শনিবার (২১ মে) ভোট হওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবুল কালাম আজাদের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জানা যায়, এবারের নির্বাচনে সেলিম খান-ডিপজল এবং মুশফিকুর রহমান গুলজার-কামাল মো. কিবরিয়া লিপুর দুটি গ্রুপ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। নির্বাচনে লড়তে দুই সমমনা প্যানেলের ৪৪ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন।
নির্বাচন বন্ধের কারণ হিসেবে সামনে এসেছে আদালতে করা একটি রিট। প্রার্থী সেলিম খানের টিআইএন একাধিক প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার করা ও ভোটার করায় এই রিট করেন প্রযোজক মোহম্মদ হোসেন। এর বাদী খোরশেদ আলম খসরু।
নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী, ২০১১ সালে হওয়া সিদ্ধান্ত মোতাবেক এক ব্যক্তির মালিকানায় যতগুলো প্রতিষ্ঠানই থাকুক না কেন, কোনও প্রতিষ্ঠানের নামে আলাদা টিআইএন না থাকলে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির ভোটাধিকার থাকবে না। কিন্তু এবার নির্বাচন প্রার্থী সেলিম খানের টিআইএন দিয়ে একাধিক ভোটারের নাম পাওয়া গেছে। সেই রিটের প্রেক্ষিতেই নির্বাচনে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির নেতা খোরশেদ আলম খসরু বলেন, ‘এবার দেখা গেছে এক টিআইএন-এর আওতায় অনেকে ভোটার হয়েছেন। এটা তো অন্যায়। তাই অভিযুক্তদের ভোটাধিকার বাতিল করে নতুন ভোটার তালিকা প্রণয়ন করা হবে। তারপর নির্বাচন করতে নির্দেশ দিয়েছেন মহামান্য হাইকোর্ট। আমরা সেই নির্দেশ মানছি।’
জানা গেছে, বিষয়টি নিষ্পত্তি করে আগামী সাত দিনের মধ্যে নতুন করে নির্বাচন করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বাংলা ট্রিবিউন