তারকাদের খ্যাতির আলোয় আলোকিত তাদের সন্তানেরাও। যার জনপ্রিয়তা যত বেশি তার ছেলে মেয়েদের প্রতি সবার আগ্রহও যেন তত বেশি। ওই জায়গা থেকে বলিউডের আলোচিত স্টার কিডদের মধ্যে অন্যতম শাহরুখ খানের কন্যা সুহানা খান। যদিও এখন আর স্টার কিড নেই তিনি। রীতিমতো তরুণি। সদ্য বিদায়ী বছর ২০২৩-এর শেষে এসে আলোচনায় আসেন প্রেমঘটিত খবরে। প্রেমিককে নিয়ে উধাও হয়েছিলেন তিনি। সুহানা খান সম্পর্কে জড়িয়েছেন অমিতাভ বচ্চনের নাতি অগস্ত্য নন্দর সাথে। নতুন বছরের প্রথম সূর্য দেখতে তাকে নিয়েই মুম্বাই ছাড়েন। তবে গন্তব্য রাখেন গোপন। অবশ্য বুঝতে বাকি ছিল না নতুন বছর উদ্্যাপন করতেই অগস্ত্যকে নিয়ে মনমতো কোথাও গেছেন সুহানা।
শাহরুখ কন্যা কম সেয়ানা নন। প্রেমিককে নিয়ে বর্ষবরণ উদযাপন করতে যাওয়ায় বলিপাড়ায় ঢোল পড়ে যাবে জানতেন। তা যেন সীমা না ছাড়ায় সেই ব্যবস্থাই করে যান। ছুটি কাটাতে সঙ্গে নিয়ে যান প্রেমিক অগস্ত্যর বোন নব্যাকেও। এদিকে মনের ঘর খালি নেই নব্যারও। শোনা যায়, ২০২২ সালেই তিনি মন দিয়েছেন বলিউড অভিনেতা সিদ্ধান্ত চতুর্বেদীকে। কয়েকবার একসঙ্গেও দেখা গেছে তাদের।
এবার শোনা যাক অগস্ত্য ও সুহানার প্রথম অধ্যায়ের গল্প। জোয়া আখতারের সিনেমা দ্য অর্চিজের মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয়েছে সুহানার। তিনি ছাড়াও ছবিতে রয়েছে বি-টাউনের অন্য তারকাদের ছেলেমেয়েরা। স্টার কিডদের নিয়েই সিনোমটি বানিয়েছেন জোয়া। স্বাভাবিকভাবে বিগ বি’র মেয়ে শ্বেতা বচ্চনের ছেলে অগস্ত্যও ছিলেন। এ ছবি করতে গিয়েই সুহানার কাছাকাছি আসেন তিনি। শুরুটা হয়েছিল বন্ধুত্ব দিয়ে। তবে শেষের দিকে এসে সীমা অতিক্রম করে তা। বন্ধুত্ব রূপ নেয় প্রণয়ে। এ নিয়ে কখনও কোথাও রা করেননি সুহানা বা অগস্ত্য। তবে একসঙ্গে ঠিকই দেখা দিয়েছেন বিভিন্ন স্থানে। কখনও কখনও অন্তরঙ্গ অবস্থায়ও দেখা গেছে তাদের। কয়েক মাস আগে তো অগস্ত্যকে দেখা গিয়েছিল সুহানার উদ্দেশ্যে চুমু ছুড়ে দিতে। এর সপ্তাহখানেক পর আবার এক পার্টিতে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখা যায় তাদের।
এদিকে গত মাসে মুক্তি পেয়েছে তাদের সিনেমা ‘দ্য আর্চিজ’। ছবিটির প্রচার অনুষ্ঠানেও আলাদা করে চোখে পড়েছিলেন তারা। এতে অনেকের ধারনা মুখে কুলুপ এঁটে রাখলেও কর্মকাণ্ড দিয়ে অগস্ত্য-সুহানা জানান দিচ্ছেন এক পথে চলার বার্তা। তারপর তো বর্ষবরণ করতে প্রেমিক নিয়ে চলে গেলেন লোকালয় ছেড়ে। এদিকে শুধু সুহানা-অগস্ত্যই নন মায়ানগরীর অনেকেই বছরের শেষ দিন সঙ্গীকে নিয়ে নিজের মতো করে উদযাপন করেছেন। অনন্যা পাণ্ডে, আদিত্য রায় কাপুর, তামান্না ভাটিয়া, বিজয় বার্মার মতো আলোচিত যুগলেরা মুম্বাইয়ের কোলাহল ছেড়ে দূরে কোথাও গিয়ে দেখেছেন নতুন সূর্য।
সাফা কবিরের অন্যরকম অর্জন
পর্দায় চরিত্রকে জীবন্ত করে তুলতে জুড়ি নেই সাফা কবিরের। এক লহমায় দর্শক বন্দি হন তার সৌন্দর্য ও অভিনয় নৈপুণ্যের মায়াজালে। ছোটপর্দায় এরইমধ্যে নিজেকে সেরা প্রমাণ করেছেন তিনি। ওটিটিতে অল্পবিস্তর মুখ দেখালেও বুঝিয়েছেন এখানেও সেরা হওয়ার ক্ষমতা রাখেন তিনি। এরইমধ্যে সেরা হলেন টিকটকে। সবাই যখন নতুন বছর উদ্্যাপনে ব্যস্ত। কেউবা সাজাতে চাইছেন গোটা বছরের ছক ঠিক তখন প্ল্যাটফর্মটি থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের মাধ্যমে সবাইকে জানিয়ে দিয়েছে সাফা-ই সেরা।
ভিডিও নির্মাণের ওপর প্রতি বছর তালিকা করে থাকে সামাজিকমাধ্যম টিকটক। যাদের নির্মিত ভিডিওগুলো দর্শক পছন্দ করেন তাদের নাম রাখা হয় ওই তালিকায়। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত টিকটকে যে ভিডিওগুলো প্রকাশ পেয়েছে সেগুলো যাচাই বাছাই করে দেখা গেছে সাফার কন্টেন্টগুলো সবচেয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। ‘ফর ইউ’ ফিড-এ আলোচিত ছিল তার ভিডিওগুলো। এদিকে টিকটক থেকে দেওয়া এই সম্মানে উচ্ছ্বসিত অভিনেত্রী। সে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন সংবাদমাধ্যমের কাছে। তিনি বলেছেন, ‘যে কোনো প্রাপ্তিই আনন্দের। কাজের উৎসাহ বাড়িয়ে দেয়। আগামীতে আরও ভালো ভালো টিকটক উপহার দিতে চাই।’
দর্শকের পছন্দে তার পরেই আছেন মেহজাবীন চৌধুরী ও বিদ্যা সিনহা মিম, অনির্বাণ কায়সার ও হৃদি শেখ। মেহজাবীন তার ভিডিওতে তুলে ধরেছেন ঈদের প্রস্তুতি, প্রথাগত সৌন্দর্য ও ফ্যাশন। সেসব ভালো লেগেছে দর্শকের। ঢালিউড অভিনেত্রী মিমি টিকটকে অনুসারীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন দুর্গাপূজার উৎসবের লুক। যা পেয়েছে দর্শকপ্রিয়তা। অনির্বাণ কায়সার তুলে ধরেছেন বাংলাদেশের অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। আর নির্মাতা হৃদি শেখ শেয়ার করেছেন একটি পত্রিকার অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের লালগালিচার মুগ্ধকর লুক।
মাহতিম সাকিবের নতুন গান
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সুরের মূর্চ্ছনা ছড়িয়ে প্রথম নজরে এসেছিলেন কণ্ঠশিল্পী মাহতিম সাকিব। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। আপন কণ্ঠশক্তিতে জয় করে নিয়েছেন শ্রোতাদের হৃদয়। দুই বাংলায় তার সমান চাহিদা। এদিকে নতুন বছরের শুরুতেই প্রকাশ পেয়েছে তার নতুন গান ‘তোকে ছাড়া বোঝে না রে মন’। গানটির কথা লিখেছেন জিয়াউদ্দিন আলম। পাশাপাশি সুরও তার করা। নতুন গানটির সংগীতায়োজন করেছেন মেরাজ তুষার। এরইমধ্যে প্রকাশ পেয়েছে গানটির একটি মিউজিক ভিডিও। সিলেটের শ্রীমঙ্গলে চা বাগানের মনোরম লোকেশনে দৃশ্যধারণ করা হয়েছে। প্রত্যেকটি সৃষ্টির পেছনেই থাকে গল্প। মাহতিমের এই গানের নেপথ্যেও রয়েছে সেরকম ঘটনা। গানটি প্রযোজনা করেছেন পারভেজ চৌধুরী। অনেকদিন ধরে তার ইচ্ছা ছিল সিলেট ঘুরতে যাওয়ার। চা বাগান ঘুরে আসার।
এরইমধ্যে ওয়াহিদ বিন চৌধুরী প্রস্তাব রাখেন সিলেট যাওয়ার। আর না করেননি পারভেজ। দুজন মিলে চলে যান চায়ের দেশে। কিন্তু কথায় আছে না ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান বানে। পারভেজ, ওয়াহিদেরও তাই হয়। অনেকে শুটিংয়ের জন্য উড়ে আসে চা বাগানে। তারা যখন এসেই পড়েছেন তাহলে খালি হাতে যাওয়ার কী দরকার! একটি মিউজিক ভিডিও বানিয়ে নিলেই তো হয়। বুদ্ধিটা ওয়াহিদের মাথা থেকে বের হলে মনঃপুত হয় পারভেজের। কিন্তু গান তো প্রয়োজন। হাতে কিছু গান ছিল তাদের। সেখান থেকেই মাহতিমের গানটি বাছাই করেন তারা। নির্মাণ করে ভিডিও।
মাহতিম সাকিবও গানটি নিয়ে আশাবাদী। কথা ও সুরের প্রশংসা করেন তিনি। গানটি শ্রোতাদের ভালো লাগবে বলেও আশা ব্যক্ত করেছেন তিনি। মিউজিক ভিডিওটি পরিচালনা করেছেন ওয়াহিদ বিন চৌধুরী ও মামুন খান। এতে মডেল হিসেবে আছেন ঋতি ও সৌরভ ফার্সি। বাংলাএক্সপ্রেস ফিল্মসের ইউটিউব চ্যানেল থেকে প্রকাশ পেয়েছে গানচিত্রটি। প্রকাশের পরপরই বেশ সাড়া ফেলেছে সে গান।
লেখাটির পিডিএফ দেখতে চাইলে ক্লিক করুন: ফ্রেম বন্দি