সালেক সুফী
দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ হবার পর ৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে ৩ ম্যাচের ওডিআই সিরিজ। ম্যাচ গুলো ৮, ১০ এবং ১২ ডিসেম্বর সেন্ট কীটসে অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে সিরিজের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং বাংলাদেশ ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশ দলে নেই সাকিব আল হাসান। আহত হয়ে ম্যাচ ফিট না থাকায় নেই নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত, নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। এমনকি একই কারণে নেই তরুণ ব্যাটসম্যান তাওহীদ হৃদয়। মুস্তাফিজকেও রাখা হয় নি স্কোয়াডে। সাদা বলের ক্রিকেটে উভয় দল তুলনামূলক বেশি শক্তিধর। ওয়েস্ট ইন্ডিজ পূর্ণ শক্তির হলেও খর্ব শক্তির বাংলাদেশ এই সিরিজ ভালো করা সহজ হবে বলে মনে হয় না। কিন্তু বিদ্যমান অবস্থায় বিকল্প খুব ছিল বলে মনে হয় না।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ :
শাই হোপ (অধিনায়ক), ব্র্যান্ডন কিং, কেসি কার্টি, রোস্টন চেস, ম্যাথিউ ফোর্ড, জাস্টিন গ্রিভস, শিমরন হেটমায়ার, আমির জাঙ্গু, শামার জোসেফ, এভিন লুইস, গুদাকেশ মোতি, শেমরন রাদারফোর্ড, জেডন সিলস ও রোমারিও শেফার্ড।
বাংলাদেশ:
মেহেদী হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হাসান ইমন, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, লিটন কুমার দাস, জাকের আলী অনিক, আফিফ হোসাইন, রিশাদ হোসাইন, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান শাকিব, নাহিদ রানা।
বাংলাদেশ দলের পেস আক্রমণ এখন অনেক সমৃদ্ধ। মুস্তাফিজ ছাড়াই এখন তাসকিন আহমেদ , নাহিদ রানা, হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলাম এবং তানজিম সাকিবের যে কোন তিনজন পেসি উইকেটে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলতে পারে। মিরাজের সঙ্গে স্পিন আক্রমণে থাকবে নাসুম আর রিশাদ। বোলিং নিয়ে সমস্যা হওয়ার কথা না।
তবে মুশফিক, সাকিব, শান্ত, হৃদয় না থাকায় ব্যাটিং শক্তি অনেক খর্ব থাকবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের শামার জোসেফ, গুদাকেশ মোতি, শেমরন রাদারফোর্ড, জেডন সিলস ও রোমারিও শেফার্ড সাম্প্রতিক সময়ে ওডিআই ক্রিকেটে ভালো বোলিং করছে। ওদের মূল শক্তি কিন্তু ব্যাটিং। হয় সবাই মিলে একসঙ্গে জ্বলে উঠবে না হয় ঝরঝরিয়ে ঝরে পড়বে।
নিজেদের দিনে শাই হোপ, ব্র্যান্ডন কিং, এভিন লুইস, কেসি কার্টি, রোস্টন চেস, ম্যাথিউ ফোর্ড, জাস্টিন গ্রিভস, শিমরন হেটমায়ার, আমির জাঙ্গু যে কোন বোলিং চুরমার করে দিতে পারে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাটিং মূল ভরসা লিটন, রিয়াদ, মিরাজ, আফিফ। হয়ত সৌম্য, তানজিদ, জাকের, ইমন সুযোগের সঠিক ব্যবহার করতেও পারে।
আমি বাংলাদেশের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছি না। তবে কাজটি সহজ হবে না। বিসিবির উচিত ছিল সাকিব সমস্যার সমাধান করা। ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য প্রস্তুতির কিন্তু খুব বেশি সুযোগ নেই।