বাংলাদেশ অনুর্ধ  ১৯ ক্রিকেট দল শিরোপা রক্ষার যুদ্ধে

সালেক সুফী: ওয়েস্ট ইন্ডিজে বাংলাদেশের তরুণ ক্রিকেট দলের বিশ্বজয়ী  শিরোপা ধরে রাখার মিশনের শুরুটা শুভ হয়নি। ব্যাটিং ব্যার্থতার জন্য কাল গ্রুপের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ড দলের কাছে ৭ উইকেটের বিশাল ব্যাবধানে হেরে যাওয়াটা অনেকের কাছে হতাশার হলেও এখনই চূড়ান্ত হতাশ হবার কারণ নেই।গ্রুপের বাকি দুটি খেলায় অবশ্যই জয়ী হয়ে নক আউট পর্যায়ে উপনীত হবে। তবে এবারে দলটি কিন্তু সীমিত প্রস্তুতি নিয়ে খেলতে গাছে।  দেশে বিদেশে গেলো বারের বিশ্বজয়ী দলের মতো আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলার সুযোগ পায়নি ওরা।  কালকের খেলাটিতেও অনেকটা ম্যাচ অনুশীলনের অভাব দেখা গেছে। খেলোয়াড়দের নিঃসন্দেহে এই পর্যায়ে খেলার যোগ্যতা, দক্ষতা আছে। যত ম্যাচ খেলবে তত পরিণত হবে। একটি ম্যাচ দেখেই ওদের সামর্থ বিচার করা সমীচীন হবে না।

বলাই বাহুল্য অনুর্ধ ১৯ দলের বিশ্ব জয় বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে এযাবত কালের সেরা অর্জন। শিরোপা নিয়ে দেশে ফেরার পর বিসিবি ওদের নিয়ে মহাপরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু বলতেই হবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় বাংলাদেশের প্রস্তুতি অত্যন্ত সীমিত। হয়তো অজুহাত হবে করোনা মহামারী।  কিন্তু এই সময়েও অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তান এমনকি শ্রীলংকা পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়েছে। বাংলাদেশ অবশ্যই দেশের মাটিতে আরো কয়েকটি বিদেশি দলকে আমন্ত্রণ করতে পারতো। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউ জিলান্ডে বিশেষ ব্যাবস্থায় দল পাঠাতে পারতো। বিশেষত শিরোপা ধরে রাখার জন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেয়া সমীচীন ছিল। অথচ বাংলাদেশ মূল দলটির  যেভাবে টি২০ বিশ্ব কাপে সীমিত প্রস্তুতি নিয়ে অংশগ্রহণ করে ভরাডুবি হয়েছে, আশা করি তরুণ দলটির সেই পরিণতি হবে না।

চারটি গ্রুপে বিভক্ত প্রতিটি গ্রুপ থেকে দুটি করে দল পরবর্তী রাউন্ডে উন্নীত হবে। বাংলাদেশের গ্রুপে অন্য দুটি দল ইউএই এবং কানাডা।  ওদের সাথে বাংলাদেশ সহজ জয় না পেলে বিস্মিত হবো। আর এই দুইটি খেলা থেকে বাংলাদেশ নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিতে পারবে। এবারের টুর্নামেন্টে অবশ্যই ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড অনেক শক্তিশালী দল।  পাকিস্তান এবং শ্রীলংকাও অনেক প্রস্তুতি নিয়ে গেছে। বাংলাদেশ দলে অধিনায়ক রকিবুল সহ গেলো বারের চার খেলোয়াড় আছে। দলে কয়েকজন উন্নত মানের চৌকষ খেলোয়াড় আছে, দলের মূল শক্তি বোলিং আক্রমণ। তবে ব্যাটসম্যানদের ভালো ব্যাটিং করে পর্যাপ্ত পুঁজি জোগাড় করতে হবে।

আমি মনে করি প্রথম ম্যাচে পরাজয় দলটিকে তাতিয়ে দিবে।বাংলাদেশের জন্য এখন থেকে প্রতিটি ম্যাচ নক আউট হিসাবেই বিবেচিত হবে। তবে হয়তো আমরা ভুলেছিলাম অর্জনের চেয়েও অর্জন ধরে রাখা সব সময়ে অধিকতর চ্যালেঞ্জিং।  ক্রিকেট প্রেমিক দেশবাসি বুক ভরা প্রত্যাশা নিয়ে বসে আছে। অপেক্ষার ভরা পেয়ালা উপচে পড়ছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

11 − 7 =