প্রিন্স মাহমুদের সুরে হাবিব ওয়াহিদ

সংগীতাঙ্গনের দুই পরিচিত নাম প্রিন্স মাহমুদ ও হাবিব ওয়াহিদ। তাঁদের নাম জড়িয়ে আছে অনেক জনপ্রিয় গানের সঙ্গে। এই প্রথমবার কোনো গানে একসঙ্গে পাওয়া গেল তাঁদের। রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া ‘জংলি’ সিনেমায় প্রিন্স মাহমুদের লেখা, সুর ও সংগীতায়োজনে একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন হাবিব ওয়াহিদ। ইউটিউবে প্রকাশের পর থেকে প্রশংসিত হচ্ছে ‘যদি আলো আসত’ শিরোনামের গানটি।

গানটি নিয়ে প্রিন্স মাহমুদ বলেন, ‘এটি হাবিবের জন্য করা আমার প্রথম গান। মেলোডিয়াস একটা গান। খুব সারল্যপূর্ণ কথা দিয়ে সাজানোর চেষ্টা করেছি। সঙ্গে কাব্যও আছে। “হাহাকার মেশানো ভুল, এই ক্লান্তির কালো ফুল চোখের নিচে জায়গা পেত না”—এই কথাগুলো সুরের সঙ্গে মিশে মানুষকে ভীষণভাবে কানেক্ট করে। এভাবে কাব্যের সঙ্গে সারল্যপূর্ণ কথা দিয়ে গানটি সাজিয়েছি। সুরটা করার সময় মাথায় ছিল, এটা যেন মানুষে স্পর্শ করে। একবার শুনলে যেন আবার শুনতে ইচ্ছা হয়। সবচেয়ে বড় কথা, গানটি সবাই পছন্দ করছে। আমার করা খালিদ ভাইয়ের কণ্ঠের গানগুলো যেমন একবারেই গ্রহণ করত, এই গানটিও সেভাবে গ্রহণ করেছে।’

হাবিবের গায়কির প্রশংসা করে প্রিন্স মাহমুদ বলেন, ‘শুরু থেকেই চেয়েছিলাম মানুষকে মায়ায় জড়িয়ে ফেলতে। হাবিবের গায়কিটা এত সুন্দর! মানুষ সত্যিই গানটির মায়ায় পড়ে গেছে। আশা করছি এই গানের গ্রহণযোগ্যতা দিন দিন বাড়তেই থাকবে, আমার অন্যান্য গানের মতো। থেমে থাকবে না। সবার প্লেলিস্টে একটু একটু করে আসতে থাকবে।’

যদি আলো আসত গানটি পর্দায় দারুণ ফুটিয়ে তোলার জন্য ‘জংলি’ সিনেমার পরিচালক এম রাহিম ও অভিনেতা সিয়াম আহমেদের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেন প্রিন্স মাহমুদ। জংলিতে মোট চারটি গান তৈরি করেছেন প্রিন্স। ‘জনম জনম’ গান গেয়েছেন তাহসান খান ও আতিয়া আনিসা, ‘ও বন্ধু গো শোনো’ গেয়েছেন ইমরান মাহমুদুল ও কনা। এ ছাড়া ‘মায়াপাখি’ গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন মাহতিম শাকিব।

গানের মতো জংলি সিনেমাটিও দর্শকের মাঝে সাড়া ফেলেছে। প্রথম দিকে হল ও শোয়ের সংখ্যা কম পেলেও দ্বিতীয় সপ্তাহে তা দ্বিগুণ বেড়েছে। এতে সিয়াম আহমেদের সঙ্গে আরও অভিনয় করেছেন শবনম বুবলী, প্রার্থনা ফারদিন দীঘি, শহীদুজ্জামান সেলিম, শিশুশিল্পী নৈঋতা প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

six + eighteen =