বিদ্যা বালানের পছন্দের সিনেমা-সিরিজ

পর্দায় বিদ্যা বালানের অভিনয় দেখে মুগ্ধ হন দর্শক, আর বিদ্যাকে মুগ্ধ করে অভিনয়। এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানালেন, ইদানীং কোন কোন সিনেমা-সিরিজ ভালো লেগেছে তাঁর। এসব কনটেন্ট দেখার জন্য ভক্তদেরও পরামর্শ দিলেন তিনি।

পাস্ট লাইভস

কানাডিয়ান পরিচালক সেলিন সং পরিচালিত সিনেমাটি মুক্তি পায় ২০২৩ সালে। অস্কারেও পেয়েছিল মনোনয়ন। এ সিনেমার কেন্দ্রে আছে নোরা মুন ও জং হ্যা সং নামের দুই তরুণ-তরুণী। ছোটবেলায় দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে পাশাপাশি বাড়িতে থাকত তারা। ছিল পরস্পরের অন্তরঙ্গ বন্ধু। কিন্তু মেয়েটির পরিবার দক্ষিণ কোরিয়া ছেড়ে কানাডায় চলে গেলে তাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। ১২ বছর পর সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে আবার যোগাযোগ হয় তাদের। এ সিনেমা নিয়ে বিদ্যা বালানের মত, ‘পাস্ট লাইভস দেখে আমি সত্যিই মুগ্ধ হয়েছি।’

লাভ অন দ্য স্পেকট্রাম

রিয়েলিটি শো। ২০২২ সালে নেটফ্লিক্সে প্রথম সিজন প্রচারিত হয়েছিল। গত বছরের জানুয়ারি মাসে এসেছিল দ্বিতীয় সিজন। ভিন্ন ধরনের কনটেন্ট হওয়ায় এ শো বিদ্যা বালানের দারুণ পছন্দের। শোটি নিয়ে বিদ্যা বলেন, ‘অটিজমে আক্রান্ত মানুষদের ব্লাইন্ড ডেটে পাঠানো হয় এ শোতে। ডেটে যাওয়ার আগে পর্যন্ত কেউ জানে না কার সঙ্গে দেখা হতে যাচ্ছে তার। সবার জন্য আমার পরামর্শ থাকল, যদি আপনারা বিশুদ্ধ কোনো কনটেন্ট দেখতে চান; আপনাদের এটা দেখা উচিত।’

দ্য রেজিম

অভিনেত্রী কেট উইন্সলেটের ভীষণ ভক্ত বিদ্যা বালান। ২০২৪ সালের মার্চে যখন ‘দ্য রেজিম’ সিরিজটি আসে এইবিও এবং ম্যাক্সে; বিদ্যা এর ঘোরে পড়ে গিয়েছিলেন। দ্য রেজিম মূলত পলিটিক্যাল স্যাটায়ার। ছয় পর্বের মিনি এ সিরিজে উঠে এসেছে এলেনা ভার্নহ্যাম নামের এক কর্তৃত্ববাদী চ্যান্সেলরের গল্প, রাজ্যজুড়ে নানা বিবাদ ও বিদ্রোহের কারণে যার অবস্থান ধীরে ধীরে হুমকির মুখে পড়ে। বিদ্যা বালান বলেন, ‘৮৩ বছর বয়সে এসে স্টিফেন ফ্রেয়ার্স সিরিজটি বানালেন। এ সিরিজে কেট উইন্সলেটের অভিনয় দেখে কেউ বিশ্বাসই করবে না যে এই নারীই ‘টাইটানিক’, ‘মেয়ার অব ইস্ট টাউন’, কিংবা ‘রেভল্যুশনারি রোড’-এ অভিনয় করেছেন।’

কাথাল—দ্য কোর

মালয়ালম সিনেমা গত বছর থেকে বিদ্যা বালানের নতুন আগ্রহের জায়গা। এর মধ্যে মালয়ালি ভাষার অনেক সিনেমা দেখেছেন তিনি। মামুট্টির কাজের প্রেমে পড়েছেন। বিশেষ করে মামুট্টি অভিনীত ‘কাদাল—দ্য কোর’ তাঁকে মুগ্ধ করেছে বেশি। বিদ্যা বলেন, ‘কাদাল দেখে দুলকার সালমানকে মেসেজ করে বলেছি আমার ভালো লাগার কথা। তাকে বলেছি, মেসেজটা তোমার বাবাকে পৌঁছে দিও। তাঁর মতো এত বড় একজন সুপারস্টার সমকামী চরিত্রে অভিনয় করলেন, এটা খুব সাহসী পদক্ষেপ। তিনি শুধু এতে অভিনয়ই করেননি, প্রযোজনাও করেছেন। অনেকের চোখ খুলে যাবে কাদাল দেখলে। আমার মনে হয়েছে, হিন্দি সিনেমার কোনো অভিনেতার পক্ষে এ চরিত্রটি করা সম্ভব নয়।’

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

one × three =