দ্য ফাস্ট মোড অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫ -এ দু’টি মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার অর্জন করেছে বাংলালিংক। নেতৃত্বের উৎকর্ষের স্বীকৃতিতে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ইওহান বুসে পেয়েছেন এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ‘সিইও অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার, আর গ্রাহক অভিজ্ঞতার উন্নয়নে ধারাবাহিক অগ্রগতির জন্য প্রতিষ্ঠানটি অর্জন করেছে ‘কাস্টমার এক্সপেরিএয়েন্স (সিএক্স) চ্যাম্পিয়ন’ সম্মাননা।
মালয়েশিয়া-ভিত্তিক টেলিযোগাযোগ বিষয়ক গণমাধ্যম ও গবেষণা প্ল্যাটফর্ম দ্য ফাস্ট মোড এই পুরস্কারের মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ খাতে উদ্ভাবন, নেতৃত্ব এবং শিল্পে প্রতিষ্ঠানগুলোর ইতিবাচক প্রভাবকে তুলে ধরে। এ বছরের আয়োজনে টেলিযোগাযোগ, সেবাদাতা ও নেতৃত্বে উৎকর্ষ, এই তিনটি বিভাগে বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে তিন শতাধিক মনোনয়ন জমা পড়ে। এসব মনোনয়ন মূল্যায়ন করেন আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা, শিল্পখাতের বিশেষজ্ঞ এবং অভিজ্ঞ বিশ্লেষকদের সমন্বয়ে গঠিত একটি স্বাধীন প্যানেল।
বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী ইওহান বুসে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের সিইও অব দ্য ইয়ার নির্বাচিত হওয়ার নেপথ্যে রয়েছে তার নেতৃত্বে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানটির রূপান্তরমূলক কর্মসূচি রিসেট ২.০। তার নেতৃত্বে বাংলালিংকের কার্যক্রম আরও গতিশীল হয়েছে, প্রতিষ্ঠানের ভেতরে গড়ে উঠেছে একটি দৃঢ় ‘গ্রাহক-প্রথম’ সংস্কৃতি, সিদ্ধান্ত গ্রহণের গতি বাড়াতে অপ্রয়োজনীয় স্তরবিন্যাস কমানো, এবং নেতৃত্বের সামনের সারির দলগুলো আরও ক্ষমতায়িত হয়েছে।
টানা পাঁচ প্রান্তিকের রাজস্ব পতন কাটিয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে পুনরায় প্রবৃদ্ধির ধারায় ফেরাতে ইওহান বুসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। বৈশ্বিক ডিজিটাল সেবা প্রদানকারী এবং বাংলালিংকের মূল প্রতিষ্ঠান ভিওনের ডিও১৪৪০ লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তিনি বাংলালিংকের বিস্তৃত ও আরও গতিশীল ডিজিটাল রূপান্তরকে উল্লেখযোগ্যভাবে ত্বরান্বিত করেছেন। এই লক্ষ্য গ্রাহকের দিনের প্রতিটি মুহূর্তকে আরও সহজ, নিরবচ্ছিন্ন এবং কার্যকর করে তোলাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে।
বাংলালিংকের গ্রাহকসেবা চ্যাম্পিয়ন পুরস্কার অর্জন প্রতিষ্ঠানটির প্রযুক্তি ও উদ্ভাবননির্ভর সেবার মাধ্যমে গ্রাহক অভিজ্ঞতা উন্নয়নে ধারাবাহিক প্রচেষ্টার প্রতিফলন। গ্রাহকের সুবিধা বাড়াতে প্রতিষ্ঠানটি এআই প্রযুক্তিনির্ভর একাধিক সেবা চালু করেছে, মাইবিএল অ্যাপের মাধ্যমে স্ব-সেবার পথ আরও সহজ করেছে এবং গ্রাহকের মতামত গ্রহণ ও সাড়া দেওয়ার জন্য একটি সুসংগঠিত প্রক্রিয়া গড়ে তুলেছে। ফলস্বরূপ, গ্রাহকসেবায় ৯৪ শতাংশ প্রথম যোগাযোগেই সমাধান, কল সেন্টারে কলের পরিমাণ ৩৫ শতাংশ কমে আসা এবং দেশের প্রথম উদ্ভাবনমূলক এআই-ভিত্তিক কথোপকথন সেবার মাধ্যমে এই অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে।
এছাড়াও, দেশের সর্বোচ্চ রেটিংপ্রাপ্ত টেলিযোগাযোগ অ্যাপ মাইবিএল গ্রাহক অভিজ্ঞতার মানোন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। এতে রয়েছে বিশটিরও বেশি সেবাসুবিধা, স্মার্ট প্রযুক্তিতে সহজ ও স্বচ্ছভাবে সমস্যা শনাক্ত ও অভিযোগ নিবন্ধনের ব্যবস্থা, এবং জেনারেটিভ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর মাইবিএল সহকারী প্রতিদিন লাখো গ্রাহককে দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য সহায়তা প্রদান করছে।
পুরস্কারপ্রাপ্তিতে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ইওহান বুসে বলেন, “এই স্বীকৃতিগুলো বাংলালিংকের সকল সহকর্মীর সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। শুরু থেকেই আমরা গ্রাহকদের প্রয়োজন আন্তরিকভাবে শুনছি, উপলব্ধি করছি এবং তাদের প্রত্যাশার প্রতি সহমর্মিতার সাথে সাড়া দিচ্ছি। আমাদের গ্রাহকদের সন্তুষ্টি ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, আর এটা আমাদের অক্লান্ত পরিশ্রমেরই প্রতিফলন। প্রযুক্তিনির্ভর সমাধানের পাশাপাশি সেবার মানোন্নয়নের ক্ষেত্রে এই স্বীকৃতি আমাদেরকে এগিয়ে যেতে উৎসাহিত করবে।”
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ থেকে আরও দু’টি মোবাইল অপারেটর এ আয়োজনে পুরস্কৃত হয়েছে। এর মধ্যে গ্রামীণফোন অপারেশনাল এক্সিলেন্স বিভাগে এবং রবি আজিয়াটা উদীয়মান টেলিযোগাযোগ ব্র্যান্ড বিভাগে সম্মাননা পেয়েছে।