ভারতের বহরমপুর আদালতে প্রতারণার মামলায় মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির খবর নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বেশ কয়েকদিন ধরে আলোচনা চলছে।
বিষয়টি নিয়ে আজ বুধবার মুখ খুলেছেন তিনি। নিজের ভেরিভাইড ফেসবুকে আইডিতে এক পোস্টে তিনি বলেন, বেশ অনেক বছর আগে ভারতে বহরমপুরের আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে এক ব্যক্তি ‘মিথ্যা ও বানোয়াট’ মামলা দায়ের করেন, যার মূল উদ্দেশ্যে ছিল ‘আমাকে ভয় দেখিয়ে কিছু টাকা হাতিয়ে নেওয়া’ এবং ওই ব্যক্তি ছাড়া ‘আমি যেন কারও মাধ্যমে ভারতে কনসার্ট করতে না পারি ‘।
১৪ লাখ টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে মামলাটি করা হয় জানিয়ে মমতাজ বলেন, ‘যার কোনো প্রমাণ এই ১৪ / ১৫ বৎসরে কোর্টে (ওই ব্যক্তি) দাখিল করতে পারেনি। এই বৎসর আমি দুইবার কোর্টে হাজির হই। কিন্তু দুঃখের বিষয় মামলার বাদী দুইবারই অসুস্থ বলে কোর্টে অনুপস্থিত থাকেন। তার মূল উদ্দেশ্যে, আমাকে হয়রানি করা। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে দ্রুত এই মামলাটি যাতে শেষ হয়, (সেজন্য) বিজ্ঞ আদালতকে অনুরোধ করি। কিন্তু আদালত শেষ যে তারিখটি দিয়েছিল ওই সময় আমার আগে থেকেই কানাডায় একটা প্রোগ্রাম নেওয়া ছিল বিধায় আমি উপস্থিত থাকতে পারিনি।
বিষয়টি অবহিত করে আদালতে কাছে সময় নিয়েছেন দাবি করে তিনি আরও বলেন, বিজ্ঞ আদালত সেটা গ্রহণ করে আমাকে সেপ্টেম্বরের ৮ তারিখ পুনরায় ডেট দেন। আশা করি আমি ৮ তারিখে হাজির হলে বিজ্ঞ আদালত একটা সিদ্ধান্ত নেবেন এবং পরবর্তী কি করণীয় তা জানতে পারব।’
এ বিষয়ে সংসদ সদস্য ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভারতের বহরমপুর কোর্টে আমার বিরুদ্ধে ওই বাদী একটা মিথ্যা, বানোয়াট মামলা দায়ের করেন। যার উদ্দেশ্যে ছিল আমাকে ভয় দেখিয়ে কিছু টাকা হাতিয়ে নেওয়া। মামলাটিতে আমি দুবার আদালতে হাজিরা দিয়েছি। আমি যে দুবার আদালতে উপস্থিত ছিলাম মামলার বাদী অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিনি উপস্থিত হননি। আইনের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। আশা করছি আগামী ৮ সেপ্টেম্বর আদালতে হাজির হলে, এ বিষয়ে বিজ্ঞ আদালত একটা সিদ্ধান্ত নেবেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আমার বিরুদ্ধে একটা ষড়যন্ত্র চলছে।’