ছন্নছাড়া বোলিং আর পরিকল্পনাহীন বোলিং করে লড়াই ছাড়াই ৩৭ রানের বিশাল ব্যাবধানে হেরে অশুভ সূচনা করলো বাংলাদেশ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টি২০ সিরিজ।টস জয় করে প্রাথমিক বিপর্যয়ের পর পাকিস্তান ২০১/৭ উইকেট করেছিল পাকিস্তান। সাম্প্রতিক সময়ে লাহোর গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে এই স্কোর তাড়া করে ম্যাচ জয় করতে দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব।
কিন্তু বাংলাদেশ হাসান আলীর পেস বোলিং তোপে বিপর্যস্ত হয়ে ১৬৪ রানে গুটিয়ে ফেলো। পরাজয় ৩৭ রানের বিশাল ব্যাবধানে। কিছু দিন আগে পাকিস্তানে পাকিস্তানকে টেস্ট সিরিজে ধবল ধোলাই করেছিল। এবার হয়তো পাকিস্তান বদলা নিবে। আমি পাকিস্তান ইনিংসের সূচনা ছাড়া গোটা ম্যাচে বাংলাদেশকে খুঁজে পাইনি। খোলায়াড়দের শরীরী ভাষায় লড়াই করার আলামত ছিল না।
পাকিস্তান ইনিংসের সূচনায় শরিফুল এবং মাহেদী ঝটফট ফখর জামান এবং সাইম আইযুবকে বিদায় করে আশার সঞ্চার করেছিল। কিন্তু সদ্য পিএসএল শেষ করা পাকিস্তান বিশাল ব্যাটিং গভীরতা নিয়ে প্রতিআক্রমণে ঝলসে দিলো বাংলাদেশ বোলিং।সালমান আগা (৫৬), শাদাব খান (৪৮), হাসান নাওয়াজ (৪৪), মোহাম্মদ হারিস (৩১) নির্দয় প্রহার করেছে বাংলাদেশের ছন্নছাড়া বোলারদের।
সবচেয়ে মার খেয়েছে ৪ ওভারে ৫৫ রান দেওয়া রিশাদ হোসেন।লিটন বিকল্প থাকা সত্ত্বেও কেন রিশাদকে পরিবর্তন করে নি বোঝা যায়নি। ২০১/৭ খুব একটা বড় স্কোর হয়তো না লাহোরে খেলা সাম্প্রতিক ম্যাচগুলোর বিবেচনায়।কিন্তু বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে কতবার ২০২ রান করে টি ২০ ম্যাচ জিতেছে?
বাংলাদেশ ইনিংসে তানজিদ তামিম (৩১) অধিনায়ক লিটন দাস (৪৮) জাকের আলী অনিক (৩৬) ছাড়া কারো মাঝেই লড়াই করার মানসিকতা দেখিনি। টপ অর্ডারের অন্তত একজন দায়িত্ব নিয়ে ইনিংস লম্বা করলে ভিন্ন কিছু হতে পারতো। হয়নি সেটিও। হাসান আলী ( ৫/৩০) আর শাদাব খানের ( ২/২৬) তোপের মোকাবেলায় যুদ্ধ ছাড়াই হেরে গেছে বাংলাদেশ।
জানিনা এই ম্যাচে মেহেদী হাসান মিরাজকে না সুযোগ দিয়ে ভুল করেছে কিনা।আমি অভিজ্ঞ নাজমুল শান্তকে না সুযোগ দেয়াকেও ভুল সিদ্ধান্ত মনে করি। ১১ জনের ৭ জন ১০ রানের কম করলে সেই ম্যাচ জয় করা কখনোই সম্ভব হয় না। ভালো খেলে দাপটের সঙ্গেই ৩৭ রানে ম্যাচ জিতে পাকিস্তান ১-০ এগিয়ে গেলো। বাংলাদেশ সিরিজে ঘুরে দাঁড়াবে ভরসা পাই না। হয়তো সিরিজে ধবল ধোলাই অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের ভাগ্যলিপিতে।