সালেক সুফী: বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্রিকেট স্টেডিয়াম এমসিজিতে প্রথম আবির্ভাবেই আইসিসি সর্বকনিষ্ট দেশ আয়ারল্যান্ড ভালো ক্রিকেট খেলেই হারিয়েছে। কিছু মানুষ বলবেন প্রকৃতির কিছু সহায়তা ছিল বৃষ্টিবিঘ্নিত খেলাটিতে। আগে ব্যাটিং করে ভয় ডরহীন খেলে ১৫৭ রানে অল আউট হয়েছিল। তাড়া করতে নেমে আইরিশ দলের কুশলী বোলিং মোকাবিলায় ১৪.৩ ওভারে ১০৫/৫ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। ম্যাচ জয় করতে আরো প্রয়োজন ছিল ৩৩ বলে ৫৩ রান। এই সময় মুসল ধারায় বৃষ্টি এসে খেলা থমকে দিলে ডাকওয়ার্থ লুইস হিসাবে ৫ রানে জয় পায় আয়ারল্যান্ড। যারা শুরু থেকে শেষ খেলা দেখেছেন সবাই বলবে প্রকৃতির সুবিচারেই জয় পেয়েছে আয়ারল্যান্ড।
টস হেরে ব্যাটিং শুরুর মুহূর্ত থেকেই জয়ের পরিকল্পনায় পজিটিভ ক্রিকেট খেলে আয়ারল্যান্ড। শুরুতে স্টার্লিং আউট হয়ে গেলেও বালবার্নি আর টাকার নিয়ন্ত্রণহীন ইংলিশ বোলিং প্রতি আক্রমণ করে রানের গতি অক্ষুন্ন রাখে। কেন যে উড, ওকস, কুরআন ম্যাচ পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে বোলিং করেনি বুঝা যায়নি। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৮২ রান করে আইরিশ ইনিংস সুদৃঢ় ভিত্তি প্রদান করে। তবে টাকার রান আউট হবার পর ম্যাচে ফিরে আসে। উড (৩/৩৪) এবং লিভিংস্টোন (৩/১৭) সক্রিয় হয়ে ১৫৭ রানে গুটিয়ে দেয় আয়ারল্যান্ড ইনিংস। শেষ বিচারে এন্ডি বালবার্নির (৬২) রান ম্যাচ জয়ী হিসাবে বিবেচিত হয়। শুরুর মোমেন্টাম অনুযায়ী আয়ারল্যান্ড ১৭৫-১৮০ করলেও অবাক হতাম না।
ইংল্যান্ড ব্যাটিং শুরু করলে আইরিশ বোলাররা সেই ভুল করেনি যা ইংলিশরা শুরুতে করেছিল। জোশ বাটলার, আলেক্স হলেন, বেন স্টোকস কিছু করতে পারেনি। ডেভিড ৩৫ রান করলেও ছিল আস্থা হীন। ১৩.১ ওভারে ৮৬ ওভার অবস্থায় ইংল্যান্ড ছিল কোণঠাসা। মঈন আলী এসে প্রতিআক্রমণ করে ১৪.৩ ওভারে ১০৫/৫ উইকেট হয়ে যাওয়ার সময় আকাশ ভেঙে বৃষ্টি আসে। ডাক ওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে জয় পায় আয়ারল্যান্ড।
আয়ারল্যান্ড রূপকথায় আরো একটা সোনার অক্ষরে লেখা যোগ হলো। দুটো দলের পাওয়ার প্লে ব্যাটিং ম্যাচের ব্যাবধান গড়ে দেয়।