সালেক সুফী
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে কিংস্টনে তীব্র প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ টি ২০ ম্যাচে ৭ রানে বাংলাদেশ জয় জাতির জন্য ৫৩ বিজয় দিবস উৎসবের এক বিশেষ উপহার। প্রথম ব্যাটিং এর শুরুতে ফর্মে থাকা সৌম্য সরকারের ৪৩, জাকের আলী ২৭ রানে ভর করে এগুনোর পর শেষ দিকে শামীম হোসেনের দ্রুত ১৩ বলে ২৭ এবং মাহেদী হাসানের অপরাজিত ২৬ রান বাংলাদেশকে ১৪৭/৬ লড়াকু পুঁজি এনে দিয়েছিলো। বাংলাদেশ শুরু থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে নিয়ে ৬১/৭ অবস্থানে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে কোনঠাসা করে ফেলেছিলো। দেয়ালে পিঠ রেখে অধিনায়ক রোভমান পাওয়েল (৬০), রোমারিও শেফার্ডকে সঙ্গী করে ৮ম উইকেট জুটিতে ৬৭ রানের নতুন মাইলফলক স্থাপন করে জয় প্রায় ছিনিয়ে নিয়েছিল। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৮ রানের। হাসান মাহমুদ নিখুঁত লেংথ লাইনে বোলিং করে পাওয়েল এবং আলজারি জোসেফের উইকেট তুলে নিয়ে দলকে ৭ রানের জয় এনে দেয়। ১৪০ রানে শেষ হয় ওয়েস্ট ইনিডিজ ইনিংস।
ওডিআই সিরিজে ধবল ধোলাইয়ের পর এমনিতেই দলের মনোবল তলানিতে ছিল। ওডিআই সিরিজে বার্থ লিটন কুমার দাশকে অধিনায়ক নির্বাচন করা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক করার যুক্তিসঙ্গত কারণও ছিল। অবশ্য খুব একটা বিকল্প ছিল না। লিটন ব্যাট হাতে দারুন ভাবে ফর্ম হীন।আজো প্রথম বলে শূন্য রানে আউট হয়েছে। কিন্তু উইকেটের পিছনে থেকে ৫ আউটের নতুন মাইলফলক অর্জন করেছে। বাংলাদেশ ইনিংসে সৌম্য ছাড়া টপ অর্ডার ব্যর্থ ছিল। মিডল অর্ডারে জাকের, শামীম, মেহেদী দ্রুত কিন্তু সংক্ষিপ্ত ইনিংস উপহার দেয়ায় লড়াই করার মত পুঁজি গড়ে ওঠে।
জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল বাংলাদেশের আঁটোসাঁটো বোলিং এবং অনুপ্রাণিত ফিলডিংয়ে শুরুতেই হকচকিয়ে যায়। একসময় অধিনায়ক পাওয়েল মারমুখী ব্যাটিং করে (৩৫ বলে ৬০ রান ) করলেও তাসকিন এবং হাসান মাহমুদ মোক্ষম সময়ে উইকেট তুলে নিয়ে দলকে বিজয় উপহার দেয়। দলের এই জয়ে বোলারদের উজ্জ্বল ভূমিকা ছিল। মাহেদী হাসানের চৌকষ নৈপুণ্যের (২৬* এবং ৪/১৩) জন্য সেরা খেলোয়াড় উপহার দেয়া হয়। তিন ম্যাচ সিরিজে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ সিরিজ জয় করলে হবে বাংলাদেশের বড় অর্জন। বাংলাদেশের টপ অর্ডার নিয়ে কিছু ভাবনার অবকাশ আছে। অন্তত একজন ব্যাটসম্যান উইকেটে থিতু হয়ে ১৬-১৭ ওভার পর্যন্ত উইকেটে থাকলে ১৪০ রানে সীমিত থাকা ইনিংস গুলো ১৭০-১৮০ হতে পারতো।