অভিনেত্রী হিসেবে দুই বাংলায় প্রশংসা কুড়িয়েছেন এই অভিনেত্রী। কণ্ঠশিল্পী হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেছেন। সর্বশেষ তার অভিনীত ‘বিনিসুতোয়’ সিনেমার জন্য কণ্ঠে তুলেছেন ‘সুখের মাঝে’ শিরোনামের একটি রবীন্দ্রসংগীত। এ গান কণ্ঠে তোলার পর ভূয়সী প্রশংসা করেন কলকাতার সুরকার দেবজ্যোতি।
গত ২০ আগস্ট কলকাতায় মুক্তি পেয়েছে ‘বিনিসুতোয়’ সিনেমাটি। মুক্তির পর ওপার বাংলার দর্শক-শ্রোতারা সিনেমাটি দেখে প্রশংসা করেছেন। এবার জয়ার গাওয়া গানটি ইউটিউবে মুক্তি পেয়েছে। তারপর থেকে জয়ার গায়কির জয়জয়কার। গৌরব বিশ্বাস লিখেছেন, ‘কী সুন্দর মোহের আবেশ তৈরি করলো জয়ার কণ্ঠে রবীন্দ্রসংগীতটি। মোহাচ্ছন্ন হয়ে শুনলাম গানটি। আহা! কি কণ্ঠস্বর।’ গৌতম চক্রবর্তী লিখেছেন, ‘অপূর্ব। বাংলাদেশের শিল্পীদের কণ্ঠে রবীন্দ্রনাথ বড় সুন্দর করে ধরা দেয়।’
অনুস্তাপ রায় লিখেছেন, ‘এত ভালো রবীন্দ্রসংগীত অনেক প্রথিতযশা শিল্পীরাও গাইতে পারেন না আজকাল! জয়া আহসান যা গাইল, যেভাবে যে যে জায়গায় দম নিলো, যেভাবে ‘পেয়েছি’র ‘য়ে’ টা আলাদা করে বলল ‘পে’র থেকে, অনেক ভালো লাগা বেড়ে গেল জয়ার প্রতি।’ জয়ার কণ্ঠে আরো গান শোনার দাবি জানিয়ে বাপ্পি লিখেছেন, ‘জয়া দিদি এত ভালো গান করেন, তা জানতামই না এই গান না শুনলে। দিদি তোমার কাছ থেকে আরো গান শুনতে চাই।’ মনিশা ব্যানার্জি লিখেছেন, ‘আমার কিচ্ছু বলার ভাষা নেই ম্যাম। প্রণাম নেবেন।’
‘বিনিসুতোয়’ চলচ্চিত্রে কাজল ও শ্রাবণীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ঋত্বিক চক্রবর্তী ও জয়া আহসান। মধ্য তিরিশের এই দুই মানুষের একে অপরের সঙ্গে পরিচয় হয় একটি রিয়েলিটি শোয়ের অডিশনে। দুজনের জীবনের গল্পে বেশ কিছুটা মিল থাকায় খুব তাড়াতাড়িই পরস্পরের সঙ্গে মিশে যান তারা। কিন্তু এরই মাঝে এক দুর্ঘটনায় আহত হন শ্রাবণী। দ্রুত তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান কাজল। যাওয়ার পথে তারা এক অপরের সঙ্গে শেয়ার করেন জীবনের ঘাত-প্রতিঘাতের গল্প।
অতনু ঘোষ পরিচালিত এ চলচ্চিত্রে আরো অভিনয় করেছেন—কৌশিক সেন, চান্দ্রেয়ী ঘোষ, সমন্তক দ্যুতি মৈত্র প্রমুখ। ২০১৯ সালে এর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর মহামারি করোনার কারণে থমকে ছিল মুক্তি।
বাংলা