সালেক সুফী: প্রথম ম্যাচে নবীন দল আফগানিস্তানের কাছে উড়ে যাওয়া শ্রীলংকা যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে সবাইকে হারিয়েছে বললে ভুল হবে না ওরাই টুর্নামেন্ট জয়ের প্রধান দাবিদার। বিশেষত টুর্নামেন্ট ফেভারিট ভারত, পাকিস্তানকে হারিয়ে মোমেন্টাম ওদের তুঙ্গে।
কাল দুবাই স্টেডিয়ামে একপেশে খেলায় পাকিস্তানকে হারানোর পর ফাইনালে ওদেরই ফেভরিট মানতে হবে। একই টুর্নামেন্টে পাকিস্তান, ভারত, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ সবাইকে হারিয়েছে শ্রীলংকা। অঘটন ঘটনপটিয়সী রমণীয় ক্রিকেটের ফাইনালে ভিন্ন কিছু হতেই পারে। কিন্তু এযাবৎ খেলা সকল ম্যাচের প্রেক্ষিতে শ্রীলংকা টুর্নামেন্ট জয় না করলে বিস্মিত হবো। বৈশ্বিক যে কোনো টুর্নামেন্ট লং ডিসটেন্স দৌড়ের মতো। যে দল মোমেন্টাম সৃষ্টি করে ধরে রাখতে পারে জয় তাদের পায়ে লুটায়।
কাল প্রথমে ব্যাটিং করা পাকিস্তান দাঁড়াতেই পারেনি শ্রীলংকার বিচিত্র বোলিং আর তুখোড় ফিল্ডিংয়ের মোকাবিলায়। ১২১ রানের সীমিত স্কোরে গুটিয়ে যাওয়া পাকিস্তান দলের ব্যাটিং অধিনায়ক বাবর আযমের ৩০ রান ছাড়া উল্লেখ করার মতো কিছু ছিল না। হাসারাঙ্গা (৩/২১ ), থিকসেনা (২/২১) আর কাল অভিষেক হওয়া মাধুসেনা (২/২১) পাকিস্তান দলের হৃৎপিণ্ডে আঘাত হেনে ওদের স্থবির করে দেয়।
১২১ রান উইকেট অনুযায়ী আদৌ পর্যাপ্ত ছিল না। পাকিস্তান দল পর পর দুই খেলায় যেভাবে আফগানিস্তান, শ্রীলংকার বিরুদ্ধে ব্যাটিং করেছে ফাইনালে তার পুনরাবৃত্তি ঘটলে ওদের পক্ষে এশিয়া কাপ মরীচিকা হয়ে যাবে।
এশিয়া কাপ টুর্নামেন্টে ভারত দলের পর শ্রীলংকা কিন্তু সফল দল। কিন্তু সাম্প্রতিক ফর্ম এবং খেলোয়াড়দের মান বিচারে এবারের ফেভরিট দুই দল ছিল ভারত আর পাকিস্তান। গ্রুপ অফ ডেথ থেকে সংগ্রাম করেই উঠে এসেছে শ্রীলংকা। গ্রুপ অফ ফোরে একে একে আফগানিস্তান, ভারত, পাকিস্তান সব দলকে হারিয়ে ওরা প্রমাণ করলো ক্রিকেটে আগাম কিছু বলা কতটা বোকামি।
কাল পাকিস্তানের সংক্ষিপ্ত টার্গেটের জবাব দিতে গিয়ে প্রথমে একটু হকচকিয়ে গিয়েছিলো হারিস রউফ (২/২১) আর হাসান আলীর (২/২১) দুরন্ত গতির কাছে। তিন তিনটি উইকেট হারানোর পর নিশাঙ্কার (৫৫*) দৃঢ়তার কাছে হেরে যায় পাকিস্তান। ৫ উইকেটের বিশাল জয় নিয়ে দুই দলের ফাইনালে মনস্তাত্ত্বিকভাবে অনেক এগিয়ে থাকবে শ্রীলংকা। আমাদের দেশ বাংলাদেশ ওদের কাছ থেকে শিক্ষা নিতে পারে পাদপ্রদীপের আলোয় না থেকেও কিভাবে নিজ দলকে বিকশিত করতে হয়। জয় যাদেরই হোক আমার চ্যাম্পিয়ন দল শ্রীলংকা।