অবশেষে ঘরের মাঠে পাকিস্তানকে একাধিক ম্যাচে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারানোর স্বাদ পেল বাংলাদেশ। শোককে শক্তিতে পরিণত করে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে ৮ রানে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল খুব বাজে। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই সাজঘরে ফিরে যান টপ অর্ডারের চার ব্যাটসম্যান। সেখান থেকে জুটি গড়েন জাকের-মেহেদি। শেষ পর্যন্ত জাকেরের ফিফটিতে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৩৩ রান। জবাবে শেষ ওভারে পাকিস্তানকে ১২৫ রানে অলআউট করে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
প্রথম ওভারের শেষ বলে সাইম আইয়ুবের রান আউট দিয়ে শুরু। পরের ওভারে শরিফুল তুলে নেন শূন্য রানে থাকা মোহাম্মদ হারিসের উইকেট। নিজের দ্বিতীয় ওভারে তিনি শিকার বানান শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ স্কোরার ফখর জামানকে। ৮ বলে ৮ রান করেন ফখর। পঞ্চম ওভারে প্রথম বোলিংয়ে আসেন তানজিম হাসান সাকিব। পর পর দুই বলে তিনি ফেরান দুই নাওয়াজ, হাসান ও মোহাম্মদকে। রানের খাতা খুলতে পারেননি দুজনের কেউই, ক্যাচ দেন লিটনের হাতে। তাতে ১৫ রান তুলতেই ৫ উইকেট নেই হয়ে যায় পাকিস্তানের।
দশম ওভারে পাকিস্তান অধিনায়ককে নিজের শিকার বানান শেখ মেহেদি। তাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অনে তাওহীদ হৃদয়ের তালুবন্দি হন সালমান। ২৩ বলে তিনি করেন ৯ রান। এর পর থিতু হওয়ার চেষ্টায় ছিলেন ইফতিখার আহমেদ ও ফাহিম আশরাফ জুটি। বাংলাদেশের ফিল্ডাররাও ক্যাচ-বাউন্ডারি ছেড়ে সুযোগ গড়ে দিচ্ছিলেন। ৩৮ বল পর বাউন্ডারির দেখা পায় সফরকারীরা। ওই অবস্থায় দ্বিতীয়বার আঘাত হানেন মেহেদি। লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন ১৮ বলে ১৩ রান করা ইফতিখারকে। ৪৭ রানে ৭ উইকেট হারায় পাকিস্তান।
এর পরেই মাত্র ২৭ বলে ৪১ রানের জুটি গড়ে ম্যাচের উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলেন ফাহিম ও আব্বাস আফ্রিদি। ১৭তম ওভারে নিজের শেষ ওভার করতে এসে বাংলাদেশকে আবার ম্যাচে ফেরান শরিফুল। প্রথম বলেই ভেঙে নেন বিপদজনক হয়ে ওঠা এই জুটি। ১৩ বলে ১৯ করা আব্বাসকে বোল্ড করে দেন শরিফুল। শেষ বলে পেয়ে গিয়েছিলেন ফাহিম আশরাফের উইকেটও। কিন্তু তানজিম সাকিব ক্যাচ ফেলে দেওয়ায় বেঁচে যান ফাহিম। ৩১ বলে তুলে নেন ফিফটিও। তবে জয় থেকে ১৩ রান দূরে থাকতে রিশাদ হোসেনের বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। ৪টি করে চার-ছক্কায় ৩২ বলে ৫১ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
শেষ ওভারে ১৩ রান প্রয়োজন ছিল সফরকারীদের। বোলিংয়ে আসেন মোস্তাফিজ। কিন্তু তার প্রথম বলেই চার মারেন অভিষিক্ত দানিয়াল। দ্বিতীয় বলেও তুলে মেরেছিলেন। কিন্তু বাউন্ডারির সীমার কাছে শামীমের হাতে ধরা পড়ে যান। ১৭ রানে দানিয়ালের উইকেটের সঙ্গে শেষ হয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। শ্রীলঙ্কার পর পাকিস্তান, শোকের দিনে বাংলাদেশ গড়লো টানা দুই সিরিজ জয়ের কীর্তি