প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র ১০টি বিশেষ উদ্যোগ

ড. নাহিদ করিম খান

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে রূপকল্প-২০২১ সফলভাবে  বাস্তবায়ন করে এখন রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়ন করছে সরকার। এর মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ ও উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এমডিজি) সাফল্যের পর ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হচ্ছে দেশ। ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর দেশের সব মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০টি বিশেষ উদ্যোগ হাতে নেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০টি বিশেষ উদ্যোগ হলো- একটি বাড়ি একটি খামার (বর্তমানে আমার বাড়ি আমার খামার), আশ্রয়ণ, ডিজিটাল বাংলাদেশ, শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচি, নারীর ক্ষমতায়ন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, কমিউনিটি ক্লিনিক, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, বিনিয়োগ বিকাশ এবং পরিবেশ সুরক্ষা । উদ্যোগগুলো জনগণের জীবনমান উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাতেও এ ১০টি বিশেষ উদ্যোগ অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে মানুষের জীবনমান উন্নত করার জন্য।

আমার বাড়ি আমার খামার :  ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পটি ২০০৯ সালের জুলাই থেকে ২০১৪ সালের জুন মাস মেয়াদে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালের নভেম্বর মাসে একনেক কর্তৃক অনুমোদিত হয় । একটি বাড়ি একটি খামার” প্রকল্পে নাম পরবর্তিতে আমার বাড়ি, আমার খামার রাখা হয়। প্রাথমিক জরিপের ভিত্তিতে গ্রামের দরিদ্র মানুষের জন্য সমবায় ভিত্তিক ‘গ্রাম উন্নযয়ন সংগঠন’ সৃষ্টি করে সদস্যদের দক্ষতাবৃদ্ধিমূলক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, ঋণ, অনুদান ও কারিগরি সহায়তা দেওয়া হয় এবং সেই সাথে দরিদ্রদের মধ্যে দুগ্ধবতী গাভি, মৎস্য, হাঁস-মুরগি ও ফসলের বীজ বিতরণ করা হয়।

আশ্রয়ণ: আশ্রয়ণ প্রকল্পের স্লোগান হলো- ‘আশ্রয়ণের অধকিার, শেখ হাসিনার উপহার’ । জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে গৃহহীনদের পুর্নবাসন কর্মসূচি চালু করেন । বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের বাড়ি ও জমির মালিকানা দেওয়ার উদ্যোগ নেন । জমির মালিকানা স্বামী-স্ত্রী উভয়কে দেওয়া হয় এবং জমির রেজিস্ট্রেশন ও মিউটেশনও স্বামী-স্ত্রী উভয়ের  নামে দেওয়া হয় । এখন সরকার এই প্রকল্পের আওতায় শুধু ভূমিহীন ও গৃহহীনদের বাড়ি দিচ্ছে এবং এই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর যাদের জমি আছে বাড়ি নইে বা যাদের বাড়ি জরার্জীণ অবস্থায় রয়েছে তাদরে জন্য বাড়ি নির্মাণ শুরু হবে । আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ১৯৯৭ সাল থেকে এ পরর্যন্ত মোট ৮ লাখ ২৯ হাজার ৬০৭টি পরিবাররকে পুর্নবাসন করা হয়ছে।

ডিজিটাল বাংলাদেশ: ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ দার্শনিক প্রত্যয়টির যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর, যখন বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা গড়া’র দৃঢ় অঙ্গীকারে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার জননেত্রী শেখ হাসিনা ‘ভিশন রূপকল্প–২০২১’ ঘোষণা করেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের মাধ্যমে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির প্রসারে বাংলাদেশ বিপ্লব সাধন করেছে। জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে বর্তমানে সারা দেশে প্রায় ৮ হাজার ৮০০টি ডিজিটাল সেন্টারে ১৬ হাজারের বেশি উদ্যোক্তা কাজ করছেন, যেখানে ৫০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা রয়েছেন । এ পর্যন্ত ডিজিটাল সেন্টার থেকে নাগরিকেরা ৮০ কোটির অধিক সেবা গ্রহণ করেছেন । ফলে নাগরিকদের কম-বেশি ৭৮ দশমিক ১৪ শতাংশ কর্মঘণ্টা, ১৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ ব্যয় এবং ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ যাতায়াত সাশ্রয় করা সম্ভব হয়েছে । ডিজিটাল সেন্টার সাধারণ মানুষের জীবনমান সহজ করার পাশাপাশি দৃষ্টিভঙ্গিও বদলে দিয়েছে । ক্রমেই ডিজিটাল সেবা বিস্তার লাভ করছে সমগ্র সেক্টরে। মানুষ এখন বিশ্বাস করে, ঘরের কাছেই সব ধরনের সেবা পাওয়া সম্ভব ।অকল্পনীয় দ্রুততায় বিস্তার ঘটছে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারে । ২০০৯ সালের আগে বাংলাদেশে সরকারি কোনো সেবাই ডিজিটাল পদ্ধতিতে ছিল না । ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তবতায় পরিপূর্ণতা পেয়েছে। অদম্যগতিতে বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে তথ্যপ্রযুক্তির এক মহাসড়ক ধরে ।

শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচি : শিক্ষাকে সর্বস্তরে ছড়িয়ে দেবার জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপসমূহের মধ্যে অন্যতম হলো- শতভাগ ছাত্রছাত্রীর মাঝে বিনামূল্যে বই বিতরণ কার্যক্রম। নারী শিক্ষাকে এগিয়ে নেবার জন্য প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত চালু করা হয়েছে উপবৃত্তি ব্যবস্থা । ভবিষ্যতের স্মার্ট প্রজন্ম গড়ার লক্ষ্যে শতভাগ শিশুকে উপবৃত্তির আওতায় এনেছে সরকার । ফলে বিনামূল্যে শিক্ষাসুবিধা পাচ্ছে ১ কোটি ৩০ লাখেরও বেশি শিশু । ২০০৬ সালে স্বাক্ষরতার হার ছিল মাত্র ৪৫ শতাংশ আর বর্তমান সরকারের সময়ে ২০২৩ সালে ৩১.৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৭৬.৮শতাংশ । ২০০৬ সালে মেয়েদের প্রাথমিক শিক্ষার হার ছিল ৫৪ শতাংশ আর বর্তমান  সময়ে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৯৮.২৫ শতাংশ । ২০০৬ সালে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ছিল মাত্র ৯টি আর বর্তমানে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সংখ্যা ৯৬টি । শিক্ষার সুবিধাবঞ্চিত গরিব ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে “শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট আইন, ২০১২ প্রণয়ন করা হয়েছে এবং গঠন করা হয়েছে “শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট”। সরকারের মূল লক্ষ্য হলো অর্থের অভাবে কোনোছাত্র-ছাত্রী যেন শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয়।

নারীর ক্ষমতায়ন : নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল বিশ্বের রোল মডেল । এর স্বীকৃতি হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ইউএন উইমেন ‘প্লানেট ৫০:৫০ চ্যাম্পিয়ন’ ও গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফোরাম ‘এজেন্ট অব চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড-২০১৬’ প্রদান করা হয়। নারীর ক্ষমতায়ন এবং নারী শিক্ষার প্রতি অঙ্গীকারের জন্য প্রধানমন্ত্রী ২০১৪ সালে ইউনেস্কোর ‘পিস ট্রি’ পুরস্কার পান এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গ্লোবাল ইউমেন লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ডে-২০১৮ এ ভূষিত হন । নারীর  ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান এখন বিশ্বে ৭ম । সর্বশেষ শ্রমশক্তি জরিপ ২০২২ অনুযায়ী নারীদের শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণের হার এখন ৪৩ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে, ২০০৬ সালে ২৯ শতাংশ এবং ২০১৭ সালের জরিপের ৩৬ দশমিক ৩ শতাংশ ছিলো । অথচ ভারতে এই হার মাত্র ২০ শতাংশ আর পাকিস্তানে তা ২২ শতাংশ । প্রাথমিকে ছাত্রীসংখ্যা ১০৪-এর বিপরীতে ছাত্রসংখ্যা ১০০ এবং মাধ্যমিকে ১১৪ ছাত্রীসংখ্যার বিপরীতে ছাত্র ১০০। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নারী শিক্ষকের অনুপাত সরকারি ক্ষেত্রে ৬৪ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং বেসরকারি ক্ষেত্রে ৬৬ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ।  বাংলাদেশে নারী ক্ষমতায়নে নারী শিক্ষার প্রসার বড়ো ভূমিকা রেখেছে ।

ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ : ২০০৬ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ছিল ৩৭৮২ মেগাওয়াট। বর্তমান সরকারের সময়ে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ১৩৪ মেগাওয়াট । একই সাথে মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ২২০ কিলোওয়াট ঘণ্টা থেকে বেড়ে ৬০২ কিলোওয়াট ঘণ্টায় দাঁড়িয়েছে। গ্রহক সংখ্যা ৪ কোটি ৫৪ লাখ । সততা, সাহসিকতা ও দূরদর্শিতা দিয়ে মাত্র ১৩ বছরের মধ্যে সারা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে ৪০ শতাংশ বিদ্যুতের দেশ শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় এসেছে ।

কমিউনিটি ক্লিনিক : সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে জনগণের দোড়গোড়ায়  স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য ১৪ হাজারেরও বেশি  কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেছে সরকার । নারী, শিশু ও সেবাপ্রার্থীদের জন্য দেওয়া হচ্ছে বিনামূল্যে ৩০ রকম ওষুধ । যার ফলে মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০৬ সালে মাতৃমৃত্যুর হার ছিল (লাখে) ৩৭০ জন আর ২০২৩ সালে তা কমে দাড়িঁয়েছে  ১৬১ জন। ২০০৬ সালে শিশু মৃত্যুর হার ছিল (প্রতি হাজারে) ৮৪ জন আর বর্তমান সরকারের সময়ে ২০২৩ সালে ৪ গুণ কমে দাঁড়িয়েছে ২১ জন। এসবই সম্ভব হয়েছে স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার কারণে।

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি : সমাজের অসহায় ও পিছিয়ে পড়া  মানুষকে সমাজের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী গড়ে তোলা সরকারের মূল লক্ষ। সরকার ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ দিয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার ২৭২ কোটি টাকা যা গত অর্থবছরে তুলনায় ১১ শতাংশ বেশি । দেশের কম বেশি একতৃতিয়াংশ মানুষ সামাজিক নিরাপত্তাব্যবস্থা আওতায় এসেছে ।

বিনিয়োগ বিকাশ : ব্যবসা সহজীকরণ সূচকে ২০২২ সালের হিসেবে বিশ্বের ১৯০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৮তম যা  ২০২১ সালে ছিলো   ১৭৬তম  অর্থাৎ এ সূচকে এক বছর আট ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ।  একটা দেশের ব্যবসা করা কতটা কঠিন বা সহজ প্রতিবছর তার সূচক নির্ধারণ করে বিশ্বব্যাংক। মূলত ১০টি খাতের ওপর ভিত্তিকরে বিশ্বব্যাংক প্রতিবছর এই সূচক তৈরি করে। সূচকের উন্নয়নের ফলেই বিনিয়োগের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে, বৃদ্ধি পাবে মানুষের জীবনযাত্রারমান, তাই উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিনিয়োগকারীদের দিতে হবে সর্বোচ্চ সেবা এ লক্ষ্যেই কাজ করছে বাংলাদেশ ।

পরিবেশ সুরক্ষা: পানিদূষণ, বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ, ভূমি অবক্ষয় রোধ, প্রতিবেশগত  সংকটাপন্ন এলাকা ব্যবস্হাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলা এবং ওজোন স্তরের সুরক্ষা প্রদান ও পরিবেশগত দূষণের সমস্যা প্রশমনে সরকার কাজ করছে। প্লাস্টিকের মতো মারাত্নক দূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকার প্লাস্টিক একশন প্লান ২০৩০ বাস্তবায়ন করছে । বিপজ্জনক বর্জ্য ও রাসায়নিক বর্জ্যকে সুস্ঠু ব্যবস্হাপনার মধ্যে আনার লক্ষ্যে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্হাপন বিধিমালা,২০২১ এবং ই -বর্জ্য ব্যবস্হাপন বিধিমালা,২০২১ জারি করে বাস্তবায়ন শুরু করেছে । এসব উদ্যোগ পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বাংলাদেশকে একটি সক্ষম ও সমর্থবান রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য সরকারের অঙ্গীকার দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে । এর দীর্ঘমেয়াদি  সুফল ইতোমধ্যে দেশের জনগণ পেতে শুরু করেছে। ২০৪১ সালে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ এবং নিরাপদ ব-দ্বীপ পরিকল্পনার রূপরেখা প্রণয়ন করা হয়েছে। উন্নত বাংলাদেশের অভিযাত্রায় প্রথম ধাপ হিসেবে এর মধ্যেই বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত হয়েছে । বাংলাদেশের লক্ষ্য এখন স্মার্ট বাংলাদেশ। স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি—এ চারটি মূল ভিত্তির ওপর গড়ে উঠবে ২০৪১ সাল নাগাদ একটি সাশ্রয়ী, টেকসই, বুদ্ধিদীপ্ত, জ্ঞানভিত্তিক, উদ্ভাবনী, স্মার্ট বাংলাদেশ।

লেখক: অর্থনীতিবিদ ও কনসালটেনন্ট    পিআইডি ফিচার

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

2 × 4 =