পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু পুঃতদন্ত দাবি করেছেন শহীদ সেনা পরিবারের সদস্যরা। আজ সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ দাবি জানান তাঁরা। একই সঙ্গে ২৫ ফেব্রুয়ারিকে শহীদ সেনা দিবস হিসেবে ঘোষণা করার দাবিও জানিয়েছেন শহীদ পরিবারের সদস্যরা। খবর বাসস।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলাপকালে শহীদ পরিবারের সদস্যরা তাঁদের দুঃখ-দুর্দশা ও পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার কীভাবে তাদের ওপর মানসিক নিপীড়ন ও হয়রানি করেছে সেসবের বর্ণনা দেন।
তাঁরা জানান, বিচারের দাবি জানাতে গেলে তাঁদের ওপর অমানুষিক নিপীড়নও করা হয়েছে। সত্য বলা থেকে বিরত রাখতে তাঁদের ওপর নানা অত্যাচার চালানো হয়েছে।
শহীদ পরিবারের সদস্যরা বলেন, ঢাকা সেনানিবাসের মইনুল রোডে শহীদ সেনা পরিবারকে পুনর্বাসনের যে প্রচারণা ফ্যাসিস্ট হাসিনার সরকার চালিয়েছে তা সর্বৈব মিথ্যা। কোনো শহীদ পরিবারকে সেখানে কোনো বাসা বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।
শহীদ পরিবারে সন্তানদের বিনা বেতনে লেখাপড়াসহ শহীদ পরিবারকে দেওয়া আরও অনেক প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা হয়নি বলেও জানান তারা।
এত বছরেও এ হত্যাকাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত না হওয়ার বিস্ময় প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, ‘এত বছর ধরে এ হত্যাকাণ্ডের তথ্য গোপন রাখতে পারা এটা একটা অবিশ্বাস্য বিষয়। আজ আপনাদের কাছ থেকে অনেক বিষয়ে জানতে পারলাম।’
অধ্যাপক ইউনূস আরও বলেন, ‘আমাদের যতটুকু সার্মথ্য আছে তা দিয়ে এ সংক্রান্ত সব তথ্য প্রকাশ করা হবে। যত দ্রুত সম্ভব এ ঘটনার সকল তথ্য একত্রিত করতে হবে। সারাদেশের মানুষ এ হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী। জাতির পক্ষ থেকে আমরা অনুভব করি যে, এ হত্যাকাণ্ডের বিচার আমাদের করতেই হবে।’
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, শিল্প ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, উপদেষ্টা মাহফুজ আলম এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।