বাংলাদেশ আফগানিস্তান ওডিআই সিরিজ: যোগ্যতর দল সিরিজ জিতেছে

সালেক সুফী

তীব্র প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ তৃতীয় ম্যাচে কাল আফগানিস্তান খেলার ৪৮.২  ওভারে  ১০ বল হাতে রেখে বাংলাদেশকে.৫..উইকেটে হারিয়ে ২-১ সিরিজ জয় করেছে। টস জয়ী বাংলাদেশ  ব্যাটিং করে নির্ধারিত ওভারে  করেছিল ২৪৪/৮।  আফগানিস্তান ৪৮.২ ওভারে ২৪৬/৫ রান করে বলতে দ্বিধা নেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে যোগ্যতর দল হিসাবে সিরিজ জিতলো আফগানিস্তান। তবে বলতে বলতে হবে পরিস্থিতি অনুযায়ী দলের দুইজন মূল খেলোয়াড় মুশফিকুর রহিম এবং নাজমুল শান্ত সিরিজ চলাকালে আহত হয়ে খেলতে না পারা সত্ত্বেও সামর্থের সবটুকু দিয়ে লড়াই করেছে বাংলাদেশ।

টস ভাগ্য বাংলাদেশের অনুকূলে ছিল. উইকেটে শুরু থেকে বল টার্ন করছিলো। আফগান ফিল্ডাররা শুরুতে দুটি সহজ ক্যাচ ফেলে দিলেও পুরোপুরি ফায়েদা নিতে পারে নি বাংলাদেশ। তরুণ তানজিদ তামিম দুবার জীবন পেয়েও ১৯ রান করে উইকেট বিলিয়ে দেয়। তবুও প্রথম উইকেটে ৯ম ওভারে ৫৩ রান মন্দ ছিল না.সৌম্য ,তামিম দ্রুত ফিরে যাবার পর  শান্তর স্থানে খেলা জাকির হাসান ভুল বোঝাবুঝির কারণে রান আউট হলে ইনিংসে ধাক্কা লাগে। তৌহিদ হৃদয় রশিদ খানের চতুর স্পিন ফাঁদে কাটা পড়লে বাংলাদেশের অবস্থান দাঁড়ায় ৪/৭২. এমন বিপর্যয় মুহূর্তে অধিনায়ক মেহেদি মিরাজের সঙ্গে জুটি বেঁধে বিশস্ত মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৫ম উইকেট জুটিতে মূল্যবান ১৩৫ রান যোগ করে দলকে লড়াকু পুঁজি এনে দেয়। মাহমুদুল্লাহ দলের বিপর্যয় মুহূর্তে স্বভাবসূলভ গতিময় ব্যাটিং করে ৯৮ বলে ৯৮ রান করে. তবে মেহেদী মিরাজ হয়তো পরিস্থিতির চেইপ পরে ৬৬ রান করতে ১১৯ বল সময় নেয়।  বাংলাদেশ ৫০ ওভার শেষে ২৪৪/৮ করতে পারে। হয়ত এই রান ২৫৫-২৬০ হলে লড়াই আরো তীব্রতর হত। আফগান স্পিনারৰা বাংলাদেশকে চেপে ধরলেও কাল কিন্তু পেস অল রাউন্ডার আজমাতুল্লাহ ওমারজাই (৪/৩৭) ছিল সফল বলার।  চার স্পিনার রাশিদ ,নবী ,গাজানফার এবং খরোটে কিন্তু চেইপ রেখেছিলো বাংলাদেশকে।

আগের দুই ম্যাচে কিন্তু আফগানিস্তানের তুখোড় ওপেনিং ব্যাটসম্যান রাহমানুল্লাহ গুরবাজ রান পায় নি। কাল ছিল গুড়বাজির দিন. স্বভাবসুলভ ছন্দে গুরবাজ কাল ৫ চার আর ৭ ছক্কায় সাজানো ১০১ রানের ইনিংস খেলে আফগানিস্তানকে জয়ের ভিত্তি গড়ে দেয়।  তবু বাংলাদেশ সামর্থ অনুযায়ী লড়াই করেছে। খেলাটি ৪৯ম ওভার পর্যন্ত নিয়ে গাছে। কিন্তু আফগান দলের চৌকষ খেলোয়াড় আজমাতুল্লাহ ওমারজাই অপরাজিত ৭০ রান এবং বর্ষীয়ান স্পিন অল রাউন্ডার নবীর ( ৩৪*) সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য ষষ্ট উইকেট জুটির দ্রুত ৫৮ রান দলকে ম্যাচ এবং সিরিজ জয় এনে দেয়।  আফগানিস্তান দলকে কৃতিত্ব দিতেই হবে. তবে নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ম্যাচে ভালো খেলেছে বলতে কার্পণ্য করবো না. অবশেষে যোগ্যতর দল হিশেবেই সিরিজ জিতেছে আফগানিস্তান। চৌকষ ভূমিকার জন্য ম্যাচ সেরা হয়েছে আজমাতুল্লাহ ওমারজাই ( ৭৪* এবং ৪/৩৭) .মোহাম্মদ নবি অর্জন করে সিরিজের সেরা খেলোয়াড় পুরুষ্কার।

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

16 − six =