সংবাদ সংগ্রহের জন্য বাংলাদেশে আসতে চাওয়া সাংবাদিকদের ভিসা দ্রুত অনুমোদন করতে বিদেশি মিশনগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের তরফে শফিকুল আলম শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে লিখেছেন, “আমরা আমাদের সব বিদেশি মিশনকে বাংলাদেশ সফরে আসতে ইচ্ছুক সাংবাদিকদের ভিসা দ্রুত অনুমোদনের জন্য বলেছি।”
বিশেষ করে নয়াদিল্লি ও হংকংয়ে বাংলাদেশ মিশনের কর্মকর্তাদের সাংবাদিকদের ভিসা আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তি করে দিতে বলা হয়েছে, লিখেছেন শফিকুল আলম।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে শুক্রবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের ফোনালাপ হয়। তখন তাদের মধ্যে বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনার সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার প্রতিবেদন ‘অতিরঞ্জিত’ করা হয়েছে। প্রকৃত অবস্থা জানতে ভারতীয় সাংবাদিকদের বাংলাদেশ সফরে এসে সংখ্যালঘু সুরক্ষা বিষয়ে মাঠ থেকে প্রতিবেদন করার আহ্বান জানান তিনি।
ওই প্রসঙ্গ টেনে শফিকুল ইসলাম শনিবার লিখেছেন, “সেকেন্ডারি সোর্স ব্যবহারের পরিবর্তে নিজে পরিস্থিতি দেখে প্রতিবেদন তৈরি করা ভালো। “বাংলাদেশ ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কার্যক্রম নিয়ে কেউ রিপোর্ট করতে চাইলে তাকে স্বাগত।”
গণআন্দোলনের মুখে ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়, সেদিন শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগ করে ভারতে চলে যান। এরপর সাংবিধানিক সংকটের মধ্যে ৮ অগাস্ট শপথ নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, যার নেতৃত্বে রয়েছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস। সেদিনই ইউনূসকে অভিনন্দন জানিয়ে এক্স-এ পোস্ট দেন নরেন্দ্র মোদী।
শেখ হাসিনার পতনের দিন থেকেই বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক কার্যালয়ে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। হামলার শিকার হয় বহু হিন্দু পরিবার এবং অন্য সংখ্যালঘুরাও।
হিন্দুসহ বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেয় ভারতে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে এ বিষয়ে বহু খবর দেখা যায়।শুক্রবারের ফোনালাপে নরেন্দ্র মোদীও সংখ্যালঘুদের বিষয়টি তোলেন এবং প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আশ্বাস দেন।
বিডিনিউজ