সালেক সুফী: বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজের প্রথমটি জিতে বাংলাদেশ আজ সিরিজ জয়ের অনন্য সম্ভাবনার দ্বারপ্রান্তে। আজ জয়ী হলেই আরও একটি হেভিওয়েট দলের বিরুদ্ধে সিরিজ জয় নিশ্চিত হবে। দুই দলের ব্যাবধান বা সিরিজ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের পূর্বাভাস যাই থাক এই মুহূর্তে বাংলাদেশ দলের কাছে মোমেন্টাম।
মীরপুর শেরেবাংলায় আজ বাংলাদেশ ম্যাচ জিতে সিরিজ নিজেদের করে নিলে বিস্মিত হবো না মোটেও। তরুণ দলটির এই অর্জন দলটির জন্য হবে বিশাল টনিক। তবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা কিন্তু ভিশনভাবে ফিরে আসতে চাইবে। মরিয়া হয়ে থাকবে জয়ের নেশায়। সেই সুযোগটাই নিতে হবে বাংলাদেশের। বলাবাহুল্য এটি বাংলাদেশ ইংল্যান্ডের দ্বিপাক্ষিক প্রথম টি২০ সিরিজ। এর আগে মাত্র একবার দুই দল টি২০ খেলেছিল ২০২১ ইউএইতে বিশ্বকাপ টি২০ টুর্নামেন্টে।
চট্টগ্রামের সাগরিকায় ভালো লেগেছে বাংলাদেশের ভয়-ডরহীন সাহসী ক্রিকেট। ইংল্যান্ড দলের বেধড়ক প্রহারের মুখেও মুষড়ে পড়েনি। তরুণ হাসান মাহমুদের ডেথ ওভার বোলিং, সঙ্গে তাসকিন, মুস্তাফিজের জ্বলে ওঠা উড়তে থাকা ইংল্যান্ড দলকে মাটিতে নামায়। দলকে বিশ্বাস যোগায় জয়ের সম্ভাবনার। দীর্ঘদিন পর দলে ফিরে রনি তালুকদার আর অভিষিক্ত তৌহিদ হৃদয় ইংল্যান্ড দলের চোখে চোখ রেখে দারুন শুরু করে। ফর্মে থাকা উজ্জীবিত নাজমুল শান্ত অন্যতম বিশ্বসেরা মার্ক উডকে তুলোধুনা করে জয়ের ভিত্তি রচনা করে। বিচক্ষণ সাকিবের ব্যাটে চড়ে আসে ঐতিহাসিক জয়। ইংল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে ৫০ রানের বিশাল জয়কে আমি দুর্ঘটনা মানতে রাজি নই। নিজেদের সেরাটি খেলতে পারলে আজও জয় অসম্ভব হবে না।
তবে জয় পেতে দলের সবাইকে উজ্জীবিত হয়ে নিজেদের কাজটি পেশাদারি মনোভাবে করতে হবে। উইকেট অনুযায়ী সঠিক লেংথ লাইন বজায় রেখে ক্রমাগত বোলিং করতে হবে আর তুখোড় ফিল্ডিং করতে হবে। সিরিজে লিটন থেকে একটি ভালো ইনিংস এখন কাঙ্ক্ষিত। আমি রনি আর হৃদয়ের বিষয়ে আশাবাদী। শান্তকে ২০২২ বিশকাপে অস্ট্রেলিয়ায় দেখার পর ওর বিষয়ে আমার আশাবাদ সুদৃঢ় হয়েছে। সাকিব বিচক্ষণ। দলের প্রয়োজনে আউট অফ দি বক্স সিদ্ধান্ত নিলে ভাল হবে। আমি বিজয়ী দলটি অপরিবর্তিত রাখার পক্ষে। যদিও ইদানিং মীরপুর উইকেটে বাউন্স, পেস, টার্ন সবই থাকে, গ্যালারি আজ উচ্ছসিত থাকবে বিজয় নেশায়।