সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি হচ্ছে আরও এক অনুদানের সিনেমা। নাম ‘যুদ্ধজীবন’। সত্য ঘটনা নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের লেখা যুদ্ধজীবন গল্প অবলম্বনে তৈরি হয়েছে সিনেমার চিত্রনাট্য। শিরীণ আখতার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ও একমাত্র মহিলা উপাচার্য। ১৯৬৯ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তির জন্য চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদীঘি ময়দানে যে জনসভা হয়েছিল,
তাতে শিরীণ আখতার বক্তব্য দিয়েছিলেন। তখন তাঁর বয়স ছিল ১৩ বছর। যুদ্ধজীবন সিনেমাটি পরিচালনা করছেন শিরীণ আখতারের মেয়ে রিফাত মোস্তফা টিনা। চিত্রনাট্য রচনা করেছেন মহিউদ্দিন। গত সোমবার থেকে চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে সিনেমার শুটিং।
যুদ্ধজীবন সিনেমার মূল চরিত্রে অভিনয় করছেন ফেরদৌস আহমেদ। তাঁর বিপরীতে আছেন অভিনেত্রী নাবিলা বিনতে ইসলাম। নাবিলা বলেন, ‘গল্পটা হয়তো অনেকেই পড়েছেন। তবে, সিনেমার চিত্রনাট্যটা দারুণ হয়েছে। এই সিনেমায় অভিনয় করতে পেরে আমি অনেক খুশি।’
সিনেমাটি নিয়ে নির্মাতা রিফাত মোস্তফা টিনা বলেন, ‘যুদ্ধজীবন মূলত সত্য ঘটনা, আমার মা অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের লেখা গল্প অবলম্বনে তৈরি হচ্ছে। প্রথম লটে আমরা টানা সাত-আট দিন শুটিং করব। আগামী মাসে দ্বিতীয় লটে দশ দিনের শুটিংয়ের মধ্য দিয়ে শেষ হবে দৃশ্য ধারণ। এরপর পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ শেষে সিনেমা মুক্তির তারিখ নির্ধারণ করব।’
এর আগে বেশ কয়েকটি অনুদানের সিনেমায় অভিনয় করেছেন ফেরদৌস। নতুন এই সিনেমা নিয়ে তিনি বলেন, ‘এর আগে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ের গল্পে নির্মিত “দামপাড়া” সিনেমার কাজ করেছিলাম চট্টগ্রামে। দ্বিতীয়বারের মতো পুরো কোনো সিনেমার কাজ করছি চট্টগ্রামে। যুদ্ধজীবনের গল্পটা আশির দশক-পরবর্তী সত্য একটি ঘটনা অবলম্বনে। আপাতত গল্পটা শেয়ার করতে পারছি না। এতটুকু বলতে পারি—গল্প, বিষয় আর চরিত্রসংশ্লিষ্ট স্থানেই শুটিং হচ্ছে। কাজটি করতে ভালো লাগছে। সেই সময়টাকে অনুভব করার চেষ্টা করছি।’