বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর সাথে ভারতের হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা (Pranay Verma) আজ সচিবালয়স্থ অফিস কক্ষে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় তাঁরা পারস্পারিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

প্রতিমন্ত্রী, হাইকমিশনারকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশ ও ভারতের একসাথে কাজ করার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। প্রতিবেশি দেশসমূহ হতে আমরা ৯০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করতে চাই। নেপাল ও ভূটান থেকে জলবিদ্যুৎ  আমদানির প্রক্রিয়া অনেক অগ্রসর হয়েছে। নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি আগামী মাসে স্বাক্ষর হতে পারে। জিএমআর-এর মাধ্যমে ৫০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানির বিষয়টিও প্রায় চূড়ান্ত। নবায়ণযোগ্য জ্বালানি হতে বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ও এগুচ্ছে। মেঘালয়, ত্রিপুরা বা আসাম হতে বিদ্যুৎ আমদানি ও রপ্তানি করার বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তিনি বলেন, এইচ-এনার্জির মাধ্যমে এলএনজি/গ্যাস আমদানির প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত। আমরা ভারতসহ প্রতিবেশি দেশগুলোর সাথে কানেকটিভিটি বাড়াতে চাই। ভারতের সহযোগিতা প্রয়োজন। নেপাল থেকে বাংলাদেশে ডেডিকেটেড লাইন থাকলে পাওয়ার ট্রেড গতি পাবে। এতে ভারতও  লাভবান হবে। তিনি এসময় আরো বলেন, সহযোগিতার ক্ষেত্র বাড়াতে প্রতিমাসে উভয় পক্ষের সংশ্লিষ্টদের সভা করা অপরিহার্য। বায়ু ফুয়েল নিয়েও আমরা একসাথে কাজ করতে পারি। এলপিজির চাহিদা উওরোত্তর বাড়ছে। এসব খাতে বাংলাদেশের বেসরকারি বিনিয়োগকারিরা ভারতে কিভাবে কাজ করতে পারে, এ বিষয়টিও সক্রিয় বিবেচনা করা যেতে পারে।

হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের সাথে ভারতের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা বাড়ছে। নেপাল থেকে বাংলাদেশে জলবিদ্যুৎ আমদানি চলমান। ভারতও নেপাল থেকে প্রায় ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করে। এ সময় হাই ভোল্টেজ সঞ্চালন লাইন, নবায়ণযোগ্য জ্বালনি, বিদ্যুৎ আমদানি-রপ্তানি, আর-এলএনজি, জ্বালানি সক্ষমতা বৃদ্ধি, জ্বালানি দক্ষতা, ভবিষ্যৎ আঞ্চলিক কানেকটিভিটি ইত্যাদি নিয়ে প্রাণবন্ত আলোচনা হয়।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

twenty − 7 =