বাংলাদেশ-তুরস্ক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার হাসিনা ও এরদোয়ানের

বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তুরস্কের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ান। প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনঃনির্বাচিত হওয়ার পর গতকাল বুধবার রাত ১১টা ১৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টেলিফোন করে একথা বলেন এরদোয়ান।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘রিসেপ তায়িপ এরদোয়ান বুধবার রাত ১১টা ১৫ মিনিটের দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে টেলিনফোনে কথা বলেন। এ সময় দুই নেতা শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং প্রায় ১০ মিনিট একে অপরের সাথে কথা বলেন।’

টেলিফোনে কথা বলার সময় শেখ হাসিনা দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে বিজয় অর্জন করে পুনঃনির্বাচিত হওয়ায় তুরস্কের প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন জানান। এ নির্বাচনে ৮৬ শতাংশেরও বেশি ভোট পড়ে। তিনি তুরস্কের জনগণ সঠিক নির্বাচন করায় আনন্দ প্রকাশ করেন। যা দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের পর প্রমাণিত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে, বাংলাদেশের জনগণ ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারির ভূমিকম্পের মতো যেকোন প্রয়োজনে তুরস্কের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণের পাশে দাঁড়াতে অবিচল থাকবে।

দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে তার বিজয়ে বাংলাদেশের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণ মানসিকভাবে তুরস্কের উল্লসিত জনগণের সাথে যোগ দেওয়ায় প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এ লক্ষে তিনি বাংলাদেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানান এবং দু’দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক আরো জোরদার করার ইচ্ছে ব্যক্ত করেন।

তিনি বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে শেখ হাসিনার সাথে কাজ করার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। পরিশেষে, শেখ হাসিনা প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ও তার পরিবারের সদস্যদের শুভেচ্ছা জানান এবং তার মাধ্যমে তুরস্কের জনগণের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।

বাসস

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

12 − 5 =