অভি মঈনুদ্দীন
‘প্রিয়তমা’ সিনেমার প্রিয়তমা ইধিকা পাল সিনেমা হলে বসে দর্শকের সঙ্গে আরশাদ আদনান প্রযোজিত ফারুক হোসেনের গল্পে হিমেল আশরাফ পরিচালিত ‘প্রিয়তমা’ সিনেমা উপভোগ করবেন বলে কথা দিয়েছিলেন। তিনি তার কথা রাখতেই শুধুমাত্র ‘প্রিয়তমা’ দেখতেই ঢাকায় এসেছিলেন তিনি। গেলো শনিবার সন্ধ্যা ৭.৪০ মিনিটে রাজধানীর স্টার সিনেপ্লেক্সে ইধিকা পাল তার মা’কে সঙ্গে নিয়েই গেলো ঈদের সবচেয়ে ব্লকবাস্টার সিনেমা ‘প্রিয়তমা’ উপভোগ করেন। দর্শকের সঙ্গে বসে সিনেমা উপভোগ করলেও মুখে মাস্ক থাকার কারণে দর্শক খুব বেশি টের পাননি যে তিনি সিনেমা হলে আছেন।
তবে সিনেমা’র শো শেষ হবার পর যখন ইধিকা পাল মুখে মাস্ক নিয়েই নিজের ‘প্রিয়তমা’র পোস্টারের সামনে ছবি তুলছিলেন তখন অনেকেই তার চোখ দেখে টের পেয়ে যান যে তিনি ইধিকা পাল। এ সময় ইধিকা বেশ ভালোলাগা নিয়েই কয়েকজনের সঙ্গে সেলফি তোলেন। সিনেমা হলে যতোক্ষণ ইধিকা সিনেমাটি উপভোগ করেছেন পুরোটা সময়ই তিনি ভীষণ ইমোশনাল ছিলেন। কিছুদিন আগেই শেষ হয়ে যাওয়া ‘প্রিয়তমা’ সিনেমার শুটিং-এর স্মৃতি চারণও করছিলেন তিনি মা ও অন্যান্যদের সঙ্গে।
নিজেকে সিনেমার পর্দায় জীবনে প্রথম দেখা এবং অবশেষে ‘প্রিয়তমা’ সিনেমাটি হলে বসে উপভোগ করা সব মিলিয়ে কেমন লাগলো? এমন প্রশ্নের জবাবে ইধিকা পাল বলেন, ‘অবশেষে অনেক প্রতীক্ষার পর দর্শককে দেওয়া কথা অনুযায়ী অবশেষে ঢাকাতেই প্রথম নিজের মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম সিনেমা প্রিয়তমা উপভোগ করলাম। নিজেকে জীবনে প্রথম বড় পর্দায় দেখতে পেয়ে কতোটা যে ভালোলেগেছে এটা আসলে বলে বুঝানো খুব কঠিন। সত্যি বলতে কী প্রিয়তমা উপভোগ করতে গিয়ে বারবার শুটিং করার সময়কার কথা ভীষণ মনে পড়ছিলো।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মা’কে এবং সঙ্গে অন্য আরো যারা ছিলেন তাদেরকে সিনেমা দেখার ফাঁকে ফাঁকে গল্প শুনিয়েছি। সবমিলিয়েই জীবনে প্রথম নিজেকে বড় পর্দায় দেখা, তাও আবার আমার সঙ্গে মা ছিলেন এবং সর্বোপরি ঢাকার সিনেমা হলেই নিজেকে প্রথম দেখা-সবমিলিয়ে এই পুরো জার্নিটাই স্মরণীয় হয়ে থেকে যাবে আমার জীবনে। আমি কৃতজ্ঞ আরশাদ আদনান স্যার, আমার হিরো শাকিব খান, পরিচালক হিমেল আশরাফ’সহ পুরো প্রিয়তমা’ পরিবারের কাছে। ভীষণ ভীষণ কৃতজ্ঞতা এই বাংলার দর্শকের কাছে।’
ঢাকায় এসেই ইধিকা পাল প্রথম ঢাকেশ্বরী মন্দিরে যান। সেখানে পূজা শেষ করে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হল, শামসুন্নাহার হল, কলা ভবন, কার্জন হল ঘুরে বেড়ান। ইধিকা পাল গতকাল দুপুরের ফ্লাইটে কলকাতা ফিরে গেছেন।