নৃত্য পরিচালকের স্বীকৃতি পেয়েছেন।

বার্তা২৪

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

twelve − 12 =