বাংলাদেশের টি২০ সিরিজ জয় আবারো ত্রাতা সোহান

আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে উপর্যুপুরি দুটি ম্যাচ জিতে এক ম্যাচ হাতে রেখেই দ্বিপাক্ষিক টি২০ সিরিজ জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। আবারো সহজ ম্যাচ ব্যাটিং ব্যর্থতায় কঠিন করে শেষ ওভারে জিতেছে। এবারেও ত্রাণকর্তা নুরুল হাসান সোহান। যাকে এখনো সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হচ্ছে বলা যাবে না।

টস হেরে ব্যাটিং করে কাল নিজেদের নির্ধারিত ওভারে ১৪৭/৫ করেছিল বাংলাদেশ। জবাবে শুরুতেই ১৬ রানে আগের ম্যাচের সফল দুই ব্যাটসম্যান তানজিদ তামিম আর পারভেজ ইমনকে হারিয়ে কোনঠাসা হয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। এরপর ২৪ রান হতেই ফিরে গেলো সাইফ হাসান।

সৌভাগ্য বাংলাদেশের। কাল জাকের আলী আর শামীম হোসেন চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৫৬ রান যোগ করে দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যায়। কিন্তু দলীয় ৮০ রানে জাকের আলী আর ১০২ রানে শামীম বিদায় নিলে আবারো পরাজয়ের শংকা ডানা বাধে। ১২৯ রান করতেই হারায় ৮ম উইকেট।

এই অবস্থায় কাল আবার নুরুল হাসান সোহান ২১ বলে ৩ ছয় আর এক চারে অপরাজিত ৩১ রান করে বাংলাদেশকে ম্যাচ এবং সিরিজ জয়ী করে। তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০ এগিয়ে যাওয়ার তৃতীয় ম্যাচটি এখন শুধুই আনুষ্ঠানিকতা। দেখার ধবল ধোলাই অর্জনের বাংলাদেশের জন্য।

কাল টসে জিতে আফগানিস্তানকে ব্যাটিং করার আমন্ত্রণ জানায় বাংলাদেশ।সিদিকুল্লাহ আতাল (২৩) আর ইব্রাহিম জাদরান (৩৮) প্রথম উইকেট উইকেট জুটিতে ৫৫ রান তুলে বড় দলীয় স্কোর গড়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশ বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের কারণে একমাত্র রামানুল্লাহ গুরবাজ ( ৩০) ছাড়া আর কেউ সুবিধা করতে পারেনি। ভালো বোলিং করেছে নাসুম (২/২৫), রিশাদ হোসেন (২/৪৫)। কিপ্টে বোলিং করেছে শরিফুল (১/১৩)। ১৪৭/৫ এই উইকেটে বড় স্কোর ছিল না।

বাংলাদেশ ইনিংসের শুরুটা ভালো হয়নি। আগের ম্যাচের দুই সফল ব্যাটসম্যান তানজিদ তামিম (২), পারভেজ ইমনকে (২) শুরুতেই ফিরিয়ে দিয়ে বাংলাদেশকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেয় আফগান বোলিং অলরাউন্ডার আজমাতুল্লাহ ওমরজাই। এরপর সাইফ হাসানকে মুজিব ১৮ রানে ফিরিয়ে দিলে ২৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ।

সৌভাগ্য এই দিন আগের ম্যাচের মত ঝরে পড়েনি ভঙ্গুর মিডল অর্ডার। জাকের আলী ( ৩২) আর শামীম পাটোয়ারীর (৩৩) যোগাযোগে চতুর্থ উইকেট জুটি ৫৬ রান যোগ করে দলকে এগিয়ে দেয়।  বিশেষ করে কাল রাশিদ খান ভালো বোলিং করলেও ধস নামাতে পারেনি।

তবে জাকের আর শামীম ফিরে যাবার পর দ্রুত নাসুম, সাইফুদ্দিন আর রিশাদ বিদায় নিলে ৮/১২৯ বিপদে ছিল বাংলাদেশ। তবে আবারো কাল বিপদ মুহূর্তে ত্রাণকর্তার ভূমিকায় আবির্ভুত হয় নুরুল হাসান সোহান। ওর ২১ বলে করা অপরাজিত ৩১ রান বাংলাদেশকে ১৯.১ ওভারে নিয়ে যায় ১৫০/৮ জয়ের বন্দরে।

২ উইকেটে ম্যাচ জয়ী বাংলাদেশ এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জয় করে। আনন্দ থাকলেও স্বস্তির কিছু নেই। ব্যাটিং নিয়ে অনেক কিছু করার আছে। হয়তো টিমের ব্যবস্থাপনা দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করতে পেরেছে। সিরিজ জয়ে অভিনন্দন টিম টাইগার্সকে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

4 − 1 =