যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প গুরুত্বপূর্ণ এবং সম্ভবত একমাত্র বিতর্কে অংশ নেয়ার চূড়ান্ত প্রস্ততি নিয়েছেন।
আগামী ৫ নভেম্বর দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের প্রেক্ষিতে পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ফিলাডেলফিয়ার ন্যাশনাল কনস্টিটিউশান সেন্টারে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে (বাংলাদেশ সময় বুধবার সকাল) এবিসি নিউজের বিতর্কে উভয় প্রার্থী প্রথমবার এবং সম্ভবত শেষবারের মতো মুখোমুখি হচ্ছেন। তাদের এই বিতর্ক সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
হ্যারিস স্থানীয় সময় সোমবার বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে ফিলাডেলফিয়া এসে পৌঁছেছেন। ট্রাম্পের শেষ মুহূর্তে ফিলাডেলফিয়া আসার কথা রয়েছে।
এদিকে সোমবার প্রচারিত এক রেডিও সাক্ষাতকারে হ্যারিস বলেছেন, ট্রাম্প কতোটা নিচে নামবেন তার প্রস্তুতি আমাদের নিতে হচ্ছে। তাকে ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই।
তিনি আরো বলেছেন, ট্রাম্প সম্ভবত প্রচুর অসত্য বলতে যাচ্ছেন, আমাদের সে বিষয়েও প্রস্তুত থাকতে হচ্ছে।
জুনে ট্রাম্পের সাথে টেলিভিশন বিতর্কে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিপর্যয়ের পর তিনি প্রার্থীতা প্রত্যাহারে বাধ্য হন। ডেমোক্র্যাট দলের কনভেনশনে প্রার্থী হিসেবে কমলা হ্যারিসকে মনোনয়ন দেয়া হয়।
আমেরিকান প্রথম নারী, কৃষাঙ্গ এবং দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিসকে (৫৯) নিয়ে বিরোধী প্রার্থী ট্রাম্পের আক্রমণাত্মক বক্তব্য থেমে নেই। বিতর্কের আগে জাতীয় জরিপে জনসমর্থনে ট্রাম্পের চেয়ে কমলা এগিয়ে থাকলেও ট্রাম্প তাকে খাটো করে দেখানোর জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।
এদিকে বিতর্কেও ট্রাম্প তার আক্রমণাত্মক ভঙ্গি তুলে ধরবেন বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন। কারণ কমলা হ্যারিস নির্বাচনী লড়াইয়ের মাঠে প্রবেশের কারণে ট্রাম্প (৭৮) হয়ে পড়েছেন মার্কিন নির্বাচনী ইতিহাসের সবচেয়ে প্রবীণ প্রার্থী।
তবে বিতর্কের মঞ্চে কমলা কি আদৌ তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পকে ঘায়েল করতে পারবেন, নাকি প্রতিদ্বন্দ্বীর আক্রমণাত্মক বক্তব্যে নিজেই ধরাশায়ী হবেন এ নিয়ে আলোচনা চলছে। রিপাবলিকান সমর্থকরা বলছেন, মঞ্চে কথা বলতে পারবেন না কমলা। অন্যদিকে ডেমোক্র্যাটরা বলছেন, কমলার প্রস্তুতি যথেষ্ট ভালো। তিনি মঞ্চে প্রতিপক্ষকে ধসিয়ে দিতে প্রস্তুত।
তাই ধারনা করা হচ্ছে, বিপুল সংখ্যক দর্শক গুরুত্বপূর্ণ এই বিতর্ক দেখতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
এদিকে সর্বশেষ জনমত জরিপে উভয় প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। রোববার নিউইয়র্ক/সিয়েনা পরিচালিত জরিপে ট্রাম্পকে এক পয়েন্টে এগিয়ে থাকতে দেখা গেছে। জরিপে ট্রাম্পের পক্ষে ৪৮ শতাংশ এবং হ্যারিসের পক্ষে ৪৭ শতাংশ সমর্থন পাওয়া গেছে।
তবে সোমবার এবিসি নিউজ/ইপসোস জরিপে হ্যারিস ৫০ শতাংশ এবং ট্রাম্প ৪৬ শতাংশ লোকের সমর্থন পেয়েছেন।
বাসস