পর্দা নামলো ২০তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের। ‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ’ প্রতিপাদ্যে গত ১৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই আয়োজনটি ৮ দিন পর শেষ হলো। বাংলাদেশ প্যানোরোমা বিভাগে সেরা চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছে ‘আজব কারখানা’। এতে এবার দর্শক পছন্দে সেরা চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছে এ দেশের ‘চন্দ্রাবতী কথা’ ও ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’।
এছাড়াও এশিয়ান চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতা বিভাগে বাংলাদেশ-ভারতের ‘মায়ার জঞ্জাল’ চিত্রনাট্যের জন্য পুরস্কার পেয়েছে। বিভাগটির সেরা চলচ্চিত্র ভারতের ‘কুজহানগাল’, চীনের ‘ক্যাফে বাই দ্য হাইওয়ে’ (সিনেমাটোগ্রাফি), সেরা অভিনেত্রী ভারতের সুশান প্রভা (বোটক্স) এবং সেরা অভিনেতা ভারতের জয়াসুরিয়া (সানি)।
নারী নির্মাতা বিভাগে ফিনল্যান্ডের ‘দ্য আদার সাইড অব দ্য রিভার’ সেরা প্রামাণ্যচিত্র, ফ্রান্সের ‘আ সামার প্লেস’ সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য এবং ইরানের ‘সাহারবানু’ সেরা ফিচার ফিল্মে পুরস্কার পেয়েছে। এছাড়াও শিশুতোষ চলচ্চিত্র বিভাগে সেরা রাশিয়ার ‘আফ্রিকা’ এবং দর্শক পছন্দে সেরা চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছে ‘সেমখোর’।
সমাপনী দিনে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। রবিবার (২৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘সুন্দর দেশ, সমাজ ও পৃথিবী গড়তে চলচ্চিত্র অনন্য ভূমিকা রাখতে পারে। এ দেশের কালজয়ী চলচ্চিত্রগুলো আমাদের স্বাধিকার আন্দোলনে, স্বাধীনতা সংগ্রামে ও স্বাধীনতা-উত্তরকালে দেশ গঠনে ভূমিকা রেখেছে। একইসাথে অনেক বিষয়, যা সমাজ ও সমাজপতিরা ভাবে না, সেগুলোও চলচ্চিত্রের মাধ্যমে উঠে আসে, সমাজকে পথ দেখায়।’
মূল আয়োজক রেইনবো ফিল্ম সোসাইটির বোর্ড সদস্য মফিদুল হকের সভাপতিত্বে ও উৎসব পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামালের পরিচালনায় শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী ও ঢাকা ক্লাবের প্রেসিডেন্ট খন্দকার মশিউজ্জামান রোমেল অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।
এবারের উৎসবে প্রায় ৭০টি দেশের ২২৫টি সিনেমা প্রদর্শিত হয়েছে। এগুলো দেখানো হয়েছে ঢাকায় জাতীয় জাদুঘর, গণগ্রন্থাগার, আলিয়স ফ্রঁসেজসহ কয়েকটি স্থানে।
বাংলা ট্রিবিউন