বক্স অফিসে ইতিহাস গড়লেন স্কারলেট জোহানসন

হলিউড তারকা স্কারলেট জোহানসন বিশ্বজুড়ে বক্স অফিস আয়ে নতুন ইতিহাস গড়লেন। তার অভিনীত নতুন সিনেমা ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড: রিবার্থ’ ছবির সাফল্যের পর তার ছবির মোট আয় গিয়ে ঠেকেছে ১৪ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারে, যা তাকে বিশ্বের সর্বোচ্চ আয়কারী প্রধান অভিনেতায় পরিণত করেছে। এই তথ্য প্রকাশ করেছে চলচ্চিত্রবিষয়ক মার্কিন গণমাধ্যম দ্য র‌্যাপ।

৪০ বছর বয়সী এই অভিনেত্রীর আয়ের বড় অংশই এসেছে মার্ভেল সিনেমাটিক ইউনিভার্স থেকে, বিশেষ করে ‘অ্যাভেঞ্জার্স’ সিরিজের চারটি ছবি ও ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা: সিভিল ওয়ার’–এ ব্ল্যাক উইডো চরিত্রে তার উপস্থিতি থেকে। এই ছবিগুলো থেকেই এসেছে ৮ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি আয়।

নতুন জুরাসিক ফ্র্যাঞ্চাইজির ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড: রিবার্থ’ ছবিতে স্কারলেটকে দেখা গেছে জোরা বেনেট চরিত্রে, এক সাবেক সামরিক কর্মকর্তা, যাকে পাঠানো হয় ডাইনোসরে ভরা এক দ্বীপে বিপজ্জনক অভিযানে। ছবিটি মুক্তির ছয় দিনের মধ্যেই বিশ্বব্যাপী আয় করেছে ৩১৮ মিলিয়ন ডলার, যা ২০২৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবির মধ্যে আয় হিসেবে দ্বিতীয়, চীনের অ্যানিমেটেড সিকুয়েল ‘নে ঝা ২’-এরপরই ছবিটির অবস্থান।

বক্স অফিস বিশ্লেষণ সাইট দ্য নাম্বার্সের তথ্য অনুযায়ী, প্রধান বা প্রধান চরিত্রের দলের অংশ হিসেবে স্কারলেট অভিনীত ছবিগুলোর মোট আয় এখন ১৪ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে রয়েছে তার মার্ভেল যাত্রার শুরু ‘আয়রন ম্যান ২’, পাশাপাশি অ্যানিমেটেড মিউজিক্যাল ‘সিং’-এর দুই কিস্তিতে ‘রকস্টার পোর্ক পাইন’ অ্যাশ চরিত্রে কণ্ঠ অভিনয়।

এই তালিকায় স্কারলেট এখন এগিয়ে আছেন স্যামুয়েল এল জ্যাকসন ও রবার্ট ডাউনি জুনিয়রের মতো মার্ভেল তারকাদের চেয়েও। তালিকার শীর্ষ পাঁচে আছেন আরও টম হ্যাঙ্কস ও ক্রিস প্র্যাট। তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, স্কারলেটের এই সাফল্য এসেছে মাত্র ৩৬টি ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে, যেখানে স্যামুয়েল অভিনয় করেছেন ৭১টি ও ডাউনি জুনিয়র ৪৫টি ছবিতে।

স্কারলেট জোহানসন একাধারে হলিউডের লেডি সুপারস্টার, বাফটা পুরস্কারজয়ী ও একাধিকার অস্কার এবং গোল্ডেন গ্লোব মনোনয়ন পাওয়া অভিনেত্রী।

হলিউডের অন্যতম সুন্দরী ও আবেদমময়ী নায়িকা তিনি। দীর্ঘ ২৭ বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে সবাই তাকে শুধু আবেদনময়ী নায়িকা হিসেবেই চিন্তা করতো। কিন্তু নিজের ভেতর যে অসামান্য প্রতিভার আলো রয়েছে, তা তিনি ঠিকই একটু একটু করে মেলে ধরতে শুরু করেন। এক সময় হয়ে ওঠেন হলিউডের বড় বাজেটের ছবিগুলোর কেন্দ্রীয় নারী চরিত্রের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অভিনেত্রী। তার ছবি মানেই বক্স অফিসে মার মার কাট কাট ব্যবসা।

তবে তাতেও তিনি খুশি ছিলেন না। নিজেকে প্রমাণ করতে চাইলেন আরও ভিন্নভাবে। তাইতো মূল ধারার বানিজ্যিক ছবির পাশাপাশি কাজ করলেন শৈল্পিক ছবিতে। সেখানে নিজেকে এমনভাবে মেলে ধরলেন, যা দেখে দর্শক থেকে সমালোচকরা বলতে লাগলো, তিনি একজন উচ্চমার্গীয় অভিনয়শিল্পীও বটে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

four × five =